সুখ-শান্তি-আনন্দ এবং উন্নয়ন

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]শান্তি এবং ভালবাসা মিলিত হউক এক ঐক্যের বন্ধনে। শান্তি প্রতিস্থাপিত হউক সকলের মনে। অশান্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হউক আমাদের মরণাপন্ন মানবতা। গতি ফিরে আসুক আমাদের প্রাত্যহিক এবং দৈনন্দিক কাজে। বিশৃঙ্খলা ও জটলা এবং অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে বিনষ্ট হওয়া কর্মচঞ্চল কর্মক্ষেত্রগুলো ফিরে পাক স্বস্তি। অতিরিক্ত কঠোরতার কবলে পড়ে মৃতপ্রায় কর্মক্ষেত্রের কর্মীগণের চাকরীর নিশ্চয়তাটুকু অন্তত ফিরে পাক এই শান্তি – আনন্দ এবং ভালবাসার মেলবন্ধনের ফলে। আমরা আশা করি আমাদের সরকারের মনোভাব সমুজ্জ্বল থাকবে এবং যে লক্ষে এগিয়ে যাচ্ছে সেই লক্ষ্য পূরণে সকলের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হয় এমনকি কর্মসংস্থানের অভাবের মাঝে যারা এখনও যুক্ত রয়েছেন তাদের কর্মসংস্থান বিনষ্ট না হয়। কোন অজানা অশনি সংকেতের পুর্বাভাসের কারণে চাকুরী হারিয়ে মানুষের হা হা না পড়–ক। বিভিন্ন সংস্থার টানাপোড়নে এখন প্রায় অনেক প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা প্রায় বন্ধের পথে; ভেবে দেখেছেন কি এইসকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের কি হবে? কোথায় হবে তাদের কর্মসংস্থান? কে দেবে তাদের পরিবারের বরন পোষনের জোগান? তাই সরকারের দেয়া দায়িত্ব পালনে সচেতন হওন এবং মানবিক ও অগ্রসরতার দিকে এগিয়ে যান। প্রতিবন্ধকা সৃষ্টিতে আর অগ্রসর হয়ে অগ্রসরমান জাতীকে বিনষ্ট করবেন না। সরকার বলে ট্রাষ্টকে আরজেএসসি থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিতে আর মন্তণালয় গুলো এর বিরোধীতা করে এমনকি এসবি ও এনএসআই এর প্রতিবেদনও পাওয়া যায় না বা পাওয়া গেলে কোন কোন সময় এর সঙ্গে আপত্তি কথা যুক্ত করে দেয়া হয়। কি কারণে আপত্তি দেয়া হয় তার কোন ব্যাখ্যা থাকে না। এই আপত্তি কিন্তু অর্থনৈতিক লেনদের তারতর্ম্যরে কারণে হয়। ভেবে দেখেছেন ঐ ট্রাষ্টগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের কি হবে; যদি ট্রাষ্ট বন্ধ করে দাতাগোষ্ঠি চলে যায়। ক্ষতি কিন্ত প্রকারান্তরে আমাদের দেশের-ই; দাতাগোষ্ঠির নয়। তাই সরকারের দেয়া দায়িত্ব জনগণের কল্যাণের নিম্মিতে এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্দ থেকে পালন করুন। ক্ষমতা পেয়ে অপব্যবহার করবেন না।
শুধু কি তাই ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা প্রসার এবং আন্তর্জাতিক কাজ পাওয়ার লক্ষ্যে বা আশায় বিদেশী অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান সবসময় চেষ্টা করে কম বেতনে কর্মী নিযুক্ত করার। কারণ বেতন পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা থাকে; সেখানে কিন্তু সরকার বা এর অধিনস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সিগুলোর দায়বদ্ধতা থাকে না। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা থেকে কর্মানুমতি পাওয়ার পরও ভিসা জটিলতায় আক্রান্ত হতে হচ্ছে; শুধু কি তাই এক্ষেত্রে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া এখন দুরুহ। কারণ এনএসআই ব্যাখ্যাবিহীন সবাইকে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে। কিন্তু এসবি অনাপত্তি দিচ্ছে; আবার কখনো কখনো এনএসআই কোন রিপোর্টই দিচ্ছে না বা যাচাই বাছাই করার জন্য সংস্থায় যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্রও পাওয়া যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কর্মীর অর্থনৈতিক ক্ষতি এমনকি টানাপোড়নের জন্য দায়ী কে? সরকারের সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পালন শেষে বিডার অনুমতি পাওয়া যায় এবং সেই অনুমতির আলোকেই কর্মী নিয়োগ হয় এবং ব্যাংক একাউন্ট, টেক্স পরিশোধ এবং নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় কিন্তু নিরাপত্তা ছাড়পত্রের অভাবে ঐ কর্মী তাঁর কর্মকালীন কর্ম সম্পাদন করতে না পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশ। