ভাইরাল গুজব ভিডিওগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

এই লিংকের ভিডিউটির প্রতিবাদ https://youtu.be/Fr_U7a0Q86c?t=177

তাজুল ইসলাম॥ সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া এবং পূর্বের কিছু ভিডিও ভাইরাল হওয়া মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে আমার আজকের অবতারনা। ফেসবুক ও ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখে প্রতিবাদ না করে নিরবতা সম্মতির লক্ষনের দায়ে অপরাধি হতে পারব না; তাই অতি সবিনয়ে এবং ভদ্রতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


জনাব ইলিয়াছ সাহেব যিনি বিগত বিএনপি আলমে ২১শে ইটিভি’র সঙ্গে সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন। সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা এবং দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের অগ্রজ সৈনিকের দাবিদার। কিন্তু জনাব ইলিয়াছ সাহেব এই মহৎ পেশা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন সুদুর আমেরীকায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে গুজব নামক ভিডিও সম্পাদনা ও প্রকাশনা করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার নেতিবাচক কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তিনি বলে বেড়ান দেশ এবং দেশের মানুষ চিন্তায় ওনার রাতজাগা সময় পার হয় এবং তিনি ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে দেশ সেবার কাজে নিজেকে জড়িয়েছেন?


আসুন দেখি ওনি কি ধরনের সেবা করে যাচ্ছেন। জনাব ইলিয়াছ সাহেব আমাদের অহংকার ও গর্বের ধন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শারিরীক অসুস্থ্যতা নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়িয়েছেন। যা সর্বৈব মিথ্য। তিনি বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্যান্সার হয়েছে আর এই ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। যা সর্বৈব মিথ্যা… আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চক্ষুর অপারেশন হয়েছে এবং এই চক্ষু ও কানের কম শোনার অপরাধে বিএনপি তথা জামাতপন্থীরাই দায়ী। সেই ২১শে আগষ্টের ঘটনার স্বীকার হয়েই আমাদের প্রধানমন্ত্রী এইসকল রোগে ভোগছেন। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে পৃথিবীর সকল কিছুই এখন প্রকাশিত যা গোপন করার কোন সুযোগ নেই। তাই তার মিথ্যা অভিযোগ আজ সকলের কাছেই স্পষ্ট।


তিনি আমেরীকায় বসে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভাবছেন। তিনি তার সেই হারানো ২১শে’র চোখ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে পাগলামি করছেন। তবে তার মনোযন্ত্রণা প্রকাশে দেশবাসিকে ব্যবহার করছেন। তিনি বলেছেন দেশের মানুষ সুখে নেই। আসলেই কি তা? ইতিহাস কি বলে? আজ দেশের মানুষ সুখে ও সমৃদ্ধিতে দিনগুজার করছেন। সাম্যের স্থিতিশিলতা এবং উন্নয়নের গতিশীলতা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এক একটি উন্নয়নের উন্নত ধাপে। তাই মিথ্যা এবং বেফাস কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত না করে নিজের জীবন ও কর্মনিয়ে ভাবুন।


তিনি আবার প্রিয়া সাহার বিষয়ে কথা বলেছেন; তার মতে প্রীয়া সাহা অন্যায় করেছে এবং তার অন্যায়ের শাস্তি রাষ্ট্রিয়ভাবে করা উচিত। সবই রাষ্ট্রের ব্যাপার এবং রাষ্ট্রের কর্ণধারগন এই বিষয়ে সচেতন রয়েছেন। তবে একজন নীরিহ প্রিয়া সাহার উপর ক্ষেপার কি কারণ তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। তবে ব্যারিষ্টার সুমন যেটা করেছেন তা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত এবং একজন স্বাধীন মানুষের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার হিসেবে তা প্রশংসিত। তবে গুজব এবং মিথ্যার ক্ষেত্রে এই অধিকার হরণ করা প্রয়োজন যা যুগের অন্যতম দাবি।


