স্বাধীনতার মাসের শুরুতে স্বরণ করছি সলক বীর সেনানীদের; যাদের জীবনের, সময়ের সাহসী ও বুদ্ধিদৃপ্ত ভ’মিকার জন্য আজ আমরা শান্তিতে বসবাস করছি এই রক্তিম উর্বর বাংলাদেশে। আমাদের মহান মহানয়কদের প্রতি রইল বিনম্ন শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। যারা বেঁচে নেই তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তাদের দেখানো পথে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। এই মার্চেই বহুল আলোচিত এবং বর্বরোচিত ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের জন্মভ’মি। আমাদের শিক্ষা ও দিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আগামীর সকল প্রয়োজনে স্বাধিনতার পক্ষের সকল কর্মকান্ডে। ইতিবাচক মনোভাবের বিকাশ ঘটাতে হবে বংশপরম্পরায়। আমাদের সামনে নতুন ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন নতুন এক বাংলাদেশ, নতুন এক ঐক্যের চেতনার জাগ্রত রুপ এবং শান্তির ও নিশ্চয়তার এমনকি জিবন্ত উপভোগ্য সেই স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপ।
বাংলা এবং বাঙালীর মেলবন্ধন; উন্নয়ন ও অগ্রগামীতার যোগসূত্রের সফলতায় সুফল ভোগকারীদের বিজয়োল্লাস এবং আগামীর উন্নত ও সম্বৃদ্ধশালী বাংলাদেশের নব জাগরণ। স্বাধীন জাতির ইতিহাসে যে কলঙ্কের তিলক এটেছিল তা মোচনের শেষপ্রান্তে এসে আগামীর সুর্যসন্তানেরা মেধা ও মননে, চিন্তা ও স্বাধীন চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এরও মাঝে রয়েছে নানান বিতর্ক এবং নেতিবাচকতা ও পিছুটান। সেই নেতিবাচকতা এবং পিছুটানকে স্বাধীনতার চেতনায় বিসর্জন দেয়ার এখনই সময়। জঞ্জালাচ্ছন্ন প্রতিবন্ধকতাকে বিসর্জন দেয়ার এখনই সময়। তাই এই উপযুক্ত সময়কে কাজে লাগানোর জন্য যে উদ্যোম ও উৎসাহ এবং অপুপ্রেরণার প্রয়োজন তার সবটুকুই রয়েছে আমাদের এই স্বাধীন দেশের সেই অগ্নিঝরা মার্চের রূঢ় বাস্তব মূর্তীতে। এই মার্চের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আগামীর সকল অপ এবং নেতিবাচকতা ও অন্যায়ের এমনকি পাপের প্রতিবন্ধকতাকে বিসর্জনে বিসর্জিত করে।
এই দেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন চেতনার ধারক ও বাহকেরাই পারবে এবং পেরেছে। যেখানে রয়েছে অগ্নীমূর্তীমান আমাদের অহংকার ও গর্ব, বিশ্বের রোল মডেল, সকল উপাধিতে নূহ্য হয়ে উন্নয়নের কান্ডারী এবং নতুনের কেতন উড়ানোর শপথে বলিয়ান, বাংলার ভাগ্যাকাশে স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপদানকারী, বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্রষ্টা, প্রাণের আপনজন এবং দু:খী মানুষের কান্ডারী ও দু:খ লাগবকারী আর সুখী মানুষের সুখের সারথি বঙ্গবন্ধু তনয়া ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের গর্বের ধন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই বলিষ্ট ও যুগোপযোগী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি এবং আগামী দিনের জন্য আরো সু-উচ্চ চুঁড়ার শিরির শেষ প্রান্তে পৌছতে অগ্রগামী।
