প্রশান্তি ডেক্স॥ নিবন্ধন না নিয়েই রোগ নির্ণয় কার্যক্রম চালাচ্ছিলো রাজশাহীর এইড প্লাস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড এজমা সেন্টার লিমিটেড ও সা’দ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চিকিৎসার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং সেবার নামে হেনস্তা করারও অভিযোগ ছিল এই দুই ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে। মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযানে বেরিয়ে আসল ভেতরের তথ্য। তাদের কোনো বৈধতাই নেই। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠান দুটি। অভিযান চালিয়ে এই দুই রোগ নির্ণয় কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।
গত মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন ও নাজিয়া হোসেন এই অভিযান চালান। এসময় জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আলম ইফতে খায়ের সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, প্রশিক্ষিত জনবল ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ছাড়াই চলছিলো প্রতিষ্ঠান দুটি। অভিযানে গিয়ে ফ্রিজে খাবারের সাথে ওষুধ রিএজেন্ট (অন্য পদার্থের অস্তিত্ব জানার জন্য ব্যবহৃত বস্তু) পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব রিএজেন্টের মোড়কে লেখা নেই মেয়াদ। অভিযানের সময় সেখানে কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। অনুপস্থিত ছিলেন ম্যানেজারও।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে হাজির হন এইড প্লাসের ম্যানেজার সিরাজুর রহমান। ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্স না থাকা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন।
পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থিত সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারেরও কোনো লাইসেন্স নেই। ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপযোগী পরিবেশও নেই।
সেখানেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিশেষ করে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিরও বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনী খাতুন বলেন, লাইসেন্স না নিয়েই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। বেআইনি কাজ করায় তাদের জরিমানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।