তিনি আবার ড: আবদুস সালাম ও কনক সারোয়ারের মামলার কথা উল্লেখ করেছেন। যা রাষ্ট্র বাদি হয়ে করেছিল। কিন্তু সেই বিষয়ের সঙ্গে প্রিয়া সাহার বিষয়টি কি এক; আর যদি একই হয় তাহলে রাষ্ট্র তথা এর অধিভুক্ত জনগণইবা কেন নিশ্চুপ থাকবে। যারা মামলার ভয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন তারা কি প্রকারান্তরে দোশ স্বীকার করেননি। বিচারাধীন মামলার বিষয়ে কথা বলা একটি অপরাধ এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করাও একটি অপরাধ তাই কিসের সঙ্গে কি এনে তিনি আবোল তাবুল বকে যাচ্ছেন তা বোধগম্য নয়। একটি বিষয় তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী প্রিয়া সাহাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছেন; একটু ভাবুনতো এই বিষয়টি গতনন্ত্র এবং ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে কতবড় দৃষ্টান্ত বহন করে। প্রত্যেকটি মানুষেরই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ রয়েছে কিন্তু যদি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিত তাহলেই দেশ ও রাষ্ট্র তথা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা যেত।


জনাব ইলিয়াছ সাহেব ব্যবহারে বংশের পরিচয়। দয়া করে আপনি আপনার ব্যবহার সংশোধন করুন। আপনি আমাদের বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করে যাচ্ছেন এই ধরণের অশ্রাব্য ও নোংরা ভাষা ব্যবহার করে। আপনার সাংবাদিকতা এবং জীবন নিয়ে এখন প্রশ্ন জাগে মানুষের মনে। রাষ্ট্রের আইন নিয়ে যদি কেউ কথা বলার অধিকার রাখেন তাহলে সর্বপ্রথম সরকারের পক্ষে আইন মন্ত্রীই কথা বলার দাবিদার। তার পরে হয়ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নী জেনারেল এবং আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইন সচিব এবং আইন বিষয়ে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞরা। এখানে আইন মন্ত্রী মহোদয় কোন রকম ভুল করেন নি। বরং তিনি উত্তপ্ত বালুকণায় পানি ঢেলে নমনিয় করে দিয়েছেন যাতে কেউ এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।


জনাব ইলিয়াস সাহেব আপনার মুখে আপনার ভদ্রতার প্রমান বহন করে যাচ্ছে তাই হাসির জায়গায়ও হাসতে পারলাম না কারন আপনি মানুষকে বিমুর্ষ করে, উত্তেজীত করে, তেতিয়ে ফেলেছেন। এতই যদি দেশকে ভালবাসুন এবং সজ্জ্বন ও ভদ্র ব্যক্তি হউন তাহলে চলে আসুন বাংলাদেশে এবং দেশগঠনে কাজ করুন। আপনাকে আপনার অপরাধের জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হবে; কারণ আপনি এটা প্রাপ্য। তবে আর বিষবাস্প ছেড়ে নিজেকে নি:শেষ করে দিবেন না। আপনার পিতা-মাতাকে দেখার ইচ্ছা জাগে কারণ তারা আপনার মত একটি সু বা কু পুত্র সন্ত্রান জন্মদিয়েছেন। অন্য মা-বাবারা যা পারেনি তা আপনার মা-বাবা পেরেছেন।


আমি অত্যান্ত দু:খের সাথে আপনাকে বলছি আর কোন ভিডিওতে এই ধরণের অশালিন বাক্য উচ্চারন করবেন না; আপনিতো পড়ালেখা করেননি তাই আপনি জানেন না কার সম্পর্কে আপনি এই ধরণের কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। আমাদের আইন মন্ত্রী একজন ভদ্র ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তিনি তার প্রামান বিশ^ মানচিত্রে রেখে যাচ্ছেন। তাঁর পিতা একজন প্রখ্যাত আইনবিদ; যা আমাদের উপমহাদেশের সুনাম ও সম্মানের সু-উচ্চ আসন অধিকারী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের সাবেক প্রেসিডয়াম সদস্য এবং বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতাদের একজন ছিলেন। জনাব আনিছুল হক সাহেবের মাতা সম্ভ্রান্ত পন্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি নিজেও জ্ঞানের বিশাল পন্ডিত। যারা তাদের সহচর্য্য পেয়েছেন তারা সকলেই তা জানেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছে তাদের সহচর্য্য ও ভালবাসা পাওয়ার। ঐ জ্ঞানী, সৎ ও সুচরিত্রের অধীকারীদের নিয়ে কথা বলার আগে পড়া-লেখা করে আসুন এবং তারপর কথা বলুন। কথায় আছে আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদের একটি শিক্ষিতি জাতি দিব। হ্যা আনিছুল হক এর মা ও বাবা তাই দিয়ে গেছেন। আপনি আপনার নোংরা মনমানসিকতা দিয়ে এইভাবে চরিত্র হননের চিন্তা করবেন না। ঐ রতœগর্ভা মা ও বাংলার আকাশের উদিত সূর্য্য ও নক্ষত্ররশ্নীর স্পর্শে আজ আমরা আলোকিত ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার কর্তব্যপরায়নতাই ব্যস্ত। সেই সর্বশ্রদ্ধেয় মানুষদের নিয়ে যদি আর কোন মিথ্যা ও বেফাস এমনকি কুরুচিপূর্ণ শব্দ চয়ন করা হয় তাহলে আপনি যা ভাবতে ও বুঝতে এমনকি দেখতে পারেননি তাই হবে আপনার ক্ষেত্রে।