মার্চ মানেই স্বপ্ন পুরনের অঙ্গিকার বাস্তবায়নের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার নজির। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার দিশা। এই মার্চেই দূর হবে বাঙলার ভাগ্যাকাশ থেকে সকল অমানিষা। এখনও যে অন্যায্য এবং নৈরাজ্য দৃশ্যমান তা দূরীকরণের লক্ষ্যে আমরা সকলেই এগিয়ে যাব আগামীর সুন্দর ও সম্বৃদ্ধির নিরলস বাস্তবায়নে। সকল ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির দৃশ্যত বাস্তবায়নে বলিয়ান হয়ে মোকাবিলা করব সকল অপশক্তির।
আমাদের রাজনীতির ভাগ্যাকাশ থেকে কালো মেঘের থাবা আজ দূরীভ’ত হয়েছে। নত’ন সূর্য উদিত হয়েছে রাজনীতির আকাশে। রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শুধু ইতিবাচকতার মহানয়কেরা। আগামীর জন্য রাজনীতিকে একটি পরিচ্ছন্ন ও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছানোর নিরলস পরিশ্রমে ক্লান্ত পথিকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সময়ের স্রোতে গ্যা এলানো মানুষগুলো। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনীতির শিখর এখন গভীর থেকে গভিরতর অবস্থায় পর্যবর্সীত হচ্ছে। মানুষ শিখছে দিনকে দিন কিভাবে জীবন সংগ্রামকে উন্নয়ন সংগ্রামে পরিণত করা যায়। কিভাবে দেশের মানুষের উন্নয়নকে নিজের উন্নয়নের মাধ্যমে যোগসূত্র গেঁথে তুলা যায়। আমাদের দেশে গত ২ বছর আগেও যা কল্পনা করা যেত না তা এখন দৃশ্যত বাস্তব। মানুষ যেভাবে নিজেদেরকে কর্মের সঙ্গে মিলাচ্ছে এবং স্বার্থান্বেষী মনোভাব থেকে বের হয়ে এসে উন্নয়ন জোয়ারে গ্যাঁ ভাসিয়ে দিচ্ছে তা বহি:বিশ্বের উন্নত দেশের আদলে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মিল খুজে পাওয়া যাচ্ছে।
সুইজারল্যান্ডসহ উন্নত দেশগুলোতে আসলে কে প্রধানমন্ত্রী আর কে মন্ত্রী অথবা কে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকতা তা তৃণমূলের মাথায় থাকে না বরং তারা স্ব স্ব কাজে মনোনিবেশ থেকে নিজের এবং দেশের উন্নয়ন চাকা সচল রাখেন। এই সংস্কৃতি এখন আমাদের দেশেও চালুর প্রক্রিয়ায়। সরকার দেশ চালাচ্ছে যা জনগণ মেনে নিয়েছে এবং আন্তরিকভাবে চায় যেন এই সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। নতুন কোন ঝামেলায় এই দেশবাসি আর জড়াতে চায় না। রাজনীতি এবং নির্বাচন এই দুইয়ে এখন জনগণের আগ্রহ কম। কারণ জনগণ সরকারের উপর পূণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই দায়িত্ব দিয়েছে। তাই সরকার যাকে এবং যেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে সেইভাবেই জনগণ খুশী। কারণ জনগণ চায় শান্তি, নিশ্চয়তা এবং মৌলিক চাহিদা পুরণ ও অধিকার ভোগ। এই সমন্বয়েই অগ্রগতি এবং উন্নয়ন সম্ভব। আর এ লক্ষ্যেই সরকার তার কার্যক্রম পরিচালিত করে যাচ্ছে। যখনই অধিকার সংরক্ষণ, মৌলিক চাহিদা, শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটে তখনই এই দেশের মানুষ ফুষে উঠে এবং সরকারের পতন ঘটায়। স্বাধীনতা পূর্ব থেকে এই প্রমান এখনও বহমান। কিন্তু বর্তমান সরকার এই ছকের বাইরে। কারণ তারা জনগণ কেন্দ্রীক কার্যক্রম পরিচালিত করে যাচ্ছে। জনগণের জন্যই এই সরকারের কার্যক্রম। জনবান্ধব সরকার হিসেবে আমাদের দাবি এই যে, জনগণকে নিয়ে এবং জনগণের জন্য আরো যত্নশীল হয়ে কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। আমরা যত্ন প্রতি দায়বদ্ধ এবং সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে চাই।
