ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গলা সীমান্তের ২০৫৩ নং পিলারের কাছ দিয়ে ১২ রোহিঙ্গা নাগরিককে ৭দিন পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আবারও কক্্রবাজার কতুপাল ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠকের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকরা কক্্রবাজার কতুপাল ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে গত ২৫ জুলাই ফেরত আনেন বিজিবি। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৫জন মহিলা ও ৫জন শিশু রয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে; গত ১৮ জুলাই উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গলা সীমান্তের ২০৫৩ নং পিলারের কাছ দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ১২ রোহিঙ্গার একটি দল। খবর পেয়ে সীমান্তে অবস্থান নেয় বিজিবি। বিজিবির বাধার মুখে সীমান্তের ভারতীয় অংশেই অবস্থান নেয় রোহিঙ্গা নাগরিকরা।
এ ঘটনায় ওই দিনই সীমান্তের ২০৫৩ পিলারের কাছে দু’দেশের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় তাদের কাছে যে দেশের পরিচয়পত্র থাকে সেই দেশেই পাঠানো হবে। বিজিবি সদস্যরা তাদের কাছে থাকা নাম ঠিকানা নিয়ে কক্্রবাজার কুতুপাল ক্যাম্পে তল্লাসী করে তাদের নাম ঠিকানার সত্যতা পায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালেও ওই পিলারের কাছে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের মাধ্যমে ১২ রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরৎ এনে কসবা থানায় সোর্পদ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে আবারও কক্্রবাজার কুতুপাল ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার করিম উদ্দিন এবং ভারতের বিএসএফের রায়েরমুড়া ৭৪ ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডার এসি অসোক কুমার।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো.ইকবাল হোসেন বলেন, ১২ রোহিঙ্গা নাগরিক ১৮ জুলাই থেকে সীমান্তের শূণ্যরেখায় অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন অনুসন্ধান করেছেন। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে বাংলাদেশের কক্্রবাজার কুতপাল রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত এসেন পুনরায় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে কক্্রবাজার কুতুপাল ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।