ঈমানের ও আমলের চর্চা এবং নৈতিকতার বড়ই অভাব আজ পরিলক্ষিত হচ্ছে চারিদিকে। যে মানদন্ডের উপর দাঁড়িয়ে জীবন উপভোগ ও স্থায়ী শান্তি লাভ করা যায় সেই মানদন্ডেই আজ আঘাত এসেছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বিশে^র সকল প্রান্তে। বিশ^ দরবারে আজ নেতিবাচকতার জয়জয়কার এবং ইতিবাচকতার নীরব প্রস্থান পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারপরও মানব সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এই এগিয়ে যাওয়ার মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা তার সাম্য এবং নৈতিকতার ভারসাম্য ও ইতিবাচকতাকে জিয়ে রাখবেন শেষ সময়ের শেষান্তে পর্যন্ত। সেই ধারাবাহিকতায় এখন আমাদের বাংলাদেশেও বিভিন্ন রকম নেতিবাচকতার প্রভাব বিরাজমান হচ্ছে এবং মিডিয়ার কল্যানে তা মানুষের দৃষ্টিসীমায় সমান্তরালভাবে দৃশ্যমান থাকছে।
নৈতিকতার এমনকি ঈমান ও আমলের অভাবে এখন সমাজ সংসারে অশান্তির আগুন দাও দাও করে জ¦লছে, সমাজ সংসারকে অতিক্রম করে কর্মক্ষেত্রেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে; শুধুইকি তাই সেই অশান্তির বিষবাস্প এখন রাজনীতিকেও ঘ্রাস করেছে। যেখানে রাজনীতি ছিল স্বচ্ছ এবং জবাহদিহীতামূলক সেবার ও সাম্যের প্রয়োজনে ন্যায়ের গীত রচনার নিমিত্তে সেইখানে এখন অপরাজনীতি ও অনৈতিকতার ছড়াছড়ি। নিত্যদিনের পত্রিকার পাতা বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে দেখা যায় আমাদের সমাজে ঈমান ও আমালের বিপরিতাত্ত¦ক সকল কর্মকান্ড। রাজনীতিবিদরা অপরাজনীতির ধারক ও বাহকদেরকে যেকোন মূল্যে পদায়ন করেছেন এবং সেই পদায়নের ফলে অপরাজনীতি আজ রাজনীতি এবং নীতি ও আদর্শকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এখনকার দৃশ্যমান অবস্থা কিন্তু একদিনে সৃষ্টি হয়নি বরং বহুদিনে এই চর্চার সিকড় গেড়ে বসেছে। আর এই অপবাদ এবং লজ্জ্বা এখন দলকে; দেশকে এমনকি সমর্থক থেকে কর্মী পর্যন্ত সকলকেই দায়ভার নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। কি প্রয়োজনে কেনইবা এই লোকদের হাতে ক্ষমতা বা পদায়ন তার একটি কুল কিনারা করা প্রয়োজন এবং কাদের দারা এই অনৈতিক এমনকি অঈমানিক মানুষগুলো তাদের রাজত্ব কায়েমে কাজ করেছে তারও একটি তালিকা তৈরী করা প্রয়োজন।
রাজনীতিকে কলূষমুক্ত করা এমনকি স্বচ্ছভাবমূর্তীর ইতিবাচক চর্চার মানুষগুলোকে পদায়ন করা এখন সময়ের দাবী। যারা দলের প্রয়োজনের দেশের প্রয়োজনে নিজের রক্ত বিক্রির অর্থদিয়ে, সময় ও শ্রমদিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে সামনের কাতারে এনে দেশ সেবার দায়িত্ব দেয়াও সময়ের দাবি। তবে ইদুর বিড়াল খেলার চলমান ধারাবাহিকতা রাখা প্রয়োজন। ইদুর কখনো বিড়াল হয়ে উঠে আবার বিড়ালও ইদুর হয়ে উঠে তাই পাহাড়াদার হিসেবে চোখ কান খোলা রেখে দায়িত্বের খুটিনাটি দেখা উচিত। নতুবা পাহাদারদের প্রশ্রয়েই সকল অপকর্ম সাধিত করবে। তাই সাবধান হউন সময় থাকতে। এখানে উল্লেখ্য যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর একটি উক্তি করেছিলেন যা আজো শতভাগ সত্যি। সেই উক্তিটি আমরা সকলেই জানি এবং সেই উক্তি থেকে কোন শিক্ষা নেই না; সময় এসেছে শিক্ষা নেয়ার। “মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি”। এখন এই চোরের খনি অপসারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজ দল এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো থেকে যাত্রা শুরু করেছেন। আসুন আমরা সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টাকে সফলতায় পর্যবসিত করি। সরল দৃষ্টিষ্টে এই প্রচেষ্টায় কেউ অখুশি হওয়ার কিছু নেই তারপরও বলব এতে অনেকেরই আতে ঘ্যা লেগেছে এমনকি ভিতরে ভিতরে অখুশী হয়েছেন। ফিরে আসুন এবং প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক প্রচেষ্টাকে সলতায় পর্যবসিত করুন। সমাজ ও দেশ থেকে সকল নৈরাজ্য এবং নেতিবাচকতা বিতারনে নিজের ভুমিকা স্পষ্ট করুন। স্ব স্ব ধর্মের ঈমান ও আমল এবং আকিদা অনুযায়ী চলার চর্চায় সহযোগীতা করুন। নীতি ও নৈতিকতা এবং এর চর্চায় সহযোগীতা করুন। যেখানেই বিপরীতমুখী আচরণ এবং অনৈতিকতা এমনকি নেতিবাচকতার প্রভাব বিরাজমান সেখানেই সকলে মিলে কাজ করুন যেন ইতিবাচক ও নৈতিকতার চর্চায় দেশ জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে অগ্রগামী হয়।
বঙ্গবন্ধু নেই কিন্তু তার দেখানো ও শেখানো পথ এবং মত এমনকি শিক্ষা রয়েছে আমাদের সামনে। সর্বোপরি তাঁরই উত্তরসূরী আজ আমাদের কান্ডারী। তাই এই উন্নয়নে আগামীর ভুমিকা নিয়ে চিন্তা করুন। মাঝে মাঝে দেখা যায় সুবচন ফিরে এসেছে আর আজ বড়ই প্রয়োজন আমাদের মাঝে বিবেক ও সচেতনতা এমনকি ধর্মীয় চর্চার। তাই সুবচনের সাথে ধর্মীয় চর্চার ইতিবাচক দিকগুলোই আমাদেরকে সততার ভিত্তিতে ন্যায়-পরায়নতার ছায়াতলে দাড় করাতে পারে। যদি আমরা সকলেই সৎ হয়, ইতিবাচক হই, সুবচন নিয়ে চলাফেরা করি আর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়মূখী সকল কর্মকান্ডকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তা দান করি তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে বিশে^র শ্রেষ্ট সম্প্রদশালী এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার এক নির্ভরতার প্রতিক হিসেবে দৃষ্টান্ত বহনকারী রাষ্ট্র। যার দৃষ্টান্তে ও পথচলায় এগিয়ে যাবে আগামীর বিশ^। আসুন এই পথে বাধা না হয়ে শরীক হই নিজেকে গর্বীত অনুভব করি। আমাদের নৈতিকতা ও ঈমানিক দায়িত্ব সচেতনতাকে জাগ্রত রাখি। হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধারে সার্বজনিন চেষ্টা অব্যাহত রাখি।