প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ বিক্ষোভকারীদের সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। খবর ইউএনবি’র। হারিরি জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশ জুড়ে চলমান আন্দোলনের মুখে লেবানন অচল হয়ে গেছে। এ অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। এদিকে সাদ হারিরির পদত্যাগের খবর জানতে পেরে আন্দোলনকারীরা উল্লাস করছেন। তবে পদত্যাগের ফলে লেবানন আরও অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। দেশটি দু’ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো আর্থিক সংকট ও স্থানীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাসের মতো মারাত্মক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হবে। চলমান আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি দেশটির আর্থিক ঋণের পরিমান বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রায় ৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ১৫০ শতাশেংরও বেশি ।
আন্দোলনকারীরা গত ১৭ অক্টোবর হোয়াটসঅ্যাপে কর আরোপ প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা এ আন্দোলনে ১৯৭৫-১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে রাজনৈতিক সম্পৃক্ত অভিজাতদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানান। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকট মোকাবেলায় হারিরি জাতীয় ঐক্যের সরকারের অংশ হিসাবে বিভিন্ন দলের সাথে কাজ করেও ব্যর্থ হয়েছেন। হরিরি বলেন, ‘আমি এ সময়ের মধ্যে দেশকে সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিক বিপদ থেকে রক্ষায় জনগণের কথা রাখার চেষ্টা করেছি। সত্য বলতে কি আজ আপনাদের সামনে আমি এর ইতি টানতে যাচ্ছি। কেননা সংকট মোকাবিলার জন্য একটি বড় ধাক্কার সময় এসেছে।’ প্রতিবাদকারীদের মূল দাবি মৌলিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য হারিরির পদত্যাগের ঘোষণা দেশটি আরও বৃহত্তর অনিশ্চয়তায় ডুবতে যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাংক, স্কুল ও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ শুরুর আগে থেকেই আর্থিক সংকটের কবলে থাকা দেশটি অর্থনীতি ভেঙে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।