খাদ্যের মান ফিরে না আসা পর্যন্ত ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী এই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ‘খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রতি বছরেই ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে। ২০০৮-৯ অর্থবছরে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ তিন হাজার মেট্রিক টন, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে চার কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদনশীলতার ধারাবাহিকতায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
কুড়িগ্রাম-১ আসনের আসলাম হোসেন সওদাগরের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত উল্লেখ করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগণ খরা, বন্যা, সাইক্লোনসহ নানা দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে অভ্যস্ত।’
মেহেরপুর-২ আসনের মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা সংসদকে সব কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছি ‘
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের ৯৩ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বাকি সাত শতাংশ গ্রাহককে আগামী ২০১৯-২০ সালের মধ্যেই এ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
মাদারীপুর-২ আসনের শাজাহান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পকারখানায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।