অন্যায় ও রোহিঙ্গা শব্দ দুটি এখন একীভ’ত হয়ে মহা সর্বনাশের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এবং এদেশের জনগণ দেখিয়েছে উদারতা এবং আতিথেয়তা ও মানবিক গুণের সর্বোচ্চ ব্যবহার। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এমনকি সেবা শুশ্রুষা দিয়ে প্রয়োজনীয় যোগানের নিশ্চয়তাসহ মৌলিক চাহিদার পুরণের মাধ্যমে দেখিয়েছে এক অসম্ভবকে সম্ববে পরিণত করার মহা সাহসিকতার এমনকি পারদর্শীতার ইতিহাস। রচিত হয়েছে মহাকাব্য এবং বহু গ্রন্থ যা বিশে^র শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্লেষণ ও গভেষনার মাধ্যমে উন্মোচিত করতে যাচ্ছে আগামীর অসম্ববকে সম্ভবে পরিণত করার উপায়; বাংলাদেশ সরকার ও জনগনের রচিত বৈশি^ক গ্রন্থপুঞ্জ দিকদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ও করে নিয়েছে। সবই ইতিবাচক এবং যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে অনেক অসঙ্গতি। বাংলাদেশ দেখিয়েছে এবং শিখিয়েছে এমনকি দৃষ্টান্তের পর দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। সকল প্রতিকুল বাধাবিপত্তি মোকাবেলায় একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বাংলার জনগণ এবং এর দিকদর্শন কারী উন্নয়নের দিশারী বর্তমান সরকার। সবই করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর দেখানো ও শিখানো এমনকি অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তীকরণের লক্ষ্যে।
বাংলার আকাশে যে উদীয়মান সূর্য্য উদীত হয়েছে তা আর অস্তমীত হতে দেয়া যায় না এবং যাবেও না। যেকোন উপায়ে এর লাগাম টেনে ধরে এগিয়ে যেতে হবে। তাই এই রোহিঙ্গা সমাচার যেন ঐ উদীয়মান সূর্য্যেেক অস্তমিত হতে সহায়তা করতে না পারে সেইজন্য কাজ করতে হবে; দৃষ্টিসীমার মধ্যে রাখতে হবে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং এর ভিতর ও বাহিরের সার্বক্ষনিক কর্মকান্ড। ইতিমধ্যে অনেক দূর্ঘটনার জন্ম দিয়েছে এই আগন্তুক মেহমানরা। তাদের আর সহ্য হচ্ছে না এমনকি মেহমানদারী আর পোষাচ্ছে না বা অন্য কোন উদ্দেশ্যের কারণে শান্ত থাকতে পারছে না। তাই তারা নিজেরা জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অনৈতিক এমনকি অনধিকার চর্চার কাজে। কেউ কেউ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে লোকালয়ে এমনকি ঘনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে নিজেদেরকে বাঙালী দাবি করে নির্তদিনের কর্মকান্ড পরিচালিত করে যাচ্ছে; আবার কেউ কেউ পালানোর সময় অথবা পালানোর পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধৃত হচ্ছে। কেউ আবার অন্ধকার জগতের অন্ধকারাচ্ছন্ন সকল অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। এদেরকে আবার কেউ কেউ ব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হচ্ছে এমনকি বড় অংকের ফায়দা লোটার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কাজে তাদেরকে ইন্দন দিচ্ছে এমনকি অপরাধ কর্মকান্ডে ব্যবহার করে যাচ্ছে ও করার জন্য প্রস্তুত করছে।
আন্তর্জাতিক শত্রুমহলও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঐ মানুষগুলোকে ব্যবহার করে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে। তাই সকলই এখন যেন এক অনন্য উ””তায় পৌছে একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যায় + রোহিঙ্গা শব্দ দুটি। চমৎকার একটি প্লাটফর্মও তাদের তৈরী হয়েছে। যার জন্য তারা মহাসমাবেশও করে যাচ্ছে, সরকারের কোন পরামর্শ শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে যাচ্ছে। এনজিও কর্মীদের সহায়তা নিয়ে তারা অন্ধকারের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশীয় মদদে এবং আন্তর্জাতিক