ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করল মানব সৃষ্টি জড়ো হাওয়া

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]গত এক সপ্তাহে ঢাকায় ঘটে গেলে বিভিন্ন ভবনে এবং মাকের্টে আগুন নামক জড়ে হাওয়া। পাশাপাশি কালবৈশাখী ছোবল এবং সরকারের নেয়া তড়িৎ পদক্ষেপ। সবই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হয়েছে। কিন্তু ঘটনা ঘটার পূর্বে মাঝে মাঝে সরব হয় আমাদের প্রশাসন কিন্তু মাঝপথে যেন খেই হারিয়ে ফেলে। এই খেই হারানোতেই যতে জটিলতা বা আগামীর বিপদ সন্নিবেশিত থাকে। কিন্তু মাঝপথের খেই হারানো সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান এখন বর্তমানে জরুরী হয়ে পড়েছে।
নির্বাচন নিয়ে আমদের যে সকল ভাবনা বা গুঞ্জন তা কিন্তু বাস্তবের সাথে মিলে না বরং নির্বাচন এবং জনগণ এখন একটু দুরত্ব তৈরীতে ক্রিয়াশীল ভুমিকায়। তাই নির্বাচন এবং জনগণ সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। যে সমস্যা এর মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে তা দূরীভ’ত করে সামনে এগিতে যেতে হবে। অতি আনন্দ এবং আত্মতুষ্টি আমাদেরকে সমস্যার ভেড়াজালেই ফেলবে বলে মনে হয়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে বেড় হয়ে আসার জন্য আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে গভির চিন্তায় গভেষনালব্দ মূল এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। নির্বাচনী সংগর্ষে জীবন বিপন্ন হয়েছে এবং হবে কিন্তু নির্বাচন সম্পন্ন করে দায়িত্বরতরা জলোচ্ছাসে জীবন দিবে এটা মেনে নেয়া যায় না। কারণ নির্বাচনী ব্যাবস্থায় এই ত্রুটি মেনে নেয়া যায় না। কেন সচেতন হয়ে আরেকটু ভাল ব্যবস্থা করা হলো না সেটা খতিয়ে দেখে আগামীতে যেন কোন প্রাণ না জড়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনী ব্যাবস্থায় জীবনের প্রয়োজনে ও নিরাপত্তার প্রয়োজনে আরেকটু সংস্কার করা জরুরী।
জাতীর অভিভাবক হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সকল পরামর্শ এবং নির্দেশনা দেন তা আমাদের সকলকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে নতুবা সমুহ বিপদের মধ্যে জীবন অতিবাহিত হবে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায় শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এর তৈরী দালান এখন হাইকোর্টের নির্দেশে নিজ খরচে ভাংতে হচ্ছে। এটা যেমন কষ্টের ও দুখের ঠিক তেমনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এর বাস্তবায়ন আশু কাম্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী; তিনি কিন্তু পূর্বে বলেছিলেন এই জায়গায় ভবন না করতে। তখন যদি ওনার কথা শুনা হতো তাহলে আজ আর এই পরিস্থিতি আমাদেরকে দেখতে হতো না এবং নতুন ভবনের ভিত্তি প্রস্তুরও স্থাপন করতে হতো না। অভিভাবকের পরামর্শ না শোনার নেতিবাচক দিক আমরা শৈশব থেকেই দেখেছি এবং আগামী দিনেও দেখব যদিনা আমার গুরুত্ব দিয়ে পরামর্শ অনুযায়ী না চলি।
এইতো বহুতল ভবন সম্পর্কিত এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হউক। আগামী দিনে ঢাকাকে এবং মানুষের জীবনকে নিশ্চয়তায় নিয়ে শান্তি ও আনন্দ এবং স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখার প্রয়োজনে এখনই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবায়নে ঝাপিয়ে পড়–ন। আগামীর সমৃদ্ধি এবং শান্তি এবং আনন্দের নিশ্চয়তাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। যেন অবাক বিশ্ব তাকিয়ে থাকে এবং সুযোগ খুঁজে বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে। যেখানে আমাদের পরম শ্রদ্ধার নির্ভরযোগ্য অভিভাবক আমাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে পথ দেখিয়েছেন এবং যুগোপযোগী নির্দেশনা দিয়েছেন সেখানে অনর্থক বড় গলা ফাটানো এবং বিভিন্ন কথা বলার আর প্রয়োজন নেই বরং ঐ নির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হওয়া উচিত। যারা এখনও কথা বলে বেড়াচ্ছেন এবং জাতির সামনে নিজেদেরকে ক্ষেয় করছেন তাদেরকে বলব সকল বিবেদ ভুলে এমনকি নিজেকে জাহির করার মনোভাব ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঐক্যের যুগসূত্র সুদৃঢ়ভাবে গেথে তুলুন এবং আগামীর সুফল গড়ে তুলুন এমনকি নিজেও ভোগ করুন।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এখন চলমান এবং এবারই সরকারের আন্তরিকতা ও চৌকস বুদ্ধিদৃপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এখনও সুযোগ সন্ধানীরা কোন অপ সুযোগ কাজে লাগাতে পারতেছে না। তাই সবাইকে সাধুবাধ জানাই এবং আরো নতুন সাজে নতুন আঙ্গিকে এই শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগামীতার বাধাগুলোকে প্রতিহত করে নির্মূল করুন। কথার চেয়ে কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করুন এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখুন। ঘুণেধরা অবস্থার অবসানকল্পে এগিয়ে যান এবং নতুন বিশ্বে বাংলাদেশকে শিক্ষার আলোকবর্তিকায় প্রজ্জ্বলিত করুন। যাতে বাংলাদেশ হয় পৃথিবীর শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষানুরাগীদের অভয়ারন্য এবং এগিয়ে যাওয়ার ও নেয়ার দৃষ্টান্তে অগ্রগামী।
ঢাকার উন্নয়নের মহাসড়ক যেন গোছানো ভাবমূর্তিতে দৃশ্যমান হয় সেইদিকে নজড় দেয়া জরুরী। মেট্রোরেল, আন্ডারপাস, উড়াল সেতু, ওভারব্রিজ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং বাস্তা-ঘাট মেরামতের কাজে শৃঙ্খলায়ন এবং গতিশীলতা বিরাজমান রাখা আবশ্যক। জনদূর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা জরুরী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় ভাবমূর্তী উজ্জ্বলের জন্য কাজ করা আবশ্যক। ব্যক্তি স্বার্থ এবং গোষ্ঠীস্বাস্থ্য ব্যতিরেখে সার্বিক সামগ্রীক টেকসই উন্নয়ন স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে আমাদের সবাইকে এই উন্নয়ন কাফেলায়। পিছিয়ে পড়া মনোভাব পরিত্যাগ করতে হবে এবং আগামীর জন্য নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নির্ভার রেখে দেশের সম্মান ও সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
জাতীয় সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য সবাইকে আহবান জানাই। কোন অকল্যানকর দূর্ভাবনা যেন আমাদেরকে আর স্পর্শ করতে না পারে সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দাবি আদায়ের হাতিয়ার যেন জনগণ না হয়, পাশাপাশি সম্পদ হউক রাষ্ট্রিয় মালিকানায় বা হউক ব্যক্তি মালিকানায়; উভয়কেই রক্ষায় দায়িত্ব সচেতন হতে হবে। কোন অকল্যানের আহবানে গ্যা ভাসিয়ে দিলে চলবে না বরং অকল্যানকে বিদায় করার জন্য কাজ করে যেতে হেবে। রাস্তায় যান চলাচলে সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা পারাপারেও সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার। কারণ আমার জীবন রক্ষার দায়িত্ব আমার নিজেরই। অন্যের উপর জীবন সপে দেয়ার কোন কারণ এখন আর অবশিষ্ট নেই।
বিজ্ঞানের আস্ফালনে উন্নয়নের সাফল্যে গতিশীলতা বৃদ্ধি দরকার। আগামীর প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে এখনই নতুন কর্মসূচীর নতুন আঙ্গিকে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। কারণ বিশ্ব দেখেছে ও জেনেছে আমাদের সক্ষমতা তাই নতুন সক্ষমতায় পৌঁছতে নতুন কর্মসূচীর প্রয়োজন। আজ বিজ্ঞান, চিন্তা, কৌশল, এবং আমাদের দৃঢ়তা একসঙ্গে গাথুনি দিয়ে সমান্তরালে এগিয়ে নিতে হবে নতুবা আমরা লাইনচ্যুত্য হয়ে ছিটকে পড়তে পারি। সুতরাং সময় এখন আমাদের, সময় এখন তারুন্যের, সময় এখন যৌবনের, সময় এখন নতুন পুরানের সমন্বয়ের।
চতুর্দিকে যে অভিযানগুলো পরিচালিত হচ্ছে তা যেন দক্ষতার আবরণে এবং সুক্ষ চুলছেড়া বিশ্লেষণে এগিয়ে যায় সেইদিকে লক্ষ দিতে হবে। নতুবা আবার নতুন কোন ক্ষোভের আবরণে ভবিষ্যতের অস্থিতিশীলতা আমাদেরকে ঘ্রাস করবে। তাই সবাই মিলে সবার প্রয়োজনে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহৎ স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই হউক আমাদের দৃঢ়তা । আগামী দিনে আমাদের সকল প্রচেষ্টাই হউক মানবতার উন্নয়নে, আত্ম সামাজিকতার উন্নয়নে, জাতিস্বত্তার উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে, মানসিকতার উন্নয়নে, দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়নে, ক্ষমাশীলতার উন্নয়নে, সার্বভৌম রাষ্ট্রের সার্বিক মঙ্গলের কল্যাণের উন্নয়নে এবং সর্বোপরি শেখ হাসিনার উন্নয়ন যাত্রার অগ্রগতির গতিশীল উন্নয়নের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.