ফেক নিউজের ব্যধি এখন সারা দেশে

প্রশান্তি ডেক্স ॥ ফেক নিউজের ব্যধি এখন সারা দেশে ক্যান্সারজনিত রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। শান্তিপূর্ন জীবন যাপনের জন্যে বিরাট হুমকি হয়ে ভবিষ্যতকে ভাবিয়ে তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। ক্ষমতা,অর্থের লোভ, আত্মসম্মানবোধের অভাব, মাস্তান তোষণ এবং মেরুদন্ডহীনতা এগুলোকে এখন বিশেষ যোগ্যতা মনে হয়। যার হাতে একটি স্মার্ট ফোন আছে, সে তার মতামত প্রকাশ করতে পারছে এবং তার মতামত বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছেও যাচ্ছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটা বড় দূর্বলতা হচ্ছে, যে সব কথা লিখালিখি বা আদান প্রদান হয়, সে গুলোর সত্যমিথ্যা যাচাই করা হয় না। কিছু বলার বাছ বিচার নেই,যার যা খুশি তাই লিখে দিচ্ছে। মিথ্যা কথাও বলছে,নিজের যা খুশি তাই বলে দিচ্ছে। নিজের মনগড়া কথা লিখছে। কাউকে হেয় করার জন্যে বা বিপদে ফেলার জন্যে বলছে।এই মাধ্যমটিকে সামাজিক অস্থিরতা সৃস্টির উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা দেখছি যে এক গ্রুপের মানুষ অন্য গ্রুপের নেতাকে বিপদে ফেলার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করছে।সংঘবদ্ধভাবেও তৈরি করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে বিদ্ধেষ ছড়ানো হচ্ছে। বন্ধু হয়ে, কাছের মানুষ হয়েও সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হলে বিশ্বাস ঘাতকের মতো ক্ষতি করে বসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। এ ধরনের অসংবেদনশীল আচরন সামাজিক মাধ্যমকে বিস্ময়করভাবে আমাদেরকে একটি নিকৃষ্ট এবং চ্যালেন্জিং জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের সন্তানদের আস্থার জায়গাগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। উত্তরসূরীদের চলাচলের জায়গাগুলো অনিরাপদ করে দিচ্ছে যোগাযোগের এই মাধ্যমটি। এ রকম চলতে থাকলে পরিস্থিতি কল্পনায় এনে একবার ভেবে দেখুন এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি যে কারো সম্মান বিসর্জন দিতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। একটি অপরাধের বিচার অনেকগুলো সম্মানিত মানুষের সমন্বয়ে নির্ধারিত হয় তার অপরাধের মাত্রা এবং বিচার। অথচ সামাজিক মুল্যবোধ কতটা ক্ষয়ে গেলে একজন মানুষ ঘরে বসেই স্মার্ট ফোনের কল্যানে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি মূলক ঘোষনাও লিখে ছড়িয়ে দিচ্ছে সকলের মাঝে। এমন উদাহরন এখন ভুরি ভুরি। একজন নেতা সবার কাছে প্রিয় নাও হতে পারে। আমি একজন নেতাকে অপছন্দ করতেই পারি। তাই বলেতো আমি যা খুশি তা লিখে প্রকাশ করে তাকে হেয় কিংবা অপমান করতে পারিনা। মনে রাখতে হবে সমালোচনা করা আর কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা এক নয়। গঠনমূলক সমালোচনা করুন যাতে শিক্ষনীয় উপকরন থাকে। চলুন আমরা সবাই মিলে আমাদের চলাচলের জায়গাগুলো নিরাপদ রাখি,আরো সুন্দর করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.