নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা এখন এক একটি উন্নতির ধাপে পরিগণিত হয়েছে। নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলা করেই নব্য কোটিপতি ও ধনিক শ্রেণীর ভীত প্রথিত হয়েছে আমাদের নিরহংকার সমাজে। মানুষ এখন অন্যায়কে ন্যায়ে এবং মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করেছে শুধু ঐ নেরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে। মিথ্যা এবং অন্যায়ের অভয়ারন্য সৃষ্টি করেছে নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খংলা নামক শব্দ দুটির একত্রিত রূপে। বর্তমানে এমন কোন ব্যবসা নেই যেখানে নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলা করায়ত্ব না করে; এমন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে মিথ্যা ও অন্যায় অভয়ারণ্য হিসেবে পরিগণিত না হচ্ছে। তবে এই মানদন্ড কিন্তু আর মাপার প্রয়োজন হয় না কারণ এদের জন্য কোন মিটার বা স্কেল এখনও আবিস্কৃতি হয়নি যা মেপে সেড়ে তোলা যাবে। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার এবং প্রতিশ্রুতবদ্ধ জীবন ও কর্মচাঞ্চল্যই পারে সমাজের এই নব্য ব্যাধিকে সমুলে উৎপাটন করতে। এই ব্যাধি অনেক পুরোনো কিন্তু নব্যরূপে আবিস্কৃত হয়েছে মাত্র। যা কিছুদিন আগেও বাংলার মানুষ জানত না কিন্তু বাংলা একমাত্র ভরসারস্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার দুরদৃষ্টি দিয়ে সততা ও ন্যায়পরায়নতার সমাজ কায়েমের লক্ষে নেয়া পদক্ষেপ জাতিকে সচেতন করেছে এবং শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আলোকিত রাস্তা দেখছে। তাই আসুন সকলে মিলে মিশে শেখ হাসিনার নেয়া পদক্ষেপকে সমর্থন এবং উপযুক্ত সময় উপযুক্ত ভুমিকা পালন করে পরিপূর্ণতায় পূর্ণতা দান করি।
আমাদের দেশের পিয়াজ, মরিচ, লবন, মাছ ও মাংস ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কিটনাশক, ঔষধ এবং বিভিন্ন মুখরুচক খাবার ও পানিয় জল খাবার পর্যন্ত ভেজালে ভরপুর। তবে ভেজালের অবসান ঘটানোর তরে নেয়া পদক্ষেপগুলো ধীরলয়ে কাজ করছে কিন্তু এর গতি বাড়ানো আবশ্যক। নতুবা জাতি বিলুপ্ত হবে অতি শ্রীঘ্রই। শুধু কি তাই মাঝে মাঝে মজুতকারী এবং পাইকারী বিক্রেতারাও ঐ নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা এবং পাপ ও মিথ্যা অন্যায়ের আয়োজন করে থাকেন। কখনও কখনও তারা সফল আবার কখনও কখনও তারা বিফল। তারপরেও শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন ফন্দিফিকির আটেন। এইতো সদ্য বিরাজমান পিয়াজ কাহিনী। যখন দেশ নতুন গতি ও লয়ে এগুতে থাকে তখনই একটি চক্র অস্থিতিশীল অবস্থার ব্যবস্থা করেন এবং ঐ গতিকে কিছুটা হলেও পিছু হটতে বাধ্য করান। তাই এই নৈরাজ্য সৃষ্টি কারিদের অস্থিতিশীলতার জন্য যে ক্ষতি হয় জাতির তার চেয়ে বেশী ক্ষতি তাদের ব্যবসায় করা দরকার। এমনও হতে পারে তাদের ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করে আজিবনের জন্য ব্যবসা বন্ধ করে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেই ঐসকল মনুষ্য সৃষ্ট নৈরাজ্য বা অস্থিতিশীলতা চিরতরে বিতারিত হবে। সরকারের নিয়মের বাইরে গিয়ে অধিক মুনাফা করতে চাইলে প্যানাল্টির ব্যবস্থা করা হউক। বাজার মনিটরিং এবং মজুত মনিটরিং এর স্বচ্ছ ব্যবস্থা করা হউক। যাতে করে প্রতিটি বাজারে পন্যের মূল্য তালিকা এবং মজুতের পরিমান উল্লেখ করলে আগামীর জন্য একটি স্থীতিশীল অবস্থা বিরাজমান থাকবে এবং অশান্ত জাতি শান্ত থেকে শান্তি ও আনন্দ উপভোগ করবে। ফ্রুটো বা কোনপ্রকার পানিয় ড্রিংকস্ পান করে যেন আর কারো জীবন প্রদিপ না নিভে।
সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো আলোর মুখ দেখুক এটা জাতির জাতীয় কামনা এবং চাহিদা। তবে অফিস আদালত এবং কর্মক্ষেত্রের জটিলতা নিরসনও আশু প্রয়োজন। ভিসা জটিলতা এবং সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স ও ভিসা ভ্যারিফিকেশন জটিলতা একটি ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। সম্মানিত মানুষদের অসম্মানিত করে ভিসা না দিয়ে এমনকি নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে জটিল আকার ধারণ করেন; এমনকি দেশের সুনাম নষ্ট করেন। তবে যদি টাকা দেয়া হয় তাহলে ভিসা প্রয়োজনের অতিরিক্ত দেয়া হয় যেমনি ভিসা অফিস তেমনি এসবি অফিস। ভিসা এবং নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য এস বি, এন এস আই ও ভিসা অফিসকে ঢেলে সাজাতে না পারলে আগামী দিনে আরো নতুন কোন দুর্নাম আমাদের কপালে তিলক আটবে। দুর্ণীতি ঘুছাতে মরিয়া আমাদের প্রধানমন্ত্রী আর দুর্নীতি রটাতে মরিয়া আমাদের ভিসা ও নিরাপত্তা ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট সকলে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বুজে দেশের সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধি এমনকি ব্যবসা ও সেবা সংস্থার কাজে গতি আনয়ন করুন। নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জটিলতায় এখন বিরুপ ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এমনকি অনেকে চাকুরী হারিয়েছে। আমি এর জন্য দায় দিতে চায় নিরাপত্তা ছাড়পত্রের সঙ্গে জড়িতদের । কারণ তাদেরকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তরান্বিত করতে নিয়োজিত করা হয়েছে কিন্তু তাড়া চলমান কর্মসংস্থান বন্ধ করে সরকারের উপর বেকারত্বের বোঝা বাড়াচ্ছে। তাই আমাদের ভিসা জটিলতা এবং ভিসা অফিসের স্বচ্ছতা আনয়ন ও সহজিকরণ এখন সময়ের দাবি। আনসার দিয়ে কাজ করানো বন্ধ করতে হবে। ভিসা অফিসে ৬মাসের বেশী একইস্থানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাখা সমিচীন হবে না। যদি এই নিয়ম চালু করা হয় তাহলে হয়ত কিছুটা স্বস্তির নি:শ^াস বের হবে এবং মানুষজন হাফছেড়ে বাঁচবে।
সরকারী অফিসগুলো একে অন্যকে সহায়তা করবে এমনকি একে অন্যের পরিপূরক হয়ে কাজ করবে এঁটাই স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু বর্তমানে একে অন্যের খরবদারি করছে এমনকি একে অন্যের কাজে বাধগ্রস্ত করে জটিলতা সৃষ্টি ও বৃদ্ধি করছে। তাই এই সমন্বয় এখন সময়ের দাবি। তাই এক সংস্থা অন্য সংস্থাকে সম্মান করে কাজে সহেযোগীতা করার ব্যবস্থায় গুরুত্বারূপ করে গতিশীলতা আনয়ন করতে হবে। নতুবা অগ্রসরমান অর্থনীতি বাধাগ্রস্থ হবে। তাই সময়ের প্রয়োজনে ও যুগের চাহিদায় গুরুত্বারূপ করুন এবং দেশকে গতিশীল উন্নয়নমূখী রাখুন।