আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের আরো দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদীহি পরায়ন হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর শতভাগ দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহীতা দৃশ্যমান কিন্তু প্রশাসন এবং প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা কিন্তু এর ধারে কাছেও নেই। এর মাঝে ব্যতিক্রম অনেকেই আছেন যারা তাদের সততা এবং ন্যায়পরায়নতা এবং দায়িত্বশীলতা ও জবাবদীহিতার জন্য সুনাম কুড়িয়েছেন এবং স্বসন্মানে কার্যরত রয়েছেন। এই দায়িত্ব সচেতনতা এবং কথার লাগাম টানা এখন সময়ের প্রয়োজনে সর্বপ্রথমে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো এবং শিখানো পথে এগিয়ে যাওয়া আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত। এই ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্তরা সর্বাগ্রে থেকে সর্বসাধারণকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটাই স্বাভাবিক। আরেকটি বিষয় দেখা যায় প্রতিনিয়তই যে, দায়িত্বপ্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া গাইডলাইন এবং নির্দেশনা পাওয়ার পরও অতিমাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকেন… নিজেদের দায়িত্বটুকুও প্রধানমন্ত্রী দ্বারা পুরন করাতে চান। এইক্ষেত্রে সময়ক্ষেপনের সময় কিন্তু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তাই নিজের দায়িত্ব দেখানো এবং শিখানো পথে গাইডলাইন অনুযায়ী করতে চর্চাটুকু জোরেসুরে শুরু করেন; নতুবা আপনার গরিমসি অথবা অপেক্ষার জন্য আমরা; সরকার ও দেশ পিছিয়ে যাচ্ছি। ওয়াদা পুরণের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরী হচ্ছে।
আমি বলতে চাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আরো সংযমী এবং সহযোগীতাপরায়ন হতে হবে নতুবা সমাজ থেকে কুসংস্কার এবং নৈরাজ্য এমনকি অপরাধ প্রবণতা বাড়বে বৈকি কমবে না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া পর্যায়ক্রমিক ঘটনা প্রবাহের নিমিত্তে এই লিখা বা পরামর্শ অথবা উপদেশ উপস্থাপন করলাম মাত্র। আমি অনুঘটক হিসেবে সরকারের দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং ক্রমোন্নতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার কান্ডারী হিসেবেই জন্ম থেকে আমৃত্যু প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। থানায় গেলে অসহযোগীতা এবং বিভিন্ন কথা বলে সময়ক্ষেপন এমনকি হয়রানির ঘটনাটি নিত্যদিনের না হলেও এখন এইগুলো বেমানান। আর জিডির ক্ষেত্রে অসহযোগীতা একটি দৃষ্টিকটু বিষয় আমার কাছে। যদিও আমি পরিচয়ের আবরণে কাজ করেছি কিন্তু তারপরেও যে হয়রানি তা অমূলক আমার ও আমাদের এই ডিজিটাল বাংলাদেশে। নেতিবাচক ব্যবহার এবং নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কথাবার্তা অথবা কথোপকথন অমূলক এমনকি অন্যার্যও বটে।
