সাবিনা আফরিন খান॥ ঢাকার কাফরুলের ইব্রাহীমপুরের মানুষ বিশেষ করে আদর্শপল্লীর আংশিক মানুষ এখন পানির অভাবে দুর্বীসহ জীবন-যাপন করছে। বিশেষ করে ওয়াসার কতিপয় অসাধু কর্মচারী ও কর্মকর্তার যোগসাজসে পানি বিক্রি এবং মিটারের কারচুপির মাধ্যমে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে যাচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ে বাধা সৃষ্টি করে নিজের পকেট ভারি করছে। কিছুদিন আগে অভিনব কায়দায় তল্লাসী চালানো হয় এবং কোনরকম নেতিবাচক বা ইতিবাচক প্রতিবেদন জমা না দিয়ে বরং তাদের অবৈধ ব্যাবসা রমরমাভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের জিরো টলারেন্স নীতেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবৈধ ব্যবসা আরো দ্বিগুন শক্তিতে চালিয়ে যাচ্ছে।
শুধু যে উল্লেখিত অংশে হচ্ছে তা কিন্তু নয় বরং এটি হলো সমগ্র ঢাকার হালচাল। সরকার যদি সঠিকভাবে দৃষ্টি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান এবং অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রন করে সততার আলোকে পরিচালিত করতে পারতো তাহলে বর্তমানে যে রাজস্ব আয় হচ্ছে ওয়াসার মাধ্যমে তার চারভাগের তিনভাগ বৃদ্ধি পেত এবং আগামীর উন্নয়ন কর্মকান্ড আরো গতিশীল হতো এবং সরকারের রাজস্ব ঘাটতির চির অবসান ঘটত।
আশা করি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে অবৈধ কাজগুলো বন্ধ করে সঠিক এবং সততার মানদন্ডে কর্ম সম্পাদন করে যাবেন। তাহলেই আমরা আমাদের কাংখিত অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে পারব।
ইব্রাহীমপুর বাসীর এই দূর্ভোগ শুধু ওয়াসার লোভাতুর কর্মীবৃন্দের মনোবাসনা পূর্ণের প্রতীকি মাত্র। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এখন সরকারের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।