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসাবান্ধব নিরীক্ষা এবং দেশ উন্নয়নের গতিশীলতা চলমান রাখতে এখনি জরুরী পদক্ষেপ নেয়া অতিব গুরুত্ববহ এবং জরুরী। নচেৎ কর্মসংস্থানে ভাটা পড়বে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়ে আগামীতে সরকারের উপর বিশাল বোঝা চাপবে। সেই লক্ষ্যে সংস্থাগুলোকে আরো সতর্ক হয়ে ব্যক্তিস্বার্থের উদ্ধের্¦ উঠে দেশের কল্যাণে কাজ করতে নির্দেশনা দেয়া জরুরী। পদ এবং পদবী অথবা বেতন কম এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে এমনকি ব্যক্তিস্বার্থের উদ্ধের্¦ উঠে রাষ্ট্রের সেবায় মনোনিবেশ করা জরুরী। পাশাপাশি কর্মসংস্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে বরং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করার ব্যবস্থায় মনোনিবেশ করা অতিব গুরুত্বপুর্ণ বলে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা দরকার।
ভিসা প্রত্যাশিদের দু:দর্শা দূর করা এখন ফরজে আইনে পরিণত হয়েছে। সময়মত ভিসা না পাওয়া এবং ভিসা জটিলতায় অর্থ, সময় এবং কাজের ক্ষতি সাধন করা বন্ধ করতে হবে। বিসিএস অফিসার দিয়ে কর্ম সম্পাদনে অফিসগুলোতে প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে হবে। এহেন জড়াজির্ণ এবং ভগ্ন লোকদের দিয়ে কাজ করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আনসার এবং পিয়ন দিয়ে কাজ করানো বন্ধ করতে হবে। অবৈধ টাকার রমরমা ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। দরজা বন্ধ করে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেশের ভাবমূর্তী উজ্জ্বল রাখতে ভুমিলা পালন করতে হবে। নতুবা এই চলমান অনাচার দেশের সুনাম ক্ষুন্ন করে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন এক কুখ্যাতি অর্জনের রেকর্ডে অন্তর্ভূক্তি ঘটবে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না বরং এর প্রতিকারে যোগপুযোগী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অগ্রসরমান উন্নয়ন এবং সুনামকে অক্ষুন্ন রেখে আগামীর প্রয়োজনে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা সরকারের ইতিবাচক উন্নয়নকামী মনোভাবে ভাটা পড়বে। এই ভাটা পড়াতে যারা যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এটাই হবে দায়িত্ব প্রাপ্তদের একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের সঙ্গে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। নতুবা উন্নয়ন এবং অগ্রগামীতা চলমান থাকবে না।
আমাদের সামগ্রীক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবসম্মত এবং যুগের চাহিদানুযায়ী। তাই আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নকল্পে। যার যার অবস্থান থেকে সহযোগীতার হাত বাড়াতে হবে এবং এগিয়ে নিতে হবে নিজের দায়িত্বটুকু। কেউ দায়িত্ব দিবে সেই আশায় বসে না থেকে বড়ং নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দায়িত্ব ছোট হউক বা বড় হউক এতে কোন সমস্যা নেই বরং দায়িত্বটুকু আন্তরিকতা ও যতেœর সঙ্গে পালন করাই হলো মূল বিষয়। এই রমজান মাসে সরকারের আন্তরিকতায় এবং প্রশাসন ও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের সহযোগীতায় এবং নিজ থেকে নেয়া দায়িত্বপালনেরত মানুষগুলোকে সাদুবাদ জানাই। কারণ এই রমজানে কোন অঘটন ঘটেনি এমনকি অঘটন ঘটানোর চক্রকেও ভালভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। পাশাপাশি দাবি রাখি যেন, ঈদ যাত্রায় এমনকি ঈদ ফেরত মানুষগুলো নিবিঘেœ যাতায়ত করতে পারে এবং নির্মল ঈদের আনন্দ উপভোগ করে চলমান শান্তি-সুখ ও আন্দন্দ এবং উন্নয়ন গতিকে গতিশীল রাখতে পারে।
