নির্বাচন আসছে এবং আসবে কিন্তু নির্বাচন হয়েছেও বটে। পচাত্তর পরবর্তী সময়ে নির্বাচন হয়েছে হ্যা/ না ভোটের সুচনাও হয়েছিল কিন্তু কি লাভ হয়েছিল এই জাতির? জনতার মতামতের কোন গুরুত্ব ছিলো বলে মনে হয় না। বরং জনতার মতামতকে উপেক্ষা করে রচিত করে সকল অপ সংস্কৃতি ও অপ-রাজনীতি এবং নেতিবাচক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পৌছানোর পিছনের রাজনীতি ও দেশ শাসন বিরাজমান ছিল। সেখান থেকে উত্তরণের পথে ইতিবাচক এবং অগ্রসরমান অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটানোর নিমিত্তে যত কিছু করার প্রয়োজন তার সবটুকুই করে যাচ্ছে ঐ অন্ধকারাচ্ছন্ন কীটগুলো। যাদের চোখে কোটা পড়ে আছে এবং কানে শোনার অংশটুকু বিকল হয়ে পিছনের দিকে হাক-ডাক দিচ্ছে আর বিবেক অসাড় হয়ে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেই অন্ধকারকে পুনরুজ্জ্বীবিত করতে। এই সকল কর্মকান্ডে এখন আর মানুষের কোন আগ্রহ নেই কারন মানুষ চাই উন্নয়ন, শান্তি, স্থীতিশীলতা এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা। এই সবই যখন দৃশ্যমান তখন মানুষ নিশ্চিন্তে দেশ সেবার দায়িত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে স্ব স্ব কর্মকান্ডে।
মানুষের কোন আগ্রহ নেই নির্বাচন এবং ক্ষমতা নিয়ে বরং মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে উন্নয়ন কর্মকান্ডে অশংগ্রহণে। তবে মানুষ চায় নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহন করুক এবং নির্বাচনী কৌশলে বিজয়ী মালা পরিধান করুক। অন্ধভক্তের ছোয়াই কেউ আমার দেশের ক্ষতি না করুক। জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই এর প্রতিফলন প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন সকল দলের অংশগ্রহনে একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনে পরিকল্পনা ও কৌশলের কাছে ধরাশায়ী একটি দল এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ছন্নছাড়া অবস্থায় ঝিমাচ্ছে আর অন্যরা দেশ সেবা সাথে নিজেদের আত্মঅহমিকাও প্রকাশ করছে। তারপরও বলবো ঐ নি:শেষ হওয়া দলটি এখনও ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে আছে এবং যেন তেন কর্মকান্ড নয় গভির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঢাবির নির্বাচন নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে জাতির কোন উপকার হয়েছে বা হবে তার কোন নিরন্তর হিসেব বা বাস্তব দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে নেই। তবে নেতা তৈরী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া এই নির্বাচনগুলো। আরা নেতৃত্বের চর্চার একটি মাধ্যম হলো এই নির্বাচন এবং প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ক্ষেত্রে যখন দীর্ঘদিনের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে একটি নির্বাচন দিয়ে শুভ যাত্রা হলো তখনই ঐ নোংরা খেলায় কোমলমতিদের লেলিয়ে দিয়ে ফায়দা লোটার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কেউ কেউ অনশনে নেমেছে যেন জাতিকে উদ্ধার করে ছাড়বে। মা-বাবা বা ভাই-বোনের জন্যতো এই ধরণের আমরণ অনশন করতে দেখি না এমনকি তাদের প্রয়োজনীয় জোগান দেয়ার জন্যতো কোন প্রচেষ্টা অথবা জাগরণ দেখা যায়না অথবা ১দিন রোজা রাখতেও শোনা বা দেখা যায়না। তাহলে কেন এই অপ্রয়োজনীয় কাজে বাগারম্বর। কোন অর্জনটুকু যুক্ত করবে জাতির ভাগ্যাকাশে ঐ অনশন এবং আন্দোলন দিয়ে। যেখানে দির্ঘদিন রাজনীতি এবং নির্বাচন এই দুই-ই ছিল কারারূদ্ধ সেখানে মুক্তির আলোয় আলোকিত এই নির্বাচন দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে ইতিহাতের ইতিবাচকতার। আর সেখানেই শুরু হলো রণে ভঙ্গ দেয়ার কীর্তি।
