প্রশান্তি ডেক্স॥ ২৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় প্রবণ নোয়াখালীর ভাসান চরে স্থানান্তরিত করলে আরেকটি নতুন সংকটে পড়বে বলে সতর্ক করলেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।
কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল জাজিরা’ জানিয়েছে, গত সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’কে এসব কথা তিনি জানান।
সম্প্রতি ভাসান চরে জাতিসংঘের এই মানবাধিকার দূত গিয়েছিলেন উল্লেখ করে জানান, বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী দ্বীপটি ‘সত্যিই’ বাসযোগ্য এই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। শরণার্থীদের সম্মতি ছাড়া এই ‘ক্ষতিকর-পরিকল্পনা’য় স্থানান্তরের ফলে একটি নতুন সংকট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
রোহিঙ্গাদের পক্ষের আইনজীবীদের মতে, শরণার্থীদেরকে ভাসান চরে নেয়া হলে তারা একটি ফাঁদের মধ্যে পড়বে। কারণ বর্ষাকালে এই নিচু ও কর্দমাক্ত দ্বীপে জীবিকা সংগ্রহের সুযোগ থাকবে খুবই কম।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে জনাকীর্ণ শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়। একাধিক আপত্তি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার এসব শিবিরের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য ভাসান চরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়ার আশা করছে।
নে স্যান লুইন নামের এক রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট গণমাধ্যমটিকে জানান, কর্মকর্তারা শুধু জোর করেই দ্বীপটিতে মানুষ নিয়ে যেতে পারবে। শিবিরগুলোর প্রত্যেকেই দ্বীপটিতে স্থানান্তরের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করবে। তাদের কেউ ভাসান চরে স্থানান্তরিত হতে চায় না।