ফ্লাইওভারে পাঠাও চালক মিলন হত্যার মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার, মোটরসাইকেল ও মোবাইল জব্দ

সুজন কৈরী॥ রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের ওপরে মোটরসাইকেল চালক মিলনকে এন্টিকাটার দিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. নুর উদ্দিন সুমন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ। গ্রেপ্তারের সময় নুরউদ্দিনের কাছ থেকে নিহত মিলনের ব্যবহৃত একটি স্যামসাং জে-৫ মোবাইল ফোনসেট, দুইটি হেলমেট ও ডায়াং ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। নিহত মিলন রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠওয়ের চালক ছিলেন। hoottoa
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৩টায় মিলন এক যাত্রীকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় নামিয়ে দেন। পরে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের ওঠার সময় আবুল হোটেলের ঢালে গ্রেপ্তারকৃত নুর উদ্দিন মিলনকে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে গুলিস্তানে যাবেন জানিয়ে ৫০ টাকায় ভাড়া ঠিক করেন। ফ্লাইওভারের সবচেয়ে ওপরের সড়কে পৌঁছানোর পর মোটরসাইকেল থামাতে বলেন নুর উদ্দিন।
থামানোর পর নুর উদ্দিন মিলনকে বলেন, তিনি মোটরসাইকেল চালাবেন। এতে মিলন রাজি না হয়ে বলেন, ‘আপনাকে আমি কেন মোটরসাইকেল চালাতে দেবো?’ এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। সুযোগ বুঝে নুর উদ্দিন এন্টিকাটার দিয়ে মিলনের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে ফ্লাইওভারে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান।
বাতেন জানান, এ ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় মামলা হলে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনাস্থলে কোনো সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ছিল না, কেউ ঘটনা দেখেনি ও ঘটনাটি রাতের নির্জনে হওয়ায় এমন ক্লুলেস ঘটনায় অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করাটা ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশ সেই কঠিন কাজটি সফলভাবে করেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার দিবাগত রাতে শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মিলন হত্যায় অভিযুক্ত নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় মিলনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসেট।
নগরবাসীকে আহবান জানিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, রাইড শেয়ারের অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন নিরাপদ। চুক্তিতে না গিয়ে অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ার করা ভালো। এজন্য নগরবাসীকে সচেতন হয়ে পথ চলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.