প্রশান্তি ডেক্স॥ ভোক্তা পর্যায়ে যেতে যেতে ওয়াসার পানি প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবহার অযোগ্য হয়ে যায় বলে এবার জানালেন খোদ সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওয়াসার পানি ব্যবহার উপযোগী নয় দাবি করে গত ক্ষুব্ধ হয়ে যারা তাকে, না ফুটানো পানি দিয়ে শরবত খাওয়াতে গিয়েছিলেন, তারা মানসিকভাবে সুস্থ নয় বলে দাবি করেন তিনি। তবে পানি গবেষকরা, সুপেয় পানি না পাওয়ার জন্য ওয়াসাকে দায়ী করে বলছেন, ১ শতাংশ দূষিত হলেও সে পানি কোনোভাবেই আর ব্যবহার উপযোগী থাকে না।
‘রাজধানীর পানি শতভাগ সুপেয়’ ওয়াসা এমডির এমন বক্তব্যের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে না ফুটানো পানি দিয়ে শরবত খাওয়াতে ওয়াসা ভবনে যান কয়েকজন ক্ষুব্ধ নগরবাসী। তবে শরবত না খেয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ লাইন ঠিক করে পরে শরবত খাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তাদের কাছে।
ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বুধবার ওয়াসা এমডির কার্যালয়ে গেলে তিনি এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হন নি। ওয়াসার অন্য কর্মকর্তারাও এমডির নিষেধ রয়েছে জানিয়ে কথা বলেন নি গণমাধ্যমের সঙ্গে।
তবে টেলিফোনে সংস্থাটির এমডি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রতিবাদের কর্মসূচি সাজানো ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ সম্ভব নয়। লাইনের কারণে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে প্রায় ৪০ ভাগ পানি।
ওয়াসার এমডি তাসকিন বলেন, ‘তাকে দিয়ে এই ষড়যন্ত্র করালো কে? এটা একটা সাজানো নাটক। এটা তার বাসার পানি না। তাহলে সে আসলো, তার বাসার পানি নোংরা এবং সে এটার প্রতিবাদ জানাতে এসেছে। তাকে কে সহযোগিতা করেছে এটা জানা দরকার। তার ভাই বলেছে, মিজানুর রহমানের মাথায় একটু গোলমাল আছে।’
লাইনের সমস্যার দায় ওয়াসাকেই নিতে হবে জানিয়ে বুয়েটের এ বিশেষজ্ঞ বলছেন, না ফুটিয়ে কোনভাবেই ওয়াসার পানি ব্যবহার করা যাবে না।
বুয়েটের পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬২ শতাংশ ভাল, ৩৮ শতাংশ খারাপ, এই কথা বললে চলবে না। ১০০ শতাংশই ভাল থাকতে হবে। পানিতে ব্যকটেরিয়া থাকা যাবে না। এর জন্য যে লিকেজ আছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। সেগুলো যদি তারা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে তবে পানি কখনই ভাল থাকবে না। তবে পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলে ভোক্তা পর্যায়ে বেআইনি লাইন নেয়া বন্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।