উৎসাহে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় একটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার গুদামঘর থেকে। খুন Ñ ধর্ষন ও বাঙ্গালী নিধনের মত মহা অন্যায়ে তারা জড়িয়েছে এবং আরো বড় পরিকল্পনার জন্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশী ভিন্নমতের ও পথের এমনকি দেশের শত্রুভাবাপন্ন মানুষগুলো ঐ মানুষগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছে এবং দেশের সর্বনাশ করে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার মাদক ব্যবসার তুরুফের তাস হিসেবে ঐ রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে যাচ্ছে।
আমাদের দেশের জন্মসনদ এবং পাপর্পোট পেতেও কেউ কেউ সহায়তা করে যাচ্ছে। আর ঐ সহায়তা নিয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে অন্যায় ও জুলুমনির্ভর কর্মকান্ড। তবে কেউ কেউ আবার বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তী বিনষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে ডিজিটাল যুগের কল্যাণে অনেক অঘটন আমাদের দৃষ্টিসীমায় এসেছে ঐ রোহিঙ্গাদের সৃষ্ট কর্মকান্ড থেকে। আমাদের সবচেয়ে দু:খের জায়গা হলো আমাদের স্থানীয় সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধীদের দারা পাওয়া জন্মসনদ এরমত বরধরণের ভ’ল কাজ। পরিশেষে আবার ঐ জন্মসনদ ব্যবহার করে স্থানীয় ঠিকানা দেখিয়ে জাতিয় পরিচয়পত্র এমনকি পাসপোর্টও হাতিয়ে নিচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব আর কেনইবা ঐ স্থানীয় প্রতিনিধিরা এই অন্যায় কাজটুকু অনায়াসেই করে যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আরো আগেই এই বিষয়ের প্রতি কড়া দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন অনেক অঘটন এমনকি দৃষ্টিসীম্য়া দৃশ্যমান হওয়ার পর প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে। ভাল দিক হলো এই কাজের গড়ি আড়ো বাড়িয়ে এখনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে এনে দেশের তরে কাজ করতে হবে।
ডিজিটাল ডাটাবেজ এমনকি নাগরিক শুমারী ব্যবহারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাটাবেজকে একীভ’ত করে ভ্যারিফাইড করে নিলে হয়তো ঐ ভুলের আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে আমার মনে হয়। তাই ডিজিটাল এবং আইটির সমন্বয়েই ঐ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর উস্কানিদাতারা এমনকি মায়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে একটি ইতিবাচক সমাধানে পৌঁছে জাতির ঘার থেকে ঐ অপশক্তির অপতৎপরতা দুরীভ’ত করা হউক। শন্তিপূর্ণ উপায়ে যত দ্রুত সম্ভব ঐ জনশক্তিকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে ততই আমাদের দেশে তথা সমগ্র জাতির মঙ্গল সাধিত হবে। কোনভাবেই এর স্থায়ীত্বকে দির্ঘায়িত করা যাবে না। আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সকল ইতিবাচক দিক যা মুল্যবান এবং মূল্যবহন করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোবাইল একেবারে নিষিদ্দ। অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে তাহলে উপযুক্ত শাস্তি পেতেই হবে। এই বিষয়ে পুলিশের এমনকি এনজিও প্রতিনিধির সহায়তা নিতে হবে; তদারকির ব্যবস্থা জোড়দার করতে হবে। সিম নিয়েও যে ধ্রুম্যজাল সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান করতে হবে। সন্ত্রাসী ও মিথ্যা অপবাধকারীদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন করে মুখোশ খুলে দিতে হবে। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে অন্যায় এবং রোহিঙ্গা এই দুই শব্দকে পৃথক করে আলাদা আলাদা রেখে পৃথকভাবেই ব্যবহার করতে হবে।