আমি এই ভিডিওটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দৃপ্ত কন্ঠে স্বপথ নিচ্ছি এই অশ্রাব্য কুলাঙ্গারকে বাংলার মাটিতে এতে উপযুক্ত প্রাপ্য বুঝিয়ে দিব ও আগামির জন্য দৃষ্টান্ত রেখে পৃথিবীকে মিথ্যা ও গুজবের এমনকি বেফাস; গালাগালির হাত থেকে রক্ষা করব।


মান্যবর হুজুরের উদ্দেশ্যে:—-
জনাব আবু সালেহ নায়েব আলী হুজুর আপনি কি জানেন আপনি কি বলছেন? আপনার বলার ধরন ও জড়তায় মনে হচ্ছে মিথ্যে বলতে গেলে এমনই হয়। আপনার বেশভুষায় আপনাকে সম্মান করার ইচ্ছা জাগে কিন্তু কথা বার্তায় আপনাকে ভদ্রভাষায় শিক্ষা দিতে বিবেকের তাড়ানা জাগে। যাকে নিয়ে আপনি মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন তাঁর সম্পর্কে আপনি কিইবা জানেন? পবিত্র কোরআনে মিথ্যা ও গুজবকারীদের সম্পর্কে কি বলা আছে তাকি জানেন নাকি জেনেও পাপে জড়াচ্ছেন। আপনার কি অর্থের প্রতি এতই লোভ যে অর্থের কাছে আপনি আপনার জান্নাত বিক্রি করে দিয়েছেন। আর জাহান্নামকে ক্রয় করে নিয়ে আরো অনেককে জাহান্নামি করতে চাচ্ছেন।


জনাব নায়েব আলী সাহেব আপনি যে বলেছেন শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়ে গেছে তার কি প্রমান আপনার হাতে আছে। আল্লা তায়ালা কিন্তু বিচারের দিন ধার্য্য করে রেখেছেন; আর সেটি হবে কিয়ামতের দিন বা শেষ বিচারের দিন। আপনিতো আল্লাহর আইন বা কালামকে ভুল ব্যাখ্যা করে নিজেতো পাপ করছেনই বরং জাতিকে ভুল পথে নিতে উৎসাহি করছেন। দয়া করে ঐ পবিত্রতার স্বাক্ষর বহনকারী ইসলামী লেবাস পরিহার করে এই ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়ান। দয়া করে আমাদের পবিত্র ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যা করবেন না বা মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌছে দিবেন না।


বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আল্লাহর আশির্বাদ স্বরূপ বাংলার মানুষের জন্য শেখ হাসিনাকে মনোনীত করেছেন এবং তাঁর মাধ্যমে এই জাতিকে উদ্ধার করে সম্মানের স্বীয় আসনে আসীন করবেন। আমি দেখলাম আরেকজন আবাল আমাদের বাংলাদেশ পলাতক লন্ডন প্রবাসী সেফুদা। তিনি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন; তবে তার কথায় এখন আর কেউ কান দেয় না। কারন সেফু দাকে সবাই চিনে যে তিনি মতিভ্রম হয়ে পাগলামী করেন; তাই তার মুখদিয়ে সবই বের হয়; কারন তার বেঁচে থাকার খোরাকই হল এই আে তাবোল বেফাস কথাবার্তা।


সবাই ভাল থাকুন এবং স্বজাগ থাকুন… ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.