প্রশান্তি ডেক্স॥ ঢাকা চিড়িয়াখানায় বেশ কিছু প্রাণী অতিরিক্ত হওয়ায় পারস্পারিক বিনিময়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে এবার দুবাইয়ের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তিনি প্রশান্তি নিউজকে বলেন, চিডিয়াখানায় জলহন্তি জলাধারটি চারটি জলহস্তি দিয়ে ১৯৮৯ সালে চালু করা হলেও গত ২৯ বছরে জলহস্তির সংখ্যা বেড়ে তিন গুণ হয়েছে। বর্তমানে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ছোটবড় মিলিয়ে ১৩টি জলহস্তি রয়েছে। অল্প জায়গায় ঠাসাঠাসি করে থাকার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি প্রাণীটির প্রজনন ক্ষমতাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, বিশ্বে শিম্পাঞ্জির সংখ্যা কমে যাওয়ায় কোনো দেশই এ প্রাণী বিক্রি করছে না। সম্প্রতি দুবাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের চারটি জলহস্তি চেয়েছে। বিনিময়ে তারা একটি শিম্পাঞ্জি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ বিনিময় সম্পন্ন হবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাণী সংগ্রহে কোনো বিনিময় মূল্য না দিলেও প্রাণী পরিবহনের সব খরচ নিজ নিজ দেশকে
বহন করতে হবে।
চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, শুধু জলহস্তিই নয়, কুমির, হরিণ, ময়ূর, বানরসহ বেশ কিছু প্রাণী ধারণ ক্ষমতার দুই-তিন গুণ বেশি রয়েছে। কুমিরের চারটি ঘেরে আটটি থাকার জায়গা থাকলেও আছে ২২টি। ১৫০টি ধারণ ক্ষমতার হরিণের খাঁচায় রাখা হচ্ছে ২৫১টি। ১০০টি ধারণ ক্ষমতার ময়ূররের খাঁচায় রয়েছে ১৬৩টি। এছাড়া ৫০টি বানরের জায়গায় রয়েছে শতাধিক।
কিউরেটর ডা. এসএম নজরুল ইসলাম আরও জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানায় নতুন করে চিতাবাঘ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, লামা, কাঙ্গারু, আফ্রিকান ও রাশিয়ান পাখী, সিংহ, গন্ডার আনা হবে। এ বাবদ দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানায় মোট ১৩৮ প্রজাতির দুই হাজার ৭৭২টি প্রাণী রয়েছে।