কাজ ও খাবারের সন্ধানে ভারতীয়রা বাংলাদেশে আসছে

প্রশান্তি ডেক্স॥ কাজ ও খাবারের সন্ধানে ভারতের ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী গ্রামের আদিবাসীরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতের এই রাজ্যের সিপিএম দলীয় বিধায়ক রতন ভৌমিক এ মন্তব্য করেছেন।kaj o khaber
পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরার গ্রামগুলোতে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সিপিএমের এই নেতা বলেন, গত রোববার সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল আগরতলা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধলাই জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়েছিল। সেখানে তারা দেখেন গ্রামবাসীদের অধিকাংশই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। কেউ কেউ মারাও গেছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্যই নেই। পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির প্রচন্ড অভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। ১০০ দিনের কাজসহ কোনো সরকারি প্রকল্পের কাজ হয় না। ফলে ওই এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা কাজ ও খাবারের সন্ধানে প্রায়ই বাংলাদেশ প্রবেশ করেন।
সিপিএম দলীয় এই বিধায়ক বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ধলাই জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর বাসিন্দারা এতটাই গরীব যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে পারেন না। আর্থিক অনটন তাদের প্রধান সমস্যা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই গত ৪-৫ মাসে কোনো কাজ পাননি।
ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, ধলাই জেলা পরিদর্শনের পর ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ত্রিপুরার স্বাস্থ্যসচিব সমরজিৎ ভৌমিকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেয় সিপিএম। এতে ম্যালেরিয়া প্রভাবিত গ্রামগুলোতে অবিলম্বে বিশেষ স্বাস্থ্য শিবির স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিশুদ্ধ পানি ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছে সিপিএম।
২০১৮ সালের জুনে লোকসভায় প্রথম এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সিপিএম সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী। কিন্তু সেসময় বিষয়টি অস্বীকার করেছিল রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.