উপমহাদেশে নির্বাচন এবং ধারাবাহিকতা

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]এই উপমহাদেশে নির্বাচন হচ্ছে এবং এই নির্বাচনে জনগণ চলমান ধারাবাহিকতাকে রক্ষা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন গতিকে। সদ্য শেষ হওয়া ভারতের নির্বাচনেও এই ধারাবাহিকতাই চলমান রেখেছে; যার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। তবে বর্তমানে একটি রিতি বা রেওয়াজে পরিণত হওয়া ভুল ধারনার অবসান ঘটেছে। যুগ পাল্টায় এবং সেই সঙ্গে চাহিদা ও রুচি এবং মতের ভিন্নতাও পরিলক্ষিত হয়। পূর্বে প্রচলিত ছিল যে, প্রেজেন্ট গর্ভমেন্ট অলওয়েজ ফেলিউর ( বর্তমান সরকারের পরিবর্তন বা পতন অনিবার্জ্য)। কিন্তু না মানুষের মন পরিবর্তন হয়েছে এবং ভুল ধারনার ব্যাত্যয় ঘটিয়ে বাস্তবতাকে আকড়ে ধরে এই উপমহাদেশের ইতিহাস নূতন করে লিপিবদ্ধ করণ শুরু হয়েছে। যার শুরুটা করেছিলেন বাংলাদেশের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরব স্প্রিং নামে খ্যাত ধারনারও ব্যাত্যয় ঘটিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বলা যায় এই উপমহাদেশের জয়রথ এখন হাসিনা রথে পরিণত হয়েছে। মানুষ ভালকে ভাল আর খারাপ কে খারাপ বলতে শিখেছে এবং বাস্তবে প্রমান করে দেখিয়ে যাচ্ছে। নিজের, দেশের এবং আগামী প্রজন্মের উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েই জনগণ মহাপ্রলয়ের হুংকার তুলে এগিয়ে যাচ্ছে। যার শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। কত অপকথা এবং নেতিবাচক অপরাজনীতিই না হয়েছে এই বিজয় রথকে থামাতে কিন্তু তাতে কোন ইতিবাচক ফলতো হয়ইনি বরং নেতিবাচকতার অবসানকল্পে টনিক হিসেবে কাজ করেছে।
রাজনীতি এখন কৌশল এবং বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে যাচ্ছে। যা আগে ছিলো পেশি শক্তি এবং ভয়ভীতির ও পেছনের অন্ধকার প্রলয়ের। কিন্তু এখন স্বচ্ছ ও দিবালোকের মত স্পষ্ট এবং ইতিবাচক আগামীর। যেমনটি ঘটেলিলো বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে ঠিক তেমনটিই ঘটেছে এখন ভারতের রাজনীতির ময়দানে। নির্বাচনী মাঠে ভুল করার কোন অবকাশ নেই, এমনকি নির্বাচনী চালে কোন ভুল করার সুযোগও নেই। যারাই বুদ্ধির হেরফেরে অংক কষতে ভুল করবে তারাই সেবকের ভুমিকা থেকে ছিটকে পড়বে। আর তাই হয়েছে বাংলাদেশর রাজনীতিতে এবং ভারতের রাজনীতিতে। তবে এই দুইয়ের সামগ্রীক যোগসূত্র মেলালে বলা যায় উপমহাদেশের রাজনীতি এখন শেখ হাসিনার শেখানে ও দেখানো রাজনীতির ফসলে পরিণত হয়েছে। আগামীতে আমরা দেখব বিশ্ব রাজনীতি শেখ হাসিনার শিক্ষায় এবং দিক্ষায় পর্যবসিত হবে এবং বাংলাদেশ এক নতুন ও অভিন্ন মর্যাদার আসনে উন্নীত হয়ে শিক্ষকের ভুমিকা পালন করবে।
