আসছে ঈদূল আযহার পবিত্রতায় দূর হউক আমাদের প্রাত্যহীক জীবনের সকল জঞ্জাল, বিভেদ, হানা-হানি, ভেদাবেদ এবং ক্রোধ ও ঘৃনা। আমরা মানুষ এবং সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাকলুকাত। আমাদের জীবনে প্রতীয়মান হউক সেরা সেরা কর্মকান্ড। সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে আমরা সবাই সমান এবং সবারই জায়গা একই প্লাটফর্মে। তাই সবাই মিলে সৃষ্টি করি এক অনন্য দৃষ্টান্ত যা বেহেস্তি পরিপূর্ণতায় পূর্ণ হয়ে দৃশ্যমান এবং জাগ্রত থাকবে বিশ^ব্রহ্মান্ডের কল্যাণের তরে। সৃষ্টির মর্মার্থ সার্থক হয়ে পৃথিবীর বিদায় ঘনিয়ে এসে বেহেস্তের যাত্রা শুরু হবে। ক্ষমায় আমরা পরিপূর্ণ হই যাতে করে মানুষ হিসেবে মানুষকে গড়ে তুলতে পারি। শত্রুকেও ক্ষমা কবার একটি উর্বর সময় এখন এবং এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে নিজেরাও ক্ষমা পাওয়ার এক দিগন্ত উন্মোচিত হচ্চে এই ঈদুল আযহার প্রথম প্রহরে। আল্লাহ বলেন “ যদি তোমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকে তাহলে কোরবান গাহের সামনে তোমার দান কোরবানী রেখে আগে তোমার ভাইয়ের সঙ্গে আপস করে এসে আমার নামে দান কোরবানী দাও; তাহলেই আমি ঐ কোরবানী গ্রহণ করবো।”
সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এই ঈদের পূর্বে এখ নপর্যন্ত কোন দু:সংবাদ শুনতে হয়নি এবং আগামীতেও হবে না বলে প্রতিয়মান হয়। কারণ আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যতেষ্ট সচেতন এবং আমরা জনগণও সচেতন। অজ্ঞান এবং মলম পার্টি এমনকি পকেটমার পাশাপাশি জাল টাকার ব্যবসায়ীরা অন্ধকারে মিশে গেছে। ডিজিটাল স্বচ্ছতায় হারিয়ে গেছে তাদের কৌশল এবং লোক ঠকানোর সুযোগ। আগামী দিনে আরো সুন্দর এবং স্বচ্ছ হবে আমাদের আগামীর ভবিষ্যত। যাত্রাপথেও মানুষের সমস্যার কিছুটা লাগব হয়েছে তবে বিভিন্ন রুটে যানজট নিত্যদিনের মতই ঘুরে ফিরে আসছে কিন্তু এই জানজট নামক সময় ক্ষেপনকারী রোগের প্রতিকার বের হতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে তবে এর তীব্রতা বা যন্ত্রনা থেকে লাগবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়িয়ে আছে সমগ্র দেশ। আশা করি সরকার এবং দেশবাসির প্রচেষ্টায় ক্রমোন্নতি সাধিত হবে অচিরেই।
বেতন নিয়ে যে সমস্যা প্রকট আকার ধারন করতো সেই সময়ের ক্রমোন্নতি হয়েছে এবং সময়ের আগেই বেতন পরিশোধে সকলের স্বতস্ফুর্ত কর্মতৎপরতা পরিলক্ষিত হয়েছে এমনকি এর সুফলও পাচ্ছে জনগন। সরকার এবং বেসরকারী সংস্থা এমনকি কর্মীবৃন্দ এখন সুশৃঙ্খল জীবনের নিশ্চয়তাই অতিতের সকল অনায্য এমনকি নৈরাজ্য থেকে বের হয়ে এসে এক সমৃদ্ধ গতিশীল উন্নয়নের অংশীদ্বার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ও নিচ্ছে উন্নয়ন গতিকে। অধিকার আদায়ের নতুন রূপ ও পন্থায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করে জগতবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে। কথা এবং কাজের সঙ্গে মিল রাখতে সবাই শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ডেঙ্গু মুক্ত সকলের চিকিৎসার দায়িত্ব এখন সরকারের এবং এই দায়িত্বও সরকার আন্তরিকভাবে পালন করছে। ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে এবং যারা আক্রান্ত হয়নি তাদের যেন আর আক্রান্ত হতে না হয় সেই ব্যবস্থাও সরকার কার্যকরীভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা এসেছে এবং বেসরকারী সাহায্য সংস্থার কাছ থেকেও সরকারের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিভিন্ন ব্যবস্থা পরিলক্ষীত হয়েছে। যার ফলো ডেঙ্গু মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এই নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলেছেন; কেউ বুঝে আর কেউ না বুঝে আর কেউ কেউ পাগলের প্রলাপ বকে যাচ্ছেন। কিন্তুৃ জনগণ এই প্রলাপের কোনটিই আর নিচ্ছে না বরং প্রতিকারে ব্যস্ত থেকে নিজেদেরকে রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই চেষ্টায় সফলও হচ্ছে। এতে সরকার পিছন থেকে অনুঘটকের ভুমিকায় অবতীর্ণ রয়েছেন। তবে কোনে কোন সময় সামনে এসে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ এবং কৃত ব্যবস্থায় খুব তাড়াতাড়িই ডেঙ্গুমুক্ত হবে বাংলাদেশ।
ঈদের প্রাক্কালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয় অনুরোধ করছি যেন, তিনি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় দলীয় মামলায় দলীয় লোকদেরকে রেহাই দেয়ার জন্য। যারা রাষ্ট্র, সরকার এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিয়ে অপরাধে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হউক। আর যারা বিভিন্নভাবে ফেসে গেছেন অথবা মানহানির মামলায় জড়ানো রয়েছে তাদেরকে দয়া করে রেহাই দিন এবং আগামীর সম্ভাবনাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যান। পবিত্র ঈদে সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে আগামীর সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থীতিশীলতার উন্নতির আশায় সবাইকে ঈদ মোবারক।