বাড়ি বাড়ি গিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আনা যাবে না : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স॥ বাড়ি বাড়ি গিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আনা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের কর্মসূচি জানাতে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।
মোট শ্রমিদের ১৫ শতাংশ পোশাক শ্রমিক। পোশাক শ্রমিকরা যে সুবিধা পাচ্ছেন অন্য ৮৫ শতাংশ শ্রমিক তা পান বলে বিশেষজ্ঞদের মত তুলে ধরে একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চান।
জবাবে ম্ন্নুুজান বলেন, “আমাদের কাছে কমপ্লেইন না আসলে তো বাড়ি বাড়ি যেয়ে কমপ্লেইন নিয়ে আসা যাবে না, যাবে?”chomek bare bare
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না- সেই প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুর্ঘটনাজনিত কারণে অসুস্থ হলে এবং সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য সহায়তা দিয়ে থাকি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, সাধ আছে, সাধ্য থাকারও তো বিষয় আছে।”
কিছু খাতের শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে, অন্য খাত নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে মুন্নুজান বলেন, “৪২টি খাত আছে সেখানে আমরা মজুরি নির্ধারণ করতে পারি।”
এ বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, “৪২টি সেক্টরের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৮টি সেক্টরের ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ১৮টি সেক্টরের ন্যুনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে, বাকিগুলোর মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।”
মে দিবসের কর্মসূচি
প্রতিবারের মতো এবারও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও মে দিবস পালন করবে সরকার।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, উন্নয়নের শপথ করি- প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার মে দিবস পালন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে গত বুধবার সকালে দৈনিক বাংলা মোড়ে শ্রম ভবনের সামনে থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত র্যালি, বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা আলাদা বাণী দেন। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপগুলো সজ্জিত করা হবে।
এছাড়া ২ মে বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠায় মালিক শ্রমিক ও সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার হবে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোর যৌথ সমন্বয়ে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্বাবধানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
“২০১৮ সাল থেকে গত মার্চ পর্যন্ত ৩৫২টি ট্রেড ইউনিয়নকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করেছি।
“কারখানা, দোকান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করতে লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন (লিমা) চালু করা হয়েছে।”
শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনাসহ শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.