পিয়াজের বাজারে স্বস্থীর নি:শ্বাস ফেলতে সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার একটি হল টিসিবির মাধ্যমে পিয়াজ বিক্রি। এই টিসিবির মাধ্যমে সরকার ৪৫ টাকা কেজি দরে শহরের বিভিন্ন অংশে পিয়াজ সরবরাহ করে যাচ্ছেন। সাধারন মানুষের কষ্ট লাগবে সরকারের নামামুখী প্রচেষ্টার সফলতা ভোগ করতে শুরু করেছে মানুষ। তবে স্বার্থান্বেষী এবং উন্নয়নবিমুখ মানুষগুলো সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানামুখী তৎপরতার একটি পেয়াজের আকষ্মিক দাম বৃদ্ধি এবং চাউলের দাম বৃদ্ধি ও দেশীয় উৎপানিত পর্যাপ্ত লবনের গুজব। তবে চাউলের দাম লাগাম টেনে ধরে পিয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করে জনস্বস্থি ফিরিয়ে আনছে সরকার। তবে আরো দু-একদিনের মধ্যেই সমগ্র দেশে পিয়াজ নৈরাজ্য বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক স্বস্থি ফিরে আসবে। লবনের গুজবের সমাপ্তী ঘটলেও হুজুগে বলীয়ানরা এর থেকে শিক্ষা নিবে কি? নাকি ঐ চক্রান্তকারীদের সহায়তা করে যাবে আজীবন।
দেরীতে হলেও সরকারের টনক নড়েছে বলে মনে হয় তবে একটি কথা স্পষ্ট যে, স্বচ্ছতার অভিযান অব্যাহত থাকায় এবং এর চলমান ধারাবাহিকতাকে স্তব্ধ করে দিতে কতিপয় মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এখানে স্পষ্ট যে, সরকারের ভিতরের একটি অংশও ঐ চক্রান্তকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কারসাজি এমনকি ভয়াবহ চক্রান্তের ফাঁদ এটে যাচ্ছে। তবে বলা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমