বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ অস্ট্রিয়ায়

প্রশান্তি ডেক্স॥ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা সবার কাছে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে প্রতি বছর প্রচুরসংখ্যক পর্যটক ভিয়েনায় গিয়ে থাকেন। ভিয়েনাতে অস্ট্রিয়ার স্থানীয় খাবারের সঙ্গে বেশকিছু এশিয়ান খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আছে বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্টও। এর মধ্যে অন্যতম- ঢাকা রেস্টুরেন্ট।ashteyan
কথা হচ্ছিল ভিয়েনার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকা রেস্টুরেন্টের মালিক মিজানুর রহমান শ্যামলের সঙ্গে।
জানা গেল, বিক্রমপুরের এই শ্যামল দেড় যুগ ধরে ভিয়েনায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা রেস্টুরেন্ট। যে কয়েকজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সাফল্যের সঙ্গে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে শ্যামল অন্যতম। তিনি নিজেই কুক হিসেবে এ রেস্টুরেন্টে কাজ করে থাকেন এবং রান্নার বিষয়ে ভিয়েনার স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।
শ্যামল একাই এ রেস্টুরেন্ট চালনা করেন। দেখা যাচ্ছে, ঢাকা রেস্টুরেন্টে নিয়মিত যাওয়া-আসা করে থাকেন প্রচুর বাংলাদেশি, ভারতীয় ও বিদেশি নাগরিক।
মিজানুর রহমান শ্যামল জানান, ব্যবসা করতে তেমন একটা সমস্যা হয় না। ভিয়েনায় ব্যাবসায়ীদের জন্য সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। কেননা এ দেশে ব্যবসা করতে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। এমনকি করের পরিমাণও খুব একটা বেশি না। তবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- স্থান নির্বাচন করা। কারণ, সঠিক স্থানে ব্যবসা না করলে অনেক সময় ক্ষতির সন্মুখীন হওয়া লাগে।
ঢাকা রেস্টুরেন্টে বিশেষ বাংলা খাবারে স্বাদ পাওয়া যায়। সব ধরনের বাংলাদেশি খাবার পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভারতীয় ও অস্ট্রিয়ার কিছু স্থানীয় খাবারও রয়েছে। একটি বিষয় না বললেই নয় এসব খাবার শ্যামল নিজ হাতে তৈরি করে থাকেন। প্রায় ২০০ লোক একসঙ্গে বসে খাবার খেতে পারবে এ রেস্টুরেন্টে।
তবে এ রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন বেশি করা হয়ে থাকে। মিজানুর রহমান শ্যামল আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যাবসায় এগিয়ে আসবেন এবং সাফল্য লাভ করবেন। সবাইকে ঢাকা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.