প্রশান্তি ডেক্স॥ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি দপ্তরে একটা অভিযোগ বাক্স রাখবো। শুনতে চাই কারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জানতে চাই কাদের কারণে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেবা সহজীকরণ বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বুঝতে চাই মানুষ কতটা সেবা পাচ্ছে। কারণ আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না। আমরা আসবো যাবো, কাঁধে কোনো দায় নেবো না, এটা হতে পারে না। যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন, তারা চাকরিতে থাকবেন। যারা অস্বচ্ছ হবেন, দুর্নীতির সঙ্গে থাকবেন, তাদের চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে হবে অথবা অন্য কোথাও চলে যেতে হবে।
রেজাউল করিম বলেন, আমি যতদিন এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি, আমি চাইব মন্ত্রণালয়সহ দপ্তর-সংস্থার সবাইকে সততার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আবাসন নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সকলের জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন। সেই লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। যখন দেখি নাগরিকগণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অথবা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাঙ্ক্ষিত আচরণ না পেয়ে অসহায় অবস্থায় ঘুরছে, তখন মনে হয় ঐ জায়গায় আমি থাকলে একই কষ্ট আমার হতো।
তিনি বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে অনেক ভোগান্তির অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। দেড় কাঠা বা পৌনে দুই কাঠা জমির মালিকের একটা বিক্রয় অনুমতি বা একটা মিউটেশনের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়।
মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক অভিযোগে আমরা জর্জরিত। সে জন্য স্বচ্ছতার জায়গায় আসার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে ১ জুন থেকে এবং রাজউকে ১ মে থেকে সমস্ত ব্যবস্থাকে আমরা অটোমেশন অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসছি। বাড়িতে ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে প্ল্যান সাবমিট করা যাবে, মিউটেশন আবেদন করা যাবে। রাজউক বা গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অফিসে যাওয়া লাগবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে ঘুষ খাই না, কমিশন নেই না। কাউকে ঘুষ খেতে দেবো না, কমিশন খেতে দেব না। সিন্ডিকেটের ব্যুহ আমি ভেদ করবোই, এটা আমার আত্মবিশ্বাস। ব্যুহ ভেদ করতে না পারলে আমি হারিয়ে যাবো অথবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যাদের কারণে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তারা হারিয়ে যাবে। সিন্ডিকেটের ব্যবসা কেউ করতে চাইলে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে।
ব্রিফিংয়ে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন বক্তব্য দেন।