সঠিক পথে রাজনীতি ও সরকার

রাজনীতি ও সরকার উভয়েই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কাজ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণের তরে। নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে মানবতার কল্যাণের তরে। এই কথাগুলোকে বাস্তব সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল অতিতের সকল রাজনীতিবিদ গণ। তাদের আত্মত্যাগের বদৌলতেই রাজনীতি এবং সরকার এর চলামান ধারাবাহিকতা এখনো বিরাজমান। রাজনীতি বিদ ও সরকার এবং সরকারের লোকজনের সেবার মানষিকতা এবং সেবকের সন্তুষ্টির মানদন্ডই সরকার এবং রাজনীতিকে জিইয়ে রেখেছে। এযাবত কালে যত মহিয়ান ও স্মরণীয় ব্যক্তিরা আভির্ভূত হয়েছে এমনকি গতও হয়েছেন তাদের সকলেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই রাজনীতিকে এমনকি সরকার ও সরকারী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গরাও সেবা ও সেবকের ভ’মিকাকে দিনে দিনে উজ্জ্বীবিত করে আমাদের জন্য রেখে গেছেন।
আর চারিদিকে তাকিয়ে বড় কষ্ট ও হতাশার সুরে বলতে ও লিখতে এমনিক দেখতে হয়; কখনো কখনো নিরব দর্শকের ভ’মিকায় অবর্তির্ণ হতে হয় যা আমাদেরকে বোবা ও কালাতে পরিণত করে নির্বোধে রূপান্তর ঘটিয়ে দিচ্ছে। রাজনীতিতে এখন খায়েনার থাবায় কলূষিত এবং বিকশিত হচ্ছে ঐ হায়েনাদের দল। সরকারে এবং সরকারের সঙ্গে যুক্ত কর্মকান্ডনির্ভর মানুষগুলোও যেন আজ তাদের চেতনা হারিয়ে অচেতন অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে। দিশাহীনকে দিশা দেখানোর জন্য, পথহারাকে পথের দিশা দেয়ার জন্য সর্বোপরি মানুষকে মানুষের মতকরে বেঁচে থাকার যা যা করা দরকার তার সবটুকুই করেছেন আমাদের অহংকার ও গর্বের ধন রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গুবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তিনি দিশাহীনকে দিশা দিয়েছেন, আশাহতকে আশা জাগিয়েছেন, অসহায়কে সহায়ে পরিণত করেছেন; দুর্বলকে সবলে পরিণত করেছেন। সবলকে সঠিক অবস্থান বজায় রেখে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে যাচ্ছেন। সর্বোপরি বাংলার মানুষ শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন ও অগতিতে সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যা বহি:বিশে^র সুচক এমনকি স্বীকৃতিতে আজ উজ্জ্বিবীত এবং দৃশ্যমান রয়েছে।
শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন ভালবাসায় কত মহৎ ও উদার আর শাসনে কত কঠোর। তিনি সন্তানতুল্য দেশবাসিকে দল মত নির্বিশেষে ভালবাসায় ভাসিয়েছেন এবং শাষনে কঠোরতা দেখিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসন, রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের কাউকেই তিনি শাসনের বাইরে রাখেন না। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে এমনকি রাষ্ট্রের সর্বোপরি তাঁর ঐ শাষণের বেড়াজালে আবদ্ধ। আমরা দেখেছি তিনি কিভাবে শাসন শুরু করেন; তিনি প্রথমে তাঁর নিজ ঘর থেকেই শাসন শুরু করেন এবং এর বিস্তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে নৈতিকতা এবং সেবার মনোভাবকে জাগ্রত রেখে আগামীর বিশ^কে নিজের নিয়ন্ত্রনে এনেছেন। শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে এই কথাটি ১০০ভাগ সত্যে পরিণত হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রনায়ন শেখ হাসিনার জীবন ও কর্মের মাধ্যমে। এখন তিনি শুধু হুশিয়ারী সংকেত দিয়েছেন সাবধান হয়ে সঠিক জীবনে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু যারা এখনও এদিন ওদিক ছোটাছুটি করে সময় নষ্ট করছেন তাদের জন্যও রয়েছে আরো বড় কোন উপন্যাস ও উপাখ্যান।
