আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ অনেক দেশেই সরকারি চাকরি যেন সোনার হরিণ। অনেক শিক্ষিত যুবক এই সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য শেষ অবধি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান। এই চাকরির এমন চাহিদার বাজারে এমনও আছে যে, একজনই তিনটি সরকারি চাকরি করছেন, তাও আবার একই সঙ্গে। ভারতের বিহারের এক বাসিন্দা তেমনটিই করেছেন। তার নাম সুরেশ রাম। তিনটি চাকরি থেকেই দিব্যি বেতনও পান তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, ৩০ বছর পর ধরা পড়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমে তার এই প্রতারণার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সুরেশ রাম একইসঙ্গে ভারতের নির্মাণ দফতর, পানিবণ্টন দফতর এবং বাঁধ মেরামতি দফতরে কাজ করতেন। কিষাণগঞ্জে নির্মাণ দফতরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন সুরেশ। বাঁকা জেলার বেলহার ব্লকে পানিবণ্টন দফতরে কাজ করতেন তিনি। আর তার তৃতীয় কাজটি ছিল সুপাউলে বাঁধ মেরামতির।
যেভাবে একসঙ্গে তিনটি চাকরি করেন তিনি
১৯৮৮ সালে পাটনায় সরকারি দফতর নির্মাণ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের কাজ প্রথম করেন তিনি। সেখানে কাজ করতে করতেই ১৯৮৯ সালে পানিসম্পদ দফতরের চাকরিও পেয়ে যান সুরেশ রাম। এর কিছুদিনের মধ্যেই বাঁধ মেরামতি দফতরে তার চাকরি হয়ে যায়। কিন্তু তিনি আগের চাকরি ছেড়ে পরের চাকরিতে যোগ দেননি। তিনটি সরকারি বিভাগের কাজই সমানতালে করে গেছেন। তিনটি সরকারি দফতরে চাকরির জেরে মোটা অঙ্কের বেতনও পকেটে ভরেছেন সুরেশ।
যেভাবে ধরা পড়লেন সুরেশ তার সহকর্মীদের দাবি, একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনজরেই ছিলেন সুরেশ। কারণ, প্রতিটি চাকরিতেই বেশ কয়েকবার প্রমোশনও পেয়েছেন তিনি। তবে গত জুলাই মাসে তার ছন্দপতন হয়। প্রকাশ্যে চলে আসে সুরেশ রামের প্রতারণার কথা। কম্প্রিহেনসিভ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ফলের রামের এই তিন সংস্থায় চাকরির যাবতীয় খুঁটিনাটি ধরা পড়ে। গত বছরেই বিহার সরকার এই কম্প্রিহেনসিভ ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রথা চালু করে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় আর্থিক কারচুপি ধরতেই মূলত এই নতুত উদ্যোগ নেয়া হয়। জুলাইতেই কিষাণগঞ্জ নির্মাণ দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি সুরেশ রামকে তার চাকরির সব কাগজ জমা দিতে বলেন। তাতেই সামনে আসে কারচুপি। এরপরই সুরেশ রামের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।