ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খাড়েরা ইউনিয়নের পাতাইসার গ্রামে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জায়গা দখল করে ঘর নির্মান করছে মামুন মিয়া নামে এক প্রভাবশালী। নিরুপায় হয়ে সুবিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় ভুক্তভূগী পরিবারটি। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে তারা। ওই জায়গায় নিয়ে আদালতে মামলা চললেও তা মানছেনা প্রতিপক্ষের লোকজন। এদিকে জায়গার প্রকৃত মালিক সামদ্দোহা আদালতের শরনাপন্ন হলে কেউ যাতে ওই জায়গায় জোরপূর্বক কোন প্রকার কর্মকান্ড না চালায় এবং শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষার্থে বিজ্ঞ আদালত ওই জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ বিষয়ে কসবা থানাকে আগামী ২০ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখের মধ্যে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলেন বিজ্ঞ আদালত। পুলিশ কর্তৃক প্রতিবেদন দেয়ার পূর্বেই বিজ্ঞ আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে নির্বিঘেœ জোরপূর্বক বসতঘর নির্মান করছে জবরদখল কারীরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাতাইসার গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে সামছুদ্দোহা গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান আমার পিতা সাফ কাবলা দলিল মুলে ক্রয়সূত্রে ১৭ শতক জায়গার মালিক হলেও প্রতিবেশী প্রভাবশালী মামুন মিয়া গং এই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাল-চক্রান্ত চালিয়ে আসছিলো। প্রতিপক্ষের নির্যাতন, অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন ২০১০ সালে আবুল কাসেম। এরই মধ্যে তিনি মৃত্যু বরন করলে প্রতিপক্ষের লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে আবুল কাসেমের ৮ শতক জায়গা দখলে নেয়। আবুল কাসেমের মৃত্যুর পর তার ছেলে সামদুদোহা মামলায় ২০১৪ সালে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ১৯৭০ সালের বৈধ দলিল মুলে ১৭ শতক জায়গার বৈধ মালিকানা পায়। কিন্তু আবুল কাসেমের ওয়ারিসগনের ১৭ শতক জায়গা থেকে ৮ শতক জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয় মামুন মিয়া গং এবং ওই জায়গায় জোরপূর্বক বসত ঘর নির্মান করছে । মামুন গং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচেছ বলে জানায় সামছুদ্দোহা। ঘর নির্মান বন্ধ করতে পুলিশ কোন জোরালো ভুমিকা নেয়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে সুবিচার পেতে মাননীয় আইনমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অহায় সামছুদ্দোহার পরিবার।
এ বিষয়ে খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহাম্মদ খান সত্যতা স্বীকার করে বলেন: এই জায়গা দীর্ঘদিন যাবত মামলা-মোকাদ্দমা চলমান থাকলেও এই জায়গার উপর মামুন গং ঘর নির্মান করছেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন তা আমার জানা নেই।