সুদানের জাদুঘরে শোভা পাবে আরবী ভাষা সম্বলিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি

প্রশান্তি ডেক্স ॥ সুদানের দারফুরে স্থানীয় নিয়ালা জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আরবী ভাষায় জীবনী সংযুক্ত করে তা স্থাপন করা হয়েছে। গত (২৯ অক্টোবর) দারফুরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিট-১ (রোটেশন-১১)- এর কর্মকর্তারা আরবী ভাষায় জীবনী সম্বলিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিয়ালার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার আল-আমির মুহাম্মদ আহমেদ আবুন্দ, নিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াছিন, দারফুর জাদুঘরের কিউরেটর আহমাদ আল সালাহ এবং বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিট-১ (রোটেশন-১১)- এর কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। প্রতিকৃতি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম তার সূচনা বক্তব্যে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু একক কোন ব্যক্তি নন বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যাতে সুদানের স্থানীয়রা ভালোভাবে জানতে পারে সেজন্য তাঁর প্রতিকৃতিতে আরবী ভাষায় জীবনী সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিট এবং সুদান সরকারের মাঝে সুহৃদপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে কমান্ডার হালিম তার বক্তব্য শেষ করেন। দারফুর জাদুঘরের কিউরেটর আহমাদ আল সালাহ তার বক্তব্যে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সুদানে বাংলাদেশ ফরমড পুলিশ ইউনিটের কার্যক্রমের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইতোপূর্বে নিয়ালা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় ও জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ভিত্তিক ইংরেজীতে অনুদিত শতাধিক বই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। যার মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সম্মক ধারণা লাভ করতে সক্ষম হবে। জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোনও প্রতিকৃতি দেশের বাইরে বিদেশের মাটিতে জাদুঘরে শোভা পাবে। ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের অভিষেক হয়। বর্তমানে দারফুর, কঙ্গো, মালি ও দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ওইসব দেশে শান্তিরক্ষায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন। বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল অবদান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিশ্ববাসীর প্রশংসা অর্জন করেছে, যা দেশের জন্য বয়ে এনেছে বিরল সম্মান ও গৌরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.