নির্বাচন কি হয়েছে? কি হতে পারতো? আর আগামীতে কি হবে? সেটা ভেবে সময় নষ্ট না করে বরং বর্তমানে যা পেয়েছো তার সুষ্ট ব্যবহারে মনোযোগী হও। আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যেয়ে সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাও। রাষ্ট্রকে একটি দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দাও সেখানে সাম্য এবং ভ্রার্তৃত্ব ও সামগ্রিক কল্যান নিহিত রয়েছে আগামীর প্রয়োজনে। যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা সকলে মিলে একটি ঐক্য ও সম্বৃদ্ধির কাতরে শরীক হয়ে ইতিহাসে নিজেদেরকে স্থান করে নাও। পুরানে জড়ানো কফিনে নতুন মোড়কে ঘসামাজা করা বন্ধ করে ইতিবাচক সমন্বিত কর্মসূচীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং পূর্বের অর্জীত ইতিহাসকে নতুন মোড়কে সমুজ্জ্বল এবং আগামীর দৃষ্টান্তে ভরপুর করুন। সকল নেতিবাচকতা এবং অপ-রাজনীতির কূটকৌশল বন্ধ করুন। নিজের জিবন এবং মান সম্মান সর্বোপরি মা-বাবার কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় বন্ধ করে জনগণের দেয়া জোগানকে পূজি করে মর্যাদায় উজ্জ্বীবিত করুন, রাষ্ট্রকে সম্মান জানান যাতে করে আগামীতে আরো সম্বৃদ্ধি দিয়ে ছাত্রত্বকে শক্তিশালী করে এবং সুযোগের সুউচ্ছ শিখরে পৌঁছতে রাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে।
আমাদের ভবিষ্যতকে আমরাই বিনির্মান করব; এতে রাষ্ট্রকে অনুঘটকের ভূমিকায় অবতীর্ণ রাখব এই মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হউন।
নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী কর্মকৌশল ঠিক করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আমার আপনার সকলের এই দেশ। আর এই দেশের সুনাম রক্ষা করা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করা উভয়েরই দায়িত্ব বটে। তবে এই ক্ষেত্রে যে বৈরিতা পরিলক্ষিত হয় তা নির্মূল করার এখনই সময়। নতুবা আমাদের আগামীর কাছে জবাবদীহি করারও সময় এবং সুযোগ হারাবো। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যে, ভাবনা এবং যে আলোচনা ও সমালোচনা তার ভিত্তিমূলে রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ছুতো। কিন্তু এই ছুতোতেই বিলুপ্ত আজ বর্জনকারীরা। তবে সরকার আরো সচেতন হতে হবে এবং দলের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। খালি মাঠে গোল দেওয়া এবং খালি কলসির আওয়াজ দেয়া থেকে বিরত থেকে যত্মশীল আচরণ ও বক্তব্য প্রত্যাশার প্রথম প্রহরে রাখতে হবে। কোনভাবেই কাউকে ক্ষেয় করা যাবে না এবং কারো মতামতে আঘাত আনা যাবে না। চলমান উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আরো যত্মশীল হয়ে জনগণের আকাঙ্খাকে প্রধান্য দিতে তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এটা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আইন, আদালত, প্রশাসন এবং সরকারের কাজ ও পরিকল্পনায় গতিশীলতা আনয়ন এবং স্বচ্ছ ও জবাবদীহিতা নিশ্চিত করতে হবে। মৌলিক নিতির প্রতিটিকেই বাস্তবায়ীত করতে হবে। অধিকার সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কাজের সঙ্গে কোন আপোষ করা যাবে না। আমাদের সবই উৎসর্গীকৃত। তাই বিসর্জনের দোহাই দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সচেষ্ট থেকে এগিয়ে যেতে হবে। ক্ষমতাপ্রাপ্তরা ক্ষমতার ব্যবহার যত শীল হয়ে করতে হবে। কারো ক্ষতিতে লিপ্ত না থেকে বরং উপকারে মনোনিবেশ করতে হবে।