কসবায় সরকারী খাল দখল ও ভরাটের হিড়িক ॥ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সহায়তার অভিযোগ

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ড্রেজার দিয়ে সরকারী খাল ভরাটের মহোৎসব চলছে। এলাকার ২/৩টি ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও সারা উপজেলায় ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করছে প্রায় হাজার খানেক ড্রেজার ব্যবসায়ী। এ সকল ড্রেজার মালিক ও খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো কোন kosba sorkare khalপদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। জানা যায় এসকল কর্মকান্ডে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। এতে করে প্রশাসন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে দ্বিমুখি নীতি অবলম্বন করার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক খাল দখলের ফলে কসবায় ভূ পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে। সম্প্রতি খাল ভরাট করার অনুমতি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবু জামাল খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এ খালটি ভরাট করলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকায় তৈরি হবে জনদূর্ভোগ ।
উপজেলার মান্দারপুরের এ খালটি গ্রামের পানি প্রবাহের প্রধান খাল। এ খালটি ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর প্রশাখা। এক সময় এ খাল দিয়ে বড় বড় বানিজ্যিক নৌকা চললেও বর্তমানে দখলে আর দুষনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এ সরকারী খালটি। একের পর এক দখল করে নিচ্ছে স্থানীয় কিছু দখলদার। অপরদিকে এক দখলকারী পুরো খাল দখল করে বাড়ি তৈরী করছেন। অভিযোগ দেওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষুব্দ খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে। এ খালটি বন্ধ হলে এলাকায় চরম জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হবে। ভুক্তভোগীদের দাবী এ বিষয়ে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলেও পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করেন। তাঁর গড়িমসির কারনে খাল দখলকারীরা ড্রেজার লাগিয়ে খাল ভরাট করছে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্যদিকে হাজী আবু জামাল খান স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এসব অভিযোগ সত্য নয়। খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভৃমি কর্মকর্তাকে বলেছি যারা খাল ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। খাল উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাসা স্থানীয় ভৃক্তভোগীদের।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম বলেন; খাল ভরাটের বিষয়ে ইউনিয়ন ভৃমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি কাজ বন্ধ করার জন্য এবং খালের উপর বাড়ি নির্মানকারীকে দ্রুত তার মালামাল অপসারন করে নিতে বলা হয়েছে অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.