প্রশান্তি ডেক্স ॥ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (বিএএফ) মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এই বাহিনীর সদস্যদের দক্ষ ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসস্থ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে বিএএফ’র ১, ৩, ৫, ৮, ৯ ও ৭১ নম্বর স্কোয়াড্রনকে ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি হামিদ বিএএফ’র অর্জন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বাহিনীর সদস্যদের আধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং কঠোর পরিশ্রম করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের জন্য পেশাগত দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং একই সঙ্গে এই বাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে। সুতরাং আপনাকে আরো দক্ষ ও আদর্শ বিমানবাহিনীর সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়ন কার্যক্রমে বিমান বাহিনীর জওয়ানরা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান সামরিক কৌশলগত দিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনার দিকসমূহ বিবেচনায় রেখে বর্তমান সরকার বিমান বাহিনীকে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি আধুনিক, শক্তিশালী ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অত্যন্ত আন্তরিক। রাষ্ট্রপতি বিএএফ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি যুদ্ধ বিমানসহ সকল ধরনের আধুনিক ও মূল্যবান অস্ত্র সংরক্ষণে যতœশীল ও মনযোগী হওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা অপরিহার্য। অতএব আমাদের আকাশসীমার নিরাপত্তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ বিমানবাহিনীর সামগ্রিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের আকাশসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার নৈমিত্তিক কাজ ছাড়াও বিমান বাহিনীর সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে বিরাট দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তাছাড়া বিমান বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এর আগে তিনি সেখানে পৌঁছলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির কমান্ডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সৈয়দ হোসেন রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান। সৈয়দ হোসেন ও উইং কমান্ডার মাসুদুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি একটি খোলা জিপে করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপি, বিদেশি কূটনৈতিক, বেসামরিক ও সামরিক উচ্চ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে মধ্যাহ্নভোজ করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন। তিনি সেখানে একটি পরিদর্শক বইয়েও স্বাক্ষর করেন।