রুবেল আহমেদ, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় জালিয়াতির মাধ্যমে বাতিল ইনডেক্স ব্যবহার করে বেতন উত্তোলন করায় রাইতলা লাল মিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ফাতেমা বেগম নামক এক শিক্ষিকার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। উত্তোলিত বেতন ১ লাখ ৬ হাজার ৭শত টাকা সরকারী তহবিলে ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই ইনডেক্স নম্বর হচ্ছে- ২০১৬৯৩১।
জানা যায়, শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ইতোপূর্বে মইনপুর মদিনাতুল উলূম ফাজিল মাদরাসায় চাকুরী করতেন। ওই সময় তিনি ও ওই মাদরাসার সুপার হাবিবুর রহমানসহ ৪ জন শিক্ষক চাকুরীচ্যুত হয়েছিলেন। জানা যায় ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আজহারুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছিলেন । শিক্ষা মন্ত্রনালয় ওই বিষয়ে তদন্ত করে বরখাস্ত করার জন্য নির্দেশ দিলে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি তাদের চাকুরী থেকে বহিস্কার করেছিলেন। পরে মন্ত্রনালয় ফাতেমা বেগমসহ ৪ শিক্ষকের ইনডেক্স ২০০৮ সালে বাতিল করে দেন। পরে ফাতেমা বেগম মাদরাসার ইনডেক্স বাতিলের তথ্য গোপন করে রাইতলা লাল মিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পূর্বের ইনডেক্স নম্বর মিথ্যাভাবে ব্যবহার করে বেতন উত্তোলন করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীয় জনতা ব্যাংকের দৃষ্টিগোচর করানো হলে জনতা ব্যাংক কসবা শাখা তার বেতন উত্তোলন বন্ধ রাখেন।
এ সমস্ত বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। আদালতেও ওই শিক্ষক ৪ জন টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেছেন। এ সমস্ত বিষয়ে আদালতের নির্দেশে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জও একটি তদন্ত করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আদালতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেছেন।
এ সমস্ত বিষয়ে সাবেক সচিব আজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাফর আহাম্মদও এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।