মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের আহ্বান…প্রধানমন্ত্রীর

বা আ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আশা করি, বাংলাদেশের ডেন্টাল সার্জনরা তাদের মেধা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে জনসাধারণকে shosto datউদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হবেন।
২০ মার্চ ‘ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে’। এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ শুধু মুখগহ্বরের সঠিক যতœ না নেয়ার কারণে দাঁত, মুখসহ শারীরিক নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে। এই দিবসের মাধ্যমে এফডিআই ওয়ার্ল্ড ডেন্টাল ফেডারেশন যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়।’
দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সুস্থ-সবল জাতি গঠন অপরিহার্য। এজন্য সরকার ২০০৯ সাল থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি, বাংলাদেশ জনসংখ্যানীতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে।
নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সব দফতর নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম ও তথ্য জনগণকে পৌঁছে দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একটি সমন্বিত ও কার্যকর সেবায় রূপান্তরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস বিভাগ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় এনে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের ফলে বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.