ভজন শংকর আচার্য্য,কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মেহারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শওকত হোসেন জসিমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার অভিযোগে নিহতের ভাই মো.আলাউদ্দিন বাদী হয়ে গত শনিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় ১৮ জনকে আসামী করে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে গত শনিবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আসামীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের যমুনা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার পুত্র ইউপি সদস্য শওকত হোসেন জসিম কে গত শুক্রবার রাতে (৫ জুন) পরিকল্পিত ভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে নেয়ার পর প্রতিপক্ষ সিদ্দিক মাষ্টারের ছেলে জাকির হোসেন ও মুর্শিদের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে জসিমকে। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার পায়ের রগ কেটে দেয় হত্যাকারীরা। পরে মৃত ভেবে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে জসিমকে ফেলে রাখে হত্যাকারীরা। খবর পেয়ে জসিমের বাড়ির লোকজন বিদ্যালয় মাঠে গেলে জাকিরের লোকজন তাদেরও ধাওয়া করে বলে জানায় নিহতের মেয়ে চাঁদনী । জসিমের বাড়ির লোকজনের শোর চিৎকারে এলাকার লোকজন জমতে থাকলে হত্যাকারীরা চলে যায়। পরে বিদ্যালয়ের গেটের তালা ভেংগে গুরুতর আহত অবস্থায় জসিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে তাকে কুমিল্লা সরকারী হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। কুমিল্লা সরকারী হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জসিমকে ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে নেয়ার পথে রক্তক্ষরনে জসিমের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পূর্বে হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন জসিম। তার জবানবন্দি মোবাইলে ভিডিওধারন করেছে নিহতের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। নিহতের জানাজা শেষে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শোকার্ত গ্রামবাসী।