দীর্ঘ ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখন কর্মক্ষেত্রে ফিরার মিছিলে সামিল হয়েছে বাংলার ঘরমুখো জনতা। নানাহ বিরম্বনার মাঝেও স্বর্স্তীর নিশ^াস ফেলা যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নেয়া পদক্ষেপে। মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে এই প্রশংসিত উদ্যোগগুলো। আমাদের চারিপাশেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিয়মান হয় এবং এর স্বীকারে পরিণত হওয়া মানুষগুলো এখন দিশেহারা। তবে আমার কথা হলো মানুষ শান্তি চায় এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রত্যয়ে ব্যস্ত কিন্তু সমাজ এবং শক্তিশালী মানুষগুলো এমনকি ক্ষমতার ভোগারোহীগণ সেই শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিঘœ ঘটায় এবং অতিতেও ঘটিয়েছে। তবে আশার কথা হলো মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আস্থা এবং বিশ^াসের জায়গাটুকুতে এখনও সজীব রেখেছেন সাধারণ ও নিরাপরাধ অসহায় মানুষের জন্য। তাই তার উপরই মানুষ আস্থা ও বিশ^াস নিয়ে সকল যন্ত্রণাগুলো ভ’লতে চায়।
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আদালত হলো মানুষের বিবেক। এই বিবেকের তাড়নাই মানুষ অনেক সময় খারাপ কাজ থেকে ফিরে আসে আবার কখনো কখনো কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় ভোগে। এই বিবেকের উপর ভরসা করেই মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় দিনগুণে। তবে আইন চাই প্রমান আর প্রমান কখনো কখনো লোপাট হয় কিন্তু বিবেক কোনদিনও লোপাট হয় না। প্রমান কখনো মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করে কিন্তু বিবেক কখনো তা করে না। তাই বিবেক ও বিবেচনা বোধকে প্রাধান্য দিয়ে মিথ্যা প্রমানের উপর ভরসা না করে বিচারকের রায় প্রকাশিত হওয়া উচিত। কারণ এই শ্রদ্ধেয় বিচারকেরও একজন বিচারক রয়েছেন যিনি ন্যায় বিচার করতে প্রস্তুত এবং তার কাছে কোন লিখিত প্রমানের প্রয়োজন নেই এমনকি মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করে প্রমান সাজানোরও কোন সুযোগ নেই। আসুন আমরা সকল বিদ্ধেশের উদ্ধে উঠে সমাজকে বেহেস্তি আবহে রূপদান করি এবং বেহেস্তের যাত্রা এই পৃথিবী থেকেই শুরু করি।
কোরবানীর চামড়ার হক ছিল এমিত ও মিছকিনের কিন্তু সেই হকেও এখন রাঘব বোয়ালের থাবা। অতীতে দেখেছি চামড়ার দাম ২১শ বা ৩হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমানে দেখছি ১৫০ বা দুইশত টাকা। কিন্তু কোন কোন জায়গায় চামড়া ক্রয় করতে বা বিনামুল্যে নিতে অনিহা প্রকাশ বা অপারগতা প্রকাশ করেছে। সেই ক্ষেতে এতিম ও মিছকিনের হক গিয়ে ঠেটেছে মাটির নিচে। ঐ মাটির নীচে পুতা সম্পদেও কি কোন রক্ষনের সুযোগ নেই বা থাকলে কেন নেয়া হলো না।
খুনের বিচার হয়েছে এবং হবে তবে প্রমানের অভাবে যেসকল বিচার এখনও ঝুলে আছে তার কিনারা করতে হবে বিবেকের আদলতে এবং সেই রায় প্রতিফলিত হতে হবে বাংলার মাটিতে। যতক্ষণ না এই রায় প্রতিফলিত হবে ততক্ষণ বাংলা থেকে অন্যায় এবং নেতিবাচকতা দূর হবে না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত এই দায়ভার নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। গ্রাম থেকে শহর এবং শহর থেকে গ্রামে যে যোগসূত্র তৈরী হয়েছে তা অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সকলেই এগিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের সমাজের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখতে হবে। অন্যায় এবং ন্যায় এর মাঝে ফারাক তৈরী করতে হবে।
সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই সকল শুভ এবং কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য। এই ঈদের দৃষ্টান্ত বয়ে নিয়ে যাক আগামীর সকল ইতিবাচক এবং সাম্যেও মেলবন্ধনকে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের ধারাবাহিক ব্যবস্থার ক্রমোন্নতি সাধনে এগিয়ে যেতে হবে সরকার এবং এর অধিনস্ত সংস্থাগুলোকেই তবে জনগণ যুক্ত হয়ে ঐ এগিয়ে যাওয়াকে সফলতায় পর্যবসিত করবে মাত্র। আর হয়েছেও তাই। তবে এই যাত্রাই জনগণই বড় ভুমিকা রেছেছে। সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলোও পদক্ষেপ নিয়েছে—- যার যার অবস্থান থেকে সকলেই একযোগ ডেঙ্গু মোকাবেলায় কার্যরত রয়েছে। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ সহনীয় মাত্রায় এসেছে এবং জনসচেতনতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে এখন স্বস্তীর নি:স্বাস ফেলার সময় এসেছে। সকল কিছুই যে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক হয় তার আরো একটি প্রমান হলো ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার দৃশ্যমান কার্যকারীতা।
আমাদের প্রত্যেকেরই কথা বলার সময় আরো সংযত আচরণ করতে হবে এবং জনগণকে আঘাত দিয়ে কথা বলা এমনকি প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যেকে প্রত্যেকে সম্মান দিয়ে এমনকি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় এগিয়ে যেতে হবে পথ চলতে হবে, সংশোধন করতে হবে। তাহলেই সমাজ বিনির্মান সহজ হবে। বঙ্গুবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার হউক সকল অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তি টানা এমনকি আদর্শীক জীবন যাপনে সকলকে উৎসাহিত করা। জনগণের বিজয়েই দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে আর জনগণের উন্নয়নেই দেশ উন্নততর মর্যাদায় আসীন হবে। তাই দেশের তরে এবং জনগণের তরে নিজেকে উৎসর্গীকৃত করে আগামীর সকল সম্ভাবনায় ঝাপিয়ে পড়–ন। এই প্রত্যয়েই হউক আমাদের আগামীর পথচলা।