প্রশান্তি ডেক্স॥ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকদূর এগিয়েছে এমন মন্তব্য করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে আরও বহুদূর যেতে হবে এমটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। গত বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর সরকারি এস.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার পূর্বে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সকল কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা অনেকাংশেই দেখা যাচ্ছে শিক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য তার বদলে কোথাও কোথাও শিক্ষার নাম করে বাণিজ্য পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য কোনো অনুমতি লাগে না যত্রতত্র যেনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর গড়ে না উঠে সে বিষয়েও সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষকেরা শ্রেণিতে পড়াশোনা না করিয়ে তাদের নিজেদের বাড়িতে কিংবা কোচিং সেন্টারে তাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়তে বাধ্য করে এবং সেখানে না পড়লে তাদের ফেল করিয়ে দেয় এই ধরণের যারা অপরাধ করে সেই জায়গাগুলো আমাদের বন্ধ করতেই হবে এবং সেটার জন্যও আমাদের চেষ্টা আছে, ইতিমধ্যেই সারাদেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও এ বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছে।
যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বই যারা নোট, গাইড বেআইনিভাবে বিক্রি করছেন আমরা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসছি।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার মুক্তির মঞ্চে এসে পৌছালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, স্থানীয় সাংসদ মো. একাব্বর হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা মুক্তির মঞ্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।
মির্জাপুর সরকারি এস.কে.পাইলট পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি ভারতেশ্বরী হোমসের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। সে সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ একাব্বর হোসেন, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রাজিব প্রসাদ সাহা, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌর মেয়র সাহাদৎ হোসেন সুমন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ, টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিঞা, ভারতেশ্বরী হোমসের পরিচালক সম্পা সাহা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল মালেক, অফিসার ইনচার্জ এ কে এম মিজানুল হক প্রমুখ।
পরে সে সময় আলোচনা শেষে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আগত প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।