প্রীয়া সাহা একটি নাম এবং একটি অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি। আর যার কাছে তিনি নালিশ নিয়ে গেলেন তিনিও মানুষ। তিনি সৃষ্টিকর্তা নন আর তার কোন ক্ষমতাও নেই ঐ নালিশের বিচার করার এমনকি যাচাই – বাছাই না করে কাউকে কিছু বলার। যুগটি এখন ডিজিটাল আর এই ডিজিটাল হওয়ায় সবই এখন স্পষ্ট এবং মানুষের চোখের কোণে জমা। তাই কে কি বলল আর কি বলতে পারে তা নিয়ে আমাদের ১৫কোটি মানুষ ব্যস্ত থাকলে কিন্তু উন্নয়ন গতি এমনিতেই স্লথ আকারে পরিণত হবে। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে আমরা কাজ করে যাব আর এই ঐ মহিলার মত মিথ্যা বুলি দিয়ে নিজেকে আর নীচু করব না এমনকি জন্মভূমি মাকে অসম্মান করবো না। তিনি কেন বলেছেন এবং কি তার উদ্দেশ্য তা স্পষ্ট নয় বরং তার বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং যারা তাকে ঐ জায়গায় নিয়ে গেছেন তারাও অথর্ব্য এবং তাদের ধারনা ও ধ্যান জ্ঞান একেবারেই মান্দাতার আমলের; ধরা যাক সেই ১৯৭১ এবং তৎপূর্ব। তাই সেই মানুষগুলি দিয়েনা এখন আর পৃথিবীর উন্নয়নে এবং সুখ ও সম্মৃদ্ধি বিনির্মানে কোন কাজের কাজ কিছুই হবে না। এখানে আরো মজার বিষয় হলো জনাব ট্রাম্প সাহেব ও একটি নাটক সাজিয়ে নিজে এখন হল নায়কে পরিণত হয়েছেন। কারণ তিনিতো নিজের দেশই সামলাতে খিমশীম খাচ্ছেন; সুতরাং তার বিশ্ব সমস্যা শুনার কোন কারণ নেই এবং ছিলওনা তবে ওটা যে, লোক দেখানো তা কিন্তু বাস্তবিক। জনাব ট্রাম্প সাহেব সর্বপ্রথমে, সর্বমধ্যে এবং সর্বশেষে একই কথা জোর দিয়ে বলেন এ্যামেরিকা ফাষ্ট। তার সেই কথায় বিশ্বাস এবং আস্থা স্থাপন করে বলতে পারি সকল কাজই আমেরীকাকে প্রথমে প্রাধান্য দিয়েই কাজ করেন এবং করবেন আর ঐ প্রিয়া সাহাদেরকে নিয়ে লোকদেখানো অনুযোগ বাতাসে দোলা নলখাগড়ায় পরিণত হবে মাত্র।
আমাদের দেশের মানুষ ঐ কথা শুনে সেন্টিমেন্ট দেখিয়ে যাচ্ছেন এবং মনের অজান্তেই প্রীয়া সাহার মতই অপরাধ করে যাচ্ছেন। আমরা ঐ বক্তব্যের তিব্র নিন্দা জানাই এবং এই ধরণের মনেবৃত্তিকে ঘুণা করি। কিন্তু মায়ের জাতিকে এমনকি স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে পারি না অথবা বিচার নিজের হাতে তুলে নিতে পারি না। বরং তাকে দেশে ফিরে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ দিতে মরিয়া চেষ্টা করতে পারি। আমাদের উদারতা এবং তার বক্তব্যের মিথ্যা অসাঢ়তা প্রমানে কাজ করতে পারি। আমরা খারাপ ভাষা ব্যবহার থেকে
এবং সাজার রায় দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারি। এক প্রিয়া সাহার জন্য হাজারো সাহার জীবনে দুর্দশা লাগবে চেষ্টা করতে পারি।
ইতিমধ্যেই মিডিয়াই আমাদের অতি উৎসাহি জন বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন। যার যা না তারা তা করতে শুরু করেছেন। চমৎকার একটি মিল খুজে পাই আমাদের অজ্ঞানতার চর্চার। বিভিন্ন জন রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়েছেন ঐ বক্তব্যকে এবং কেউ কেউ আবার মামলাও করেছেন। সবই আমাদের আবেগের ফল এবং দেশকে ভালবাসার বহি:প্রকাশ। তবে যেহেতু এই বক্তব্যটুকু আন্তর্জাতিক ফোরামে উপস্থাপিত হয়েছে সেহেতু আমরা আন্তর্জাতিকভাবেই বক্তব্য গঠনমূলক বিবৃতির