সম্পৃতির যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক এবং যুগলবন্ধি সেতুবন্ধন রয়েছে তার পালে নতুন হাওয়া লাগিয়ে আরো স্থিতিশীল সম্বৃদ্ধিতে এগিয়ে যাওক আগামীর কল্যাণের তরে। বাংলাদেশের মানুষ যে শিক্ষা এবং দিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার ফলস্বরূপ একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণে পরিণত হউক আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের বন্ধন। আমারাই পেরেছি এবং করে দেখিয়েছি এমনকি আগামীর জন্য শিক্ষামূলক চর্চার এক দিগন্ত উন্মোচন করে রেখে যাচ্ছি এই হউক আমাগের হৃদয়ের গহীনের কথা। জাত, ধর্ম, বর্ন ও গোত্র দিয়ে বিচার নয় বরং আমরা মানুষ আর এই মানুষ হিসেবেই আমাদের কর্মকান্ড চলমান থাকুক। মানুষের প্রয়োজনে মানুষ এই বিশ্বাসই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাক আগামী সূখময় এক নুতন স¤্রাজ্যে। এই স¤্রাজ্য বিনির্মানের কারিঘর বাংলার আকাশে উদিত গর্ভময় শান্তির পরশ ও নব দিগন্তের মহীয়সী নারী আমাদেরই অতি আপনজন বিশ্বের ন্যায়-নীতির, মানবতার অভিভাবক বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার ইচ্ছা-আকাঙ্খা এবং দৃশ্যমান ফলাফলগুলোই বলে দিচ্ছে আগামীতে আমাদের স্থান কোথায়। কিভাবে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে এবং আগামীতে হবে। তাই সকলেই মিলেমিশে এই দেশটাকে সমৃদ্ধিতে ভরপুর করি আগামীর জন্য। নতুন প্রজন্মের জন্য, নতুন এক বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য। যারা সবসময় মানবতার কল্যানে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিবে এবং নেতিবাচকতা ও শয়তানের বিরুদ্ধে খোদায়ী শক্তির প্রয়োগে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
এই রমজানের ফজিলত, রহমত-বরকত ও মাগফিরাত এমনকি পবিত্রতায় ধুয়ে মুছে পরিস্কার হউক আমাদের বিবেক এবং সংস্কৃতি, দেশ ও জাতি। আমরা সামনের ঈদ আনন্দ উপভোগ করি সুখ-শান্তি ও সম্বৃদ্ধিতে এগিয়ে নেয়ার নতুন এক ওয়াদাবদ্ধ জীবন নিয়ে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে। আমাদের কল্যাণের নিমিত্ত্বে সকল কাজ পরিচালিত হউক এবং পরিচালনা করুক এই প্রত্যাশায় সকলেই শরীক হই আগামীর পদক্ষেপে নতুন পদচারনায়। বের হয়ে আসি গতিহীন ছন্দপতন জীবনের গহীন থেকে। আলোক বর্তীকা হাতে নিয়ে এগিয়ে আসি সুখ-শান্তি-আনন্দ এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে, দিতে এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের আলোকময় রাজ্যে বিরাজমান রাখতে। অতীতের সকল ক্ষোভ, হিংসা-বিদ্ধেশ ভুলে গিয়ে ক্ষমা ও ভালবাসায় পূর্ণ হয়ে এগিয়ে যায় সুখ-শান্তি-আনন্দ নির্ভর উন্নয়নের দিকে। ক্ষমাকে জাগ্রত করি এবং উন্নয়নকে এগিয়ে রাখি, ভালবাসাকে সতেজ রেখে এগিয়ে যায় মঙ্গলময় এক স্বপ্নের আলোকময় রাজ্যে। সবাই মিলে মিশে বসবাস করি এই ধরণীতে এবং ফিরে যাই সেই আকাঙ্খিত বেহেস্তে। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণই হউক আমাদের আগামীর প্রত্যয়। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.