কোন কারণে যেন, জনগণকে সরকারের বা সরকারের সুবিধাভোগীদের এমনকি ক্ষমতাপ্রাপ্তদের কারো রোষানলে না পড়তে হয় সেই দিকে দৃষ্টিদেয়া এখন জরুরী বা ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে যারা এই রোষানলে আক্রান্ত তাদেরকে মুক্ত করে নজীর সৃষ্টি করতে হবে; বিশেষ করে দলীয় চেতনার ধারক ও বাহক এনমনকি দলকানা লোকদের মুক্ত করা এখন ফরজে আইনে পরিণত হচ্ছে। সরকারী অফিস আদালতে কাজকর্মের গতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা খুবই জরুরী। কোন কালবিলম্ব বা গড়িমসি না করাই এখন সরকারের ইচ্ছার বহি:প্রকাশ হউক। বিভিন্ন বাহানার মাধ্যমে ইতিবাচক এবং উন্নয়ন ও রাজস্ব আয়বর্ধক কাজকে বাধাগ্রস্থ এমনকি দীর্ঘসূত্রীতায় আটকানো না হউক। সহজতর প্রক্রিয়ায় দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির প্রক্রিয়া গতিশীল রাখা হউক। পুলিশ ভ্যারিফিকেশন বা মতামত প্রদান সহজ করা হউক। কোন অন্যায় বা অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার হাতিয়ারে পরিণত করা না হউক। আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি সাধন করে যাচ্চে যা বিশ্বের উন্নত পর্যায়ের সক্ষমতার চেয়েও অধিক বেশী বলেই প্রমানীত। তাই প্রতিটি বাহিনীর সদস্যরা যেন কোন ঘটনার সূত্র বা রোড অথবা মূলে আঘাত করতে পারেন সেই বিষয়টি এখন গরুত্বপূর্ণ। তাই ঘটনার স্বাক্ষীকে জীবিত রেখে মূলকে ধরার ব্যবস্থা এখন জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রতিটি সরকারী অফিসে ন্যায়পালের মত একটি পদ সৃষ্টি করার প্রয়োজন আবশ্যক। কারণ জনগণের সমস্যা শোনার দরকার এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়। নতুবা দুর্নাম সৃষ্টি হতে পারে, জটলা পাকিয়ে হিতে বিপরীত হতে সুযোগ সৃষ্টির সমূহ সম্ভাবনার জন্ম হবে এবং হচ্ছে। শৃঙ্খলা এবং নৈতিকতায় গতিশীলতা আনয়ন প্রয়োজন। জিরো টলারেন্স নীতি সকল ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবির সাথে আমাদের বিনীত অনুরোধও বটে।
উপজেলা নির্বাচনের সময় এখন; যদিও কোন উত্তাপ বা কম্পন নেই বা থাকবে না তথাপী বলতে পারি যে, এই নির্বাচন শুধু একটি প্রক্রিয়া এবং সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম এর ধারাবাহিকতা। এই নিয়ম অনুসরন হউক এবং জনগন যে আখাঙ্খা নিয়ে ক্ষমতার বা সেবার মানদন্ড নির্ধারণ করতে চায় তা সরকার এর ভাবনার প্রতিফলনও ঘটুক। আমরা বিশ্বাস করি উন্নয়ন এবং তৃণমূলের যোগসূত্র আগামীর বিবেচ্য বিষয়। কোন কারণে এর ব্যত্বয় না ঘটুক। স্বাধীনতার মাসে এবং মার্চের উত্তাল দিনগুলির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে, কর্মে এবং রাষ্ট্রিয় কাঠামোয়। সেবক, সেবা এবং মানুষের চাহিদার সমন্বয় ঘটুক। বিশ্বাস, আস্থা, নির্ভরতা ইতিবাচক মনোভাবের সমন্বয় হউক আগামীর ভাবনা। জয় হউক স্বাধীনতা ভোগকারী সকলের এবং উন্নয়ন ঘটুক সকল ধারাবাহিক কর্মকান্ডের। এই বিশ্বাসেই আগামির প্রত্যাশায় চলমান হউক আমাদের জীবন ও মানের ধারাবাহিকতা। প্রজ্জ্বলিত হউক আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের গতি এবং উন্নয়ন ও মানবিকতা / ন্যায়পরায়নতা। জাগ্রত হউক বিবেক। শেষ বিচারের দিন শীর উঁচু করে চির শান্তির প্রবেশ ঘটুক আমাদের ইহজীবনের যাত্রাপত থেকেই। স্বাধীনতা আমাদেরকে পৌঁছেদিক স্বর্গীয় স্বাধীনতায়।