ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি রওশন এরশাদের

প্রশান্তি ডেক্স॥ ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চেয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আইন আছে। আমাদের সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করতে হবে। আইনের মধ্যে কোনো ফাঁক রাখা যাবে না। তাই শিশু নির্যাতনকারীদের সরাসরি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।’dursha 2
গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে রওশন এরশাদ একথা বলেন।
রওশন বলেন, ‘ইদানিং শিশু নির্যাতন বেড়ে গেছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধর্ষণ করে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটি কেন মহামারির আকার ধারণ করেছে। এটি কেন হচ্ছে, কেন গড়ে উঠেছে?’
সংসদ উপনেতা আরও বলেন, ‘শিশু নির্যাতনকারীদের সরাসরি মৃতুদন্ড দিতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিরাপদ রাখতে পারব। কারণ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় কোথাও আমাদের বাচ্চারা নিরাপদ বোধ করছে না। এই শিশু নির্যাতন বেড়ে বেড়ে গেছে।’ আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলাগুলো ঝুঁলিয়ে না রেখে ত্বরিত গতিতে এসব মামলার রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান রওশন এরশাদ।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য না। শিক্ষাকে যারা বাণিজ্যিক পণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশে শিক্ষার মান ও সিলেবাস নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন আছে। এ লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে আরও একটু বেশি বরাদ্দ দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারে না। এ কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ মানুষ ভিড় করে। যে কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি।
ইদানিং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। আমাদের দেশের ওষুধ সুনামের সঙ্গে রফতানি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষধু বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
ডেঙ্গু থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করার বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে রওশন এরশাদ বলেন, ‘ওষুধ ও খাদ্য এই দুটি মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। এ দুটো ছাড়া মানুষ চলতে পারে না।’ এছাড়া বাচ্চাদের খাবারের ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক দেওয়ার আহ্বান জানান।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর সমালোচনা করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘হঠাৎ গ্যাসের দাম কেন বাড়ানো হলে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শুনেছি, উন্নয়ন চাইলে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মেনে নিতে হবে। হ্যাঁ, আমরাও উন্নয়ন চাই কিন্তু গ্যাসের দাম বাড়াতে চাই না। এটি আমার কথা না, জনগণের কথা। যেদিন বাজেট পাস হলো সেদিনেই গ্যাসের দাম বেড়ে গেল। গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি হল। কিন্তু তারপরও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।’
গ্যাসের দাম কমিয়ে আনা যায় কি না সে ব্যাপারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.