বা আ॥ হ্যা, আমি বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বলছি।
আজকের হাস্যজ্জ্বল বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে যে সন্তান হাস্যজ্জ্বল শেখ হাসিনাকে দেখছে সে হয়তো জানেনা প্রায় ২১ বার প্রাণনাশের চেষ্টা থেকে আল্লাহতালা তাকে রক্ষা করেছেন। এবং তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সে জানেনা তার পিতা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করার পর প্রায় ৬ বছর শেখ হাসিনাকে দেশের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
ভাগ্যগুনে সেই নির্মম হত্যাকান্ডের সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন।
সে জানেনা, পরিবার হত্যার নির্মম সত্য জানার পরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা একবার দেশে ফিরে তার বাবা ও পরিবারের রক্তাক্ত সময়কে বুকে জড়িয়ে নিতে পারেনি। একবার ইংল্যান্ড একবার ইন্ডিয়া করে বেড়িয়েছেন, আর তখন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল ও দলের প্রধান জিয়াউর রহমান হো হো করে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছে।
কিন্তু প্রকৃতি বড় নির্মম প্রতিশোধ নেয়। সেই প্রতিশোধ রুখে দেবার ক্ষমতা মানুষের থাকেনা। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতে আওয়ামীলীগের দলিয় কাউন্সিলে সভাপতি নির্বাচিত হয় শেখ হাসিনা।
এরপর সময় শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৯৮১ সালের ১৭ই মে এক বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। পুরাতন বিমানবন্দর থেকে প্রায় সমগ্র ঢাকা জনসমাবেশ মনে করিয়ে দিয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সময়কে।
সেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে শেখ হাসিনা কয়েকটি বাক্য ছুড়ে দেয় সমগ্র বাংলাদেশের সামনে।
“মানিকমিয়া এভিনিউতে লাখো জনতার উপস্থিতিতে এক সমাবেশে শেখ হাসিনা বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন,“সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।
“আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই।”
একজন সন্তান তার পরিবারের নির্মম হত্যায় এভাবেই আহাজারি করে ফিরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। আজকের আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার সেই পরিবার হারানো মেয়েটি। আজকের মধ্যম আয়ের দেশের রুপকার সেই মেয়েটি যে ৬ টি বছর দেশের মধ্যে প্রবেশ করতে এদিক ওদিক কেঁদে বেড়িয়েছে।
এমন কষ্ট বুকে নিয়ে দৃপ্ত কন্ঠে নৈতিক শপথ নেয়া শুধু শেখ হাসিনাকেই মানায়। আল্লাহ্ তাকে তার রহমতের ছায়ায় রাখুন।”স্বাগতম হে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা”।