অটোমেটিক ট্রাফিক সিগনাল সিস্টেম আবার চালু করা হবে…প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বা আ॥ প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে পুনরায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বাতি সমৃদ্ধ ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হবে।atomatik trafik signal
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন ডিজিটাল (ইলেকট্রনিক) পদ্ধতিতে যাতে ট্রাফিক কন্ট্রোল হয়, সেই ব্যবস্থায় আমরা ফিরে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কিছুক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে এবং বাকিগুলোতে শিগগিরই চালু করা হবে। সেটা পুরোপুরি হয়ে গেলে আশা করি জনদুর্ভোগ কমবে।’
তিনি বলেন, ‘অটোমেটিক সিগন্যালের বিষয়টা মাঝখানে একেবারে বন্ধ হয়েই গিয়েছিল। এটা ইতোমধ্যেই আবার চালু করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন ক্ষেত্র বিশেষে হয়তো ট্রাফিক পুলিশ অটোমেটিক পদ্ধতির পরিবর্তে হাত দিয়ে গাড়ি আটকাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আমাদের সিগন্যাল কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষকে আরেকটু নজর দিতে বলেছি। বেশি সময় যেন ট্র্যাফিক আটকে না রাখা হয়, সে বিষয়েও নজর রাখতে বলেছি।
প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। ফলে মানুষ গাড়ি বেশি কিনছে। চালাচ্ছেও বেশি। ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হিমসিম খাচ্ছেন। আমি মনে করি, এটা ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে আসলে আরো সহজ হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ১৯৮০ সালে লন্ডনে ও ওয়াশিংটনে তাঁর প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, তখন সেখানে প্রায় ২০ মিনিটের দূরত্বের পথে যাবার জন্য ৩ ঘন্টা আগে বেরুতে হতো। পৃথিবীর সব বড় বড় দেশেই এই সমস্যা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনীতি দেশের মানুষের কল্যাণে উল্লেখ করে বলেন, মানুষের কিসে ভাল হয়, কিসে মন্দ, সেটা আমি জানার চেষ্টা করি এবং মানুষের সমসাগুলো সমাধানেরও চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। সেটাকে আমি কর্তব্য হিসেবেই নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতাটা ভোগের বিষয় নয়, কর্তব্য পালনের বিষয় ‘এজন্যই চেষ্টা করি কিভাবে মানুষের জন্য একটু কল্যাণকর কাজ করতে পারি।’
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে গাড়ির সংখ্যা ছিল ৫২টি। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে পরবর্তীতে আমি গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে ৮টি করেছি। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত এসএসএফ এবং পুলিশের প্রয়োজনীয় গাড়ির বাইরে অতিরিক্ত গাড়ি কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে তাঁর চলাচলের জন্য দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি না হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.