আরও আধুনিক হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার সিলেবাস

প্রশান্তি ডেক্স॥ কারিগরি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে সিলেবাসকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে লিংকেজ বাড়াতে কাজ করছে সরকার।aro adonek hosse
গত শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ মার্ডিগ্রাস কনভেনশন হলে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (এসআইএমটি) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ এসব কথা বলেন।
‘ডিসেন্ট প্লেসমেন্ট ইন দ্য কনটেক্স অব ইনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাইক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেলি ইয়াছমিন সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এসআইএমটির সহকারী এডমিন এক্সিকিউটিভ এরশাদুল বারী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারের স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং ইনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট-স্টেপ এর পরিচালক এ বি এম আজাদ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্ল্যা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইক গ্রুপের উপদেষ্টা শামস-উজ-জামান।
সেমিনারে প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কারিগরি শিক্ষার কারিকুলামকে আরও আধুনিকায়ন করা, চাকরির বাজারের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার্থীদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা একদিকে হাঁটছে, অন্যদিকে হাঁটছে শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার ফলে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার মান অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্মস্থলে চাহিদার আলোকে দক্ষতা দেখাতে পারছে না পাস করা শিক্ষার্থীরা। বিদেশে এমনটি দেখা যায় না। সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কারিকুলাম তৈরি করে। বাংলাদেশেও সে কাজটি এখন করা হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রি কী চাচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়েই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
তারা আরও বলেন, শুধু চাকরি নয়, কর্মসংস্থানই হতে হবে কারিগরি শিক্ষার মূল লক্ষ্য। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারলে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যাবে। তখন আর এখনকার মতো বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না। পরে অতিথিসহ শিল্প উদ্যোক্তা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.