বিজয় টিভি’র সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের হাত ভেংগেছে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা এখন পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে

ভজন শংকর আচার্য্য,কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন উজ্জলকে নির্যাতন করে হাত ভেংগেই ক্ষান্ত হয়নি প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যুরা। একের পর এক কসবা ও ব্রাহ্মণাবড়িয়া থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রকাশ আনোয়ারের প্রতিবেশী ভূমিদস্যু জামাল, এরশাদ গংরা গত ৮ জুন জোরপূর্বক অবৈধভাবে আনোয়ারের বাড়ির ভেতর সীমানা খুঁটি বসিয়ে তাকে ফোন দিয়ে বাড়িতে নেয়। সেখানে তার বাড়ির ভেতর ফেলে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে তার ডান হাতটি ভেংগে ফেলে। এ অবস্থায় সে ২৩ দিন কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলো। তার বোন ও বাবা-মাকেও প্রহার করে এসকল ভূমিদস্যুরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় পুলিশ দু’জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে আনোয়ার বাদী হয়ে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ৪দিন পর ভূমিদস্যু জামালের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম আনোয়ারসহ তার ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরে সানোয়ারা বেগম পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় গত ৪ জুলাই আরো একটি সাজানো মামলা দায়ের করে এবং তার ভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক ও জেলায় ৪ বারের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় কসবায় কর্মরত সাংবাদিকরা ফুঁসে উঠেছে। কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান ও সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা অবিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানা ও কসবা থানায় দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন এবং ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসাদ হোসেন জানান, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর তাকে উদ্ধার করে আমরাই কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.