থানায় গিয়ে লাভ হয় এই কথাটি বলা আমার পক্ষে দূরুহ তবে এইটুকু বুঝতে পেরেছি যে, মামার জোর (টাকা অথবা ক্ষমতা) এই দুইয়ের সমন্বয়ে হয়তবা সত্যকে মিথ্যায় বা মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করা যায়। যা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। সত্যকে প্রমানসহ দেখানোর পরও সেই সত্যের দিকে না গিয়ে বরং মিথ্যায় আশ্রয় নিয়ে চার্জশিট জমাদেয়া হয়েছে। প্রমান অনেক সময় লোপাট হয় আর এর হয়ত কিছুটা রেশ থাকে কিন্তু সেই রেশ ধরে এগুলে হয়ত কিছুটা থেকে অনেকটাই পাওয়া যায় এবং সেই অনুযায়ী কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াও যায়। কিন্তু তাও দেখলাম মিথ্যার আবরণে ঢাকা; আমার কষ্ট হচ্ছে এইটা আমার সরকার এবং আমি এই সরকারেরই লোক তারপরও এই হচ্ছে তা বাস্তবে দেখে; ভাবতে ও বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে। দয়া করে আপনারা মত পরিবর্তন করুন এবং নিজেদেরকে আরো উন্নত ও গ্রহণযোগ্য স্থানে অধিষ্ঠিত করুন। আমি ও আমরা সর্বোত্ত সহায়তা করবো। থানায় কোন মানুষেরই দু:ব্যবহার প্রাপ্তি কাম্য নয়। পুলিশের কাজ এটা নয় বরং সহযোগীতা এবং পাশে থাকা কিন্তু হয় উল্টোটা। মানুষ বিভিন্ন কারণে বা পরিণতিতে থানার মুখাপেক্ষী হয় কিন্তু সেইজন্য অসৈজন্যতা এবং অন্যায়-আচরণ প্রাপ্য নয়। তাই দয়া করে আপনারা আপনাদেরকে মানুষের বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন। কারন আপনারাও মানুষ এবং মানুষ থেকেই আপনাদের সৃষ্টি ও মানুষের সঙ্গেই বেড়ে উঠা। তবে কোন একদিন হয়ত আপনাদেরও এই পরিণতি হতে পারে। খেতের ইটা কিন্তু খেতেই ভাঙ্গে। তাই সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করলে জীবনে সুখী ও সমৃদ্ধি ভোগ করা যায় আর উদ্ভট পরিস্থিতি এড়ানোও সম্ভব হয়।
কথা বলা একটি রোগে পরিণত হয়েছে। যে পারে সেও বলে আবার যে না পারে সেও বলে। এখন সাধারণ মানুষ হিসেবে যাই কোথায়? যে কোন বিষয় নিয়ে যোগ্য লোক এবং উপযুক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদেরই কথা বলা উচিত। নতুবা হিতে বিপরীত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা উকি দেয়। আমাদের দেশে কোন ঘটনার জন্ম হলেই আমরা মাথাচারা দিয়ে উঠি কথা বলার জন্য। আর এই মাথাচারার ঘটনাটিই হলো রোগ। রোগপ্রবনতা নিয়ে কথা বলা একেবারেই বেমানান। তাই আমরা এই সময়ে অতিরিক্ত কথা বলা অথবা অন্যের কথা নিজের কাঁধে নিয়ে বলা অথবা ক্ষমতার অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকি। নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখি ও কথার লাগাম টেনে ধরি। যার যার কথা তার তার উপরই ছেড়ে দিন এবং তাকেই বলতে দিন। যাতে করে সকলেই সকলের দায়িত্বসচেতনতার বিষয়ে সজাগ থাকে এবং দায়িত্বটুকু স্বসম্মানে পালন করেন। দায়িত্বে সময় ক্ষেপন না করার অভ্যাস চর্চায় আনুন এবং কোন কিছু পাওয়ার আশা না করে দায়িত্বটুকু আন্তরিকতার সহিত পালন করুন দেখবেন রিউওয়ার্ড বা পুরস্কার হিসেবে সবই পাবেন।
আসুন আমরা সকলেই সহনশীল হই এবং প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে সহযোগীতার মনোভাব সদা জাগ্রত রাখি। যাতে আমাদের দেশের এই যাত্রা অব্যাহত থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতা এমনকি উন্নয়ন গতি আরো গতিশীল হয়ে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছায়। আমরা আর প্রতিবন্ধকতায় না জড়ায়, জটলা না পাকায়, সময়ের সেশনজটকে আর দীর্ঘায়ীত না করি। প্রতিটি মানুষকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শীত পথে শেখ হাসিনার দেখানো ও শেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন গতির সাথে। আর নয় ভেদাভেদ এবং অর্থলোভ এখন শুধু সার্বিক উন্নয়ন এবং পারলৌকিক সুখ ও শান্তি ভোগের সময়কে কাছে টেনে উপভোগের। এই হউক আমাদের সকলের প্রতিশ্রুতী এবং প্রতিজ্ঞা। জয় হউক আমাদের….