কসবায় জোরপূর্বক ধর্ষনের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী তিন মাসের অন্তসত্ত্বা ॥ শিক্ষক গ্রেপ্তার

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় জোরপূর্বক ধর্ষনের শিকার হওয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রাসার ছাত্রী এখন তিন মাসের অন্তসত্ত্বা। পুলিশ ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে (৩০ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশার (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছেন । গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক আবুল বাশার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার গণিত বিষয়ের শিক্ষক। তিনি কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষক আবুল বাশার পাঁচ বছর আগে শ্রীপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় গণিত বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। তিনি মাদ্রাসার পাশেই একটি বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী শিক্ষক আবুল বাশারের কাছে গণিত বিষয়ে প্রাইভেট পড়তেন। তিন মাস আগে ওই শিক্ষকের বাসায় কেউ ছিল না। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। সহজ সরল প্রকৃতির মেয়েটি ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানায়নি ।
গত রোববার ওই শিক্ষার্থীর পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসক তার পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন। ওই ছাত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে পায় সে তিন মাসের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি জানাজানা হলে ওই ছাত্রী জানায় তাদের গণিত বিষয়ের স্যার আবুল বাশার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিলেন। ভয়ভীতি দেখানোর কারনে ওই ছাত্রী বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মেয়েটির পেটা ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখা গেছে তিন মাসের অন্তঃসত্বা।
কসবা থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. ফারুক হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের কাছে। ওই শিক্ষার্থী তিন মাসের অন্তস্বত্ত্বা। এ অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষন মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.