কুয়েতিরা নয়, আমরাই আমাদের ক্ষতি করি

প্রশান্তি ডেক্স॥ ‘১৯৯১ সাল পর্যন্ত কুয়েতে বাংলাদেশিদের অনেক সুনাম ছিল। দেশটির স্বাধীনতার পর অভিবাসীদের ক্রাইম প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ’ নাম ছিল না। এখানে সেনাবাহিনী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পদে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন।’
‘কিন্তু ১৯৯১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বিভিন্ন অপরাধ ও মামলার আসামিরা আসতে শুরু করে। এদেশে এসে বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। কুয়েতিরা কারো ক্ষতি করে না। আমরাই আমাদের ক্ষতি করে থাকি।’koyate ny amra
দীর্ঘ ৩৫ বছর কুয়েতের প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ এসব বলেন। তিনি উন্নত জীবনের আশায় ১৯৮৪ সালে কুয়েতে পাড়ি জমান। প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে বৃহস্পতিবার ২ মে রাতের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন।
এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অপরাধীরা কুয়েতে এসেও বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। ফলে কুয়েত সরকার নতুন নতুন শর্ত আরোপ করতে শুরু করে শ্রমিকদের জন্য। এসব কারণে ভিসাও বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশিদের বর্তমানে লামানা করে ওয়াস্তা দিয়ে ভিসা বের করে এই ভিসাগুলো হাত বদলের কারণে সাত থেকে আট লাখ টাকায় বিক্রি হয়।’
মোয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘কোম্পানির উচ্চপদস্থ কিছু বাংলাদেশির কারণে হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। নিশ্চিত করে বলতে পারি এসব শ্রমিক সমস্যার ঘটনায় কুয়েতিদের কোনো হাত নেই।’
‘বিদেশে প্রত্যেকের পরিচয় হচ্ছে বাংলাদেশি। বাহিরের দেশে ভালো কাজ করলে যেমন দেশের সুনাম বৃদ্ধি হয় তেমনি কোনো খারাপ কাজ করলে দেশের বদনাম হয়। পৃথিবী যে যেখানেই থাকি না কেন আমাদের জন্মভূমির কথা মনে রাখতে হবে।’
মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ উদ্দিন ৩-৪টি কোম্পানিতে কাজ করেছেন। সর্বশেষ আল সোমলি অ্যান্ড ওযারিশ কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে পঁচিশ বছর কর্মরত ছিলেন। দেশের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে। এক মেয়ে ও এক ছেলে মেয়ে মরিয়ম চাকরি করছেন।
ছেলে মারুফ মালয়েশিয়া ট্রেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য মাস্টার্স শেষ করেছে। তার দুই ভাই প্রফেসার সামসুদ্দিন আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন আহম্মেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.