নীতি এবং উন্নয়ন

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]আধুনিক সভ্যতায় উন্নয়ন এবং নীতি একসূত্রে গেঁথে রাখা জরুরী তবে ইহা খুবই কষ্টকর। এই আধুনিকতার ছোয়ায় আবার যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল সভ্যতা। এই তিনেই এখন মাতোয়ারা পৃথিবী। এই তিনের সমন্বয় সাধন খুবই জরুরী। আমাদের দেশের ডিজিটাল সংস্কৃতিকে মানিয়ে নিতে আপামর জনসাধারণ প্রাণপন চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল সংস্কৃতির ডিজিটাল আইন এখনও যুগৎপদ হয়নি। তাই এই আইনের সংশোধন ও সংযোজন এবং বিয়োজন প্রয়োজন। এই ডিজিটাল আইনটিকে যুক্ত করতে হবে নীতি + উন্নয়ন+ ডিজিটাল সভ্যতা + ডিজিটাল আইন = দেশোন্নয়ন। এই দেশোন্নয়নে অংশীদ্বার হতে ইচ্ছুক এবং ইচ্ছুক নয় এমন ব্যক্তিদেরকে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের বহুমূখী প্রতিভার স্বাক্ষরে সমুজ্ঝ¦ল এই জনবান্ধব সরকারকে। যদি এইক্ষেত্রে কিছুটাও বিলম্ব হয় অথবা জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে না পারে এমনকি জনসম্পৃক্ততার ঘাটতি থাকে তাহলে বিপদাসন্ন। তাই সময় থাকতে সময়ের মূল্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ডিজিটাল আইনের ঘেরাকলে পড়ে অনেকেরই জীবন বিপন্ন এবং উন্নয়নের সুফল ভোগের ধরাছোয়ার বাইরে অবস্থান নিয়েছে। যদিও কোন সুযোগ নেই ঐসকল পিছিয়ে পড়া মানুষদের সম্পৃক্ত করে জনসম্পদে পরিণত করে উন্নয়ন গতিকে আরো তরান্বিত করার। কিন্তু সেইক্ষেত্রে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিন্নমতের মতাদর্শী মনোভাব। তবে আমাদের হিংসাত্মক রাজনীতি হয়তো কোনদিন ক্ষমাশীল হয়ে সার্বজনীন ঐক্য রূপলাভ করে কল্যাণের নিমিত্তে কাজ করবে। তবে এহেন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এই আশা সুদুর অতীতে হতে পারে কি না তাও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। আমি বিশ^াস করি মানুষ যদি মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে কাজ করে তাহলে আমাদের উন্নয়ন গতি এবং এর স্বীকৃতি আদায়ে সহজ থেকে সহজতর হবে।
মানুষ মানুষের জন্য কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের সমাজ সংসারের কতিপয় মানুষ এমনকি আমাদের কতিপয় মন্ত্রীমহোদয়গণ এই মূলমন্ত্রে বিশ^াসী নয়। বরং বিরোধী মনোভাব চর্চার ফলশ্রুতিতে আমরা অন্ধকারের গহবরে পর্যবসীত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে ইতিহাসের স্বাক্ষ প্রমানের আলোকে বলা যায়। আমরা কি চাই এবং কি পাই তা বড় কথা নয় বরং বড় কথা হলো আমরা রাষ্ট্র এবং সরকারের বাধ্য এমনকি একনিষ্ট অনুসারী। তাই আমাদের প্রতি সরকারের এমনকি রাষ্ট্রেরও দ্বায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা পিছিয়ে যেন আর না পড়ি সেইজন সকলেই মিলে মিশে রাষ্ট্রের উন্নতির শিখরে পৌছানো ছাড়া আর কি অবশিষ্ট রয়েছে।
চারিদিকে যা লক্ষ্য করছি এবং প্রত্যক্ষভাবে পরখ করছি যে, মানব সেবার ব্রতি নিয়ে কর্মক্ষেত্র ত্যাগের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষ। এহেন সমস্যা সমাধানে সরকারকে এগিয়ে এসে মানুষের কর্মক্ষেত্রের প্রশসস্তা বৃদ্ধিকল্পে জটিলতাগুলো দূর করে কর্মক্ষেত্রের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রতিটি সমস্যা দৃশ্যমান হওয়ার পর পদক্ষেপ নিয়ে সফলভাবে উর্ত্তীর্ণ হওয়ার চেয়ে সমস্য চিহ্নিত করে সমস্যাহীনভাবে কর্মকান্ড চলমান রাখাই এখন সময়ের দাবী। পূর্বথেকেই সমস্যার ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং সমস্যা জন্মনেয়ার আগেই এর নির্মূলে কাজ করুন। অগ্রসরমান পৃথিবীর দ্রুতলয়ের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে যেন আমরা তালগোল পাকিয়ে না ফেলি সেইজন্য পদক্ষেপগুলো নেয়া এবং বাস্তবায়ন করা ফরজে আইন হয়ে দাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফলতায় উদ্ভাসীত জাতি এবং দেশ ও সর্বোপরি দল কিন্তু দেশের সফলতা এমনকি দলের সফলতা অথবা জাতির সফলতার মূলে কাজ করার জন্য সকলকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে; আর তখনই প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও চেষ্টা এবং অভিপ্রায় পরিপূর্ণ হবে। সকল নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসলে সবই সম্ভব হবে এই বালাদেশ এবং এদেশের মানুষের দ্বারা। আমাদের সামনে সামগ্রীক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সঙ্গে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তকেও মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জনে অগ্রসর হতে হবে। নিতি ও উন্নয়নকে জাগ্রত রেখে এর সঙ্গে সামগ্রীক ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের যুক্তকর্ম সম্পাদনের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এমনকি এর গতিশীলতা তীক্ষ থেকে তীক্ষতর করে এগিয়ে যেতে হবে।
সরকারের নীতি এবং উন্নয়নের সঙ্গে বেসরকারী নীতি ও উন্নয়নকে যুক্ত করতে হবে পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় এমনকি সহযোগীতায় এগিয়ে নিতে হবে। সকল রকম প্রতিবন্ধকতা পরিহার করতে হবে এমনকি কর্মক্ষেত্রের ব্যপ্তি বৃদ্ধিকল্পে সরকারের সকল শাখা-প্রশাখাকে সহযোগীতা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুবা কর্মক্ষেত্রের সম্প্রসারণের বিপরীতে সংকোচন হয়ে হঠাৎ সরকারের উপর নেতিবাচক চাপ বাড়বে। যেখানে কর্মক্ষেত্রের অগ্রসরতা দৃশ্যমান সেখানে এসবি ও এনএসআই এবং জয়েনষ্টক, এনজিও ব্যুরো এমনকি অন্যান্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার সমন্বয় ও সহযোগীতা এমনকি সমস্যাসংকুল জায়গায় সমস্যা দূরীকরণের মনোভাব পোষণ করে কর্মসম্প্রসারণ নীতির দ্রুত বাস্তবায়ন করে এগিয়ে নিতে ও যেতে হবে। কোনভাবেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চাকুরীচ্যুত করা যাবে না বরং এর সম্প্রসারণ তরান্বিত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.