এখন সময় বুদ্ধি ও বিবেচনা এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এই ক্ষেত্রে যারাই পিছিয়ে থাকবে তারাই বাংলাদেশ এবং ভারতের দৃষ্টান্তে পরিণত হবে। তবে নেতিবাচক রাজনীতির কোন সুযোগ আর অবশিষ্ট নেই। পিছনের দরজা খ্যাত অন্ধকার রাস্তাও আর খোলা নেই। কারণ সবদিকেই আলোকিত এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহা পরিকল্পনায় ঘেরা এক নিছিদ্র পাহাড়া। তাই এবাবের নির্বাচনে বিএনপি যে ভুল করেছে ঐক্যফ্রন্ট এবং গুণেধরা এক মরাকাঠকে দায়িত্বদিয়ে আর সেই দায়িত্বে দূর্নীতির বরপুত্রের রাক্ষসী থাবায় দায়িত্ব নিয়ে; ঠিক একই ভুল করেছে ভারতের সরকার বিরোধী জোটগুলো। তারা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে গেলে হয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো কিন্তু তারা তা না করে শুধু ক্ষমতার চিন্তায় নিজেরা স্ব স্ব উদ্যোগে নির্বাচনী মহড়ায় অবর্তীর্ণ হয়ে সরকার বা মুদি সাহেবকে নিশ্চিত বিজীত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। যা তারা বুদ্ধি ও বিবেচনায় নিতে আরো সময় লাগবে এবং যখন তা বুঝতে সক্ষম হবে তখন ঘড়ির কাটায় পড়ন্ত বিকেল। আর বিকেল ফুড়িয়ে আরো ৫টি বছর অপেক্ষার প্রখর গুনতে হবে এবং নতুন কর্মকৌশল ঠিক করে এগিয়ে যেতে হবে।
মূদি সরকারের সাফল্য বলি আর নাই বলি তবে মুদিতে তারা সন্তুষ্ট এবং মুদিকেই তারা চাই এটা সত্য কারণ মুদি বিরোধী শিবীর নতুন কোন আশার বানি শোনাতে এমনকি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে মুদি সাহেব যে ইন্ডিয়াকে উন্নতির সোপানে তুলতে পারেন নি তাকিন্ত সবাই জানে এবং বিগত সরকারের করা ওয়াদাগুলোও সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে পারেন নি। তারপরও ইন্ডিয়ার জনগণ মুদি সাহেবকে সুযোগ দিয়েছেন যেন তিনি তার করা ওয়াদাগুলো পূর্ণ করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রয়েছে ভিন্নতা। তা হলো সকল ওয়াদা পুর্ণ করে নতুন ওয়াদায় যাত্রারম্ভ করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। যার চমক হলো চমকে চমকে চমৎকৃত এক নতুন ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে শেখানো আদর্শে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তব রূপ দৃশ্যায়ন করতে এবং বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ গতি এবং উন্নয়ন শিখরে অবস্থান নিশ্চিত করতে। এখানে একটি কথা বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের জনগণও চরম খুশি মুদিজি ফের ক্ষমতায় আসায়। ভাল কথা এই মুদিজি দ্বারা আমাদের কোন উপকার হবে না যা আগেও হয়নি। তবে বন্ধুপ্রতিম সু-সম্পর্ক এক চমৎকার ভাবমূর্তীতে সমুর্জ্জ্বল। যা অতিতের চেয়ে একটু বেশিই বটে। তবে এই সম্পর্ক মুদিজির নিজের প্রয়োজনে। বাংলাদেশের প্রয়োজনে নয়। ভারত ভুখন্ডকে নিরাপদ রাখতে এবং ঐক্য ঠিক রাখতে বাংলাদেশের সহযোগীতা প্রয়োজন আর তার সবটুকুই তিনারা পেয়ে যাচ্ছেন আমাদের কাছ থেকে। তাই তিনারা এখন নমনিয় এবং ভাতৃপ্রতীম সম্পর্ককে মধুর করে রাখতে চান। সেই সাথে আমরাও আমাদের প্রাপ্য অধিকারটুকু আদায়ে সু-সম্পর্কের সীড়িকে ব্যবহার করতে প্রারঙ্গম হবো। এটাই হবে আমাদের কাম্য এবং স্থীরিকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আমাদের নির্বাচনী ধারাবাহিকতায়ও নতুনত্ব আসছে এবং সম্মিলিতভাবেই সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হচ্ছে এবং সরকার পরিচালনায়ও গুনগত পরিবর্তন এনে সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। যা সংসদিয় গণতন্ত্রে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নতুন এক রোলমডেল দৃশ্যায়িত হয়েছে এবং এর জ্যোতি ছড়িয়ে যাচ্ছে সর্বত্র। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এখনই নতুন কৌশল এবং কার্যক্রমকে আরো স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনও রয়েছে এমনকি নির্বাচনী আইনে যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে অথবা নতুন কোন আইনের সংযোযন বা বিয়োজন প্রয়োজন হলে তা সার্বজনীন কল্যাণের নিমিত্তে করার এখনই সময়। কারণ বিশ্ব এখন আমাদেরকে অনুসরণ ও অনুকরণ করছে। তাই আমাদের আরো নিখুত হতে যা যা করণীয় তাই করার উর্বর সময় এখন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও যেন একটি রোল মডেল দ্বার করানো যায় তার জন্য সামগ্রিক চেষ্টা করে এগিয়ে যেতে হবে। কোন প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ বা নীতি নিয়ে আর এগিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের নেই। কারণ আমরা আমাদের অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করেছি যা বহি:বিশ্বকে এখন হতভাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে এমনকি শিখতে ও নিজেদের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে চেষ্টারত দেখা যাচ্ছে।
সামগ্রীকভাবে দেশের দিকে দৃষ্টি দিলে বলা যায় সকল ইতিবাচক পদক্ষেপের সঙ্গে এখন কিছু নেতিবাচক ধারাবাহিকতা দৃশ্যমান। তাই আমাদের ঐসকল নেতিবাচক ধারাবাহিকতার চির অবসানকল্পে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে কালবিলম্ব করা সমুচীন নয়। তবে ঐ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের নিমিত্তে যেন আরো কোন নেতিবাচকতার জন্ম না হয় সেইদিকে লক্ষ রাখা আবশ্যক। খাবারে বিষ, খুন, ধর্ষণ এবং ঘুষ এইগুলি এখন মরন ব্যধিনে পরিণত হয়েছে। তাই অতিদ্রুত এই ব্যধি থেকে জাতিকে মুক্ত করে আমাদের অর্জিত গৌবর ও স¤œান এবং মর্যাদার আসনকে আরো শক্তভাবে পাকাপোক্ত করে দৃশ্যমান রাখি। এই ব্যাধি থেকেও যেন নতুন শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ থাকে এবং নতুনভাবে পৃথিবী আমাদের কাছ থেকে প্রেরণা, চেতনা এবং নির্মূলের শিক্ষা নিতে পারে। আমরা আমাদেরকে আর নীচে না নামানোর প্রক্রিয়ার শরীক হই যে উপরে উঠার সীরিটা হয় মসৃণ এবং সহজ ও সকলের জন্য সমানভাবে সহজলব্দ। মিডিয়াগুলো ও যেন পূর্বের নেতিবাচক ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটান; কারণ পুরুনোতে আর লাভ নেই বরং নতুনত্বতেই বেশী লাভ। তাই নতুনত্বের ভাবনায় ইতিবাচকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। যুগের চাহিদা এবং সময়ের যোগান উভয়েই সমান তালে কাজে লাগান। যাতে করে মিডিয়ার কল্যাণেও সমাজের, পরিবারের, রাষ্ট্রের উন্নয়ন সাধিত হয়। মিডিয়ার ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। আগামীতে আমরা এই মিডিয়ার সুবাদেই সকল অন্ধকারকে দূরিভুত করব এবং চলমান উন্নয়ন ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.