অপরাধ ছোট হউক আর বড় হউক দুটোই সমান। সুতরাং ছোট অপরাধে যারা এখনও অভিযুক্ত হয়নি তাদেরও সতর্ক হয়ে সহিহ জীবনে ফিরে আসা উচিত। টেন্ডার কেনা অথবা ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডার নিয়ে আসা; কাজে ধীরগতি এবং টাকা উত্তোলন করে অন্যকাজে ব্যবহার এমনকি কাজে ভেজাল, অন্যকে চাকরী পাইয়ে, কাজ পাইয়ে দেয়া এমনকি রাজনৈতিক তদবিরসহ নানান অপরাধে অপরাধি হয়ে যারা আজ অর্থের পাহার ঘরেছেন তাদের সবাই এখন সচেতন হউন এবং অন্যায়কে অন্যায় ভেবে পাপ থেকে ফিরে আসুন।
সমাজে নিজেদেরকে সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন। শেখ হাসিনার অভিপ্রায় বুজে নিজেকে তাঁর একনিষ্ঠ নি:স্বার্থ কর্মী হিসেবে নিয়োজিত করুন। অতি উৎসাহি হয়ে যারা সমালোচনা করছেন এবং এমন ভাব দেখাচ্ছেন যে, ঐ নেতা এবং কর্মীদের চিনেন না বা দেখেননি কোনদিন তাদেরকে বলছি এই ধরণের কথা বলে নিজেদেরকে আর ছোট করবেন না। বরং স্বীকার করে নিলে কোন সমস্যা নেই কারন একটি বৃহৎ পরিবারে এমন থাকতেই পারে। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেমন সমান নয় ঠিক তেমনি একটি পরিবারের সকল সন্তানেরাও এক হয় না। বিভিন্ন চিন্তা ও কর্মের সমন্বয়ে গঠিত ঐ বৃহৎ পরিবারকে ঐক্য এবং সুশৃঙ্খল রাখতে একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন এবং পারবেন। আপনারা ধৈয্য ধরে অপেক্ষা করুন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপকে সর্বান্তকরণে সহায়তা করুন যাতে সকলে মিলে এই দেশটাকে একটি নিষকলুষ উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে রূপদান করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতি পারি।
সমালোচনা এবং পক্ষাবলম্বন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার বহিপ্রকাশধারীদের বলছি; আপনারা অপেক্ষা করুন এবং ধৈয্যধরুন। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা না করে কিভাবে মতামত প্রকাশ করছেন। এখনওতো কাজ শেষ হয়নি…মাত্রতো শুরু হয়েছে। সন্তানকে শাসন করেননি; যদি করে থাকেন তাহলেতো বুঝতে পারতেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি করতে যাচ্ছেন। কেন সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন। বরং এই শাসনে শরীক হউন এবং সমাজ- সংসার ও পরিবার এবং রাষ্ট্র থেকে এই নৈরাজ্য ও অন্যায় নামক পাপকে চিরতরে বিতারিত করতে ঐক্যবদ্ধ থেকে উদ্যোক্তা এবং এর বাস্তবায়নকারীদের সহায়তা করুন। পরিশেষে বলতে চাই যা হয়েছে তার শেষ হউক এবং রাজনীতি কলুষমুক্ত হউক, সরকার ও দল এবং সরকারের সংস্থাগুলি ও বেসরকারী সংস্থাগুলিও পরিচ্ছন্ন হউক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই। আমরা আছি, ছিলাম এবং থাকবো আপনার পাশে আমৃত্যু পর্যন্ত। আপনি এগিয়ে যান আগামীর সকল জঞ্জাল অপসারণে। আপনার জয় হউক আর বিশ^ তাকিয়ে দেখুক এবং শিখুক এই আমাদের প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.