ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান। আইন অমান্যকারী উপজেলার সকল ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের তিনলাখপীর এলাকার যুবদল নেতা শরিফুল হক স্বপন গংদের নেতৃত্বে চলমান একাধিক অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও মালামাল মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের নেতৃত্বে ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ।
জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তিনলাখপীর এলাকায় প্রায় ৮টি বড় মাপের শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলে আসছিলো । বালু উত্তোলনকৃত জমি গুলোতে প্রায় ৫ থেকে ৮শ ফুট গভিরতার সৃষ্টি হয়। এতে করে হুমকির মুখে পড়ে মহাসড়ক, বিদ্যুতের খুটি সহ ওই এলাকার বসতবাড়ি। ড্রেজার মালিক স্বপন ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় অসাধু নেতাদের সহায়তায় প্রভাব বিস্তার করে চলতো বলে ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি । ভয়ভীতি দেখিয়ে নাম মাত্র মূল্যে জমি কিনে নিতো স্বপন। এমনি করে প্রায় ৭০-৮০ বিঘা জমি নিয়ে চালায় তার ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। বিগত প্রায় ৪ বছর যাবত সে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে লোকজন জানায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার বালু ইতোমধ্যে উত্তোলন করে বিক্রি করা হয়েছে এ সকল অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের অসাধু লোকজন মাসোহারা পেতো এখান থেকে। বিগত সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে পড়ে স্বপন গংরা। জানা যায় সারা কসবা উপজেলায় প্রায় ১৪৮টি অবৈধ ড্রেজার চালু রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উল আলম সাংবাদিকদের জানান; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র নির্দেশনায় উপজেলার সকল অবৈধ ড্রেজার এবং মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচেছ। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন; উপজেলার সকল অবৈধ ড্রেজার অপসারনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।