জয়দুল হাসান॥ আলহাজ্জ্ব সৈয়দ মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন এক জীবন যুদ্ধে পরাজিত অশতিপরায়ন ভোটার। উনি একজন ভোট দাতা। উনাকে এভাবেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভোট কেন্দ্রে। চিত্রটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের। গত ১৯ আগস্ট সোমবার ছিলো সৈয়দাবাদ এএস মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ৫২০ জন ভোটারের মাঝে ৪৪৪ জন উপস্থিত ছিলেন। সেই ৪৪৪ জনের মাঝে উনিও একজন ভোটার।
ভোটের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে মৃত্যুপথযাত্রী মানুষও প্রচেষ্টা চালায় বিভিন্ন বাহনের আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে বা মাধ্যমে। এরকমই একটি ঘটনা যা প্রত্যক্ষ করার বিশ^বাসী। অধীকার আদায় এবং প্রয়োগ কি জিনিস তার শতভাগ শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন। আসলে এরকমই হওয়ার কথা এবং অদুর ভবিষ্যতেও হবে তাই।
একটি স্কুল নির্বাচনে যদি এমন হয় তাহলে জাতিয় নির্বাচনে কি হবে তা অনুমান করা যায় কি? ভাবেনতো এই দৃশ্য আবার কখন দেখা যাবে বাংলার আকাশে। আমরা আশাবাদি এই ভেবে যে মানুষ তার অধিকার প্রয়োগের জন্য কতইনা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্যথেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আগামীকে সম্প্রসারিত করতে হবে।
এই নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশগ্রহণ করেছে। একটি বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ পরিচয়ে এবং অপরটি সম্মিলিত ঐক্য যেখানে আওয়ামী লীগেরও একটি অংশ যুক্ত রয়েছে। গ্রামের স্বার্থে এবং স্কুলের মানোন্নয়ের প্রয়োজনেই ঐ ঐক্য হয়েছিল বলে কথিত আছে। তবে আওয়ামীলীগ যে প্যানেল দিয়েছে তারাও ঐ স্কুল এবং গ্রামের মানোন্নয়নের প্রয়োজনেই বলে কথিত রয়েছে। তবে নির্বাচন হতে সুষ্ঠ এবং নিশ^য়তা সবাই দিয়ে যাচ্ছে ভোটারদের এবং নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি উভয় গ্রুপের। দল মত নির্বিশেষে এই দৃশ্যমান ঐক্য এবং সুশৃঙ্খল নির্বাচন ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সুপ্রসস্থ্য করার কারিঘরদের নিরলস প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বিজয়ী দলক। পরাজিতদেরকে জানাই অভিনন্দন যাতে আগামীর কল্যানে ঐক্যবদ্ধ থেকে সবকিছু দেখভাল করেন।