ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়োগপ্রাপ্ত দালালরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের তাদের নিজস্ব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষার করানো জন্য রোগীদের টানা হেচরা করেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত দুই ডায়গনষ্টিক সেন্টারের তিন কর্মচারীকে আটক করেছেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত দুই ডায়গনষ্টিক সেন্টার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলা সদরে অবস্থিত ৫০ শর্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে কেন্দ্রকরে হাসপাতালের সামনে ও আশে-পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বে-সরকারি ডায়গনষ্টিক সেন্টার। ওই সেন্টারগুলিতে হাসপাতাল থেকে রোগী আনার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় দালাল। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গেলেই দালালরা ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানা হেচরা করতে থাকে।
ওইদিন দুপুরে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায়। এ সময় মা মনোয়ারা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের দুই কর্মচারী রিফাত মিয়া ও জুয়েল মিয়া এবং ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের কর্মচারী সুমন মিয়াকে আটক করেন।
বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মা মনোয়ারা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিককে ৩০ হাজার টাকা এবং ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে জরিমানা আদায় করে আটকৃতদের ছেড়ে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে.এম. হুমায়ুন কবির বলেন, ডায়গনিষ্ট সেন্টারের নিয়োগপ্রাপ্ত দালালরা হাসপাতালে আসলে তাদেরকে একাধিকবার বাঁধা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নির্বাহী হাকিম কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দুই ডায়গনষ্টিক সেন্টারের তিন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত দুই ডায়গনষ্টিক সেন্টার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তিন কর্মচারীকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।