মাধ্যমে মোকাবিলা করব। সেই লক্ষে আমাদের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মতামত এবং বক্তব্য ধৈয্যসহকারে শুনে সামনে এগুবো। আমাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে নিজেরা নিজেদের অজ্ঞানতা প্রকাশ করতে দৌড়ঝাপ আর করবো না। তবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিমতি মা, মমতাময়ী জননী দেশ দরদী উন্নয়নকান্ডারী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে, আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিবৃত্তি দেয়ার আগে কোন ঝামেলায় ঝড়ানো যাবে না বা কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতার এটি একটি স্বচ্ছ ব্যবস্থা আইনের শাসনের দৃষ্টান্ত এমনকি সাম্যের এবং ঐক্যের মেলবন্ধন। আর তাই তিনি তার নির্দেশনা দিয়ে জাতিকে স্বজাগ করেছেন যাতে বেহুশ হয়ে হাস্যকর এবং তামাসাছন্ন কোন অতি আবেগী কাজ কওে নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন না করেন। অপর দিকে আমাদের মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয়ও স্বষ্ট করেছেন এই বিষয় আমাদের কথাবলার দিকগুলোকে।
প্রিয়া সাহা যে, বিশ্লেষণাত্বক ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা একেবারেই খোড়া যুক্তি এবং হাস্যকর তামাসা ছাড়া কিছুই নয়। তার মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদও এসেছে যা দেখে আমার মায়া বেড়েছে ঐ মিথ্যার ফুলঝুড়ির রানী প্রিয়া সাহার জন্য। দেশ তাকে সুরক্ষা দেবে এবং সরকার তাকে নিরাপত্তায় রাখবে এমনকি এই দেশের জনগণ তাকে মন পরিবর্তন করে শুদ্ধ জীবনে ফিরে এসে জীবন -যাপন করতে উৎসাহ যোগাবে। এটাই এখন সময়ের দাবি। মামলা-মোকদ্দমা এবং হামলা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা যায় না বরং অশান্তির বিস্তার লাভই ঘটে। তাই আমরা নিরীহ প্রাণীকে রক্ষায় মনোনিবেশ করে জাতিকে আরো গৌরবোজ্জ্বল স্থানে পৌঁছাতে কাজ করব। এখানে আমার একটি যৌক্তিক মূল্যায়ন রয়েছে যে, কেউ ভুল করে ক্ষমা চাওয়ার পরে আর কোন মামলা- হামলার প্রয়োজন আছে কি? অথবা শাস্তি দেয়ার বিধানই বা মনোভাবই কি জরুরী। নিজে ভুল না করে অন্যের জালে ফেসে যাওয়া মানুষগুলো যখন ভুল স্বীকার করে অথবা আত্মপক্ষ সমর্থনের কি সুযোগ দেয়া উচিত না? প্রিয়া সাহার ক্ষেত্রে যা হয়েছে তাকি অন্য সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে প্রাপ্য নয়? যদি তাই হয় তাহলে অন্যরাও যেন এই সুযোগ পায় এবং যারা ইতোমধ্যে মামলার ভেড়াজালে রয়েছে তাদেরকে রেহাই বা ক্ষমা করে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হউক। দেশের আইন এবং সরকার ও জনগণের মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র স্থাপিত হউক। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী মহোদয় একটু সজাগ দৃষ্টি দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে সকল সমস্যার সমাধান করে দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন এবং চলমান সরকারের ধারাবাহিকতাকে স্থায়ী রূপে পর্যবসিত করিবেন। জয় হউক আমাদের এবং জয় হউক সরকারের এই আকাঙ্খায় আগামীর সুখস্মৃতির প্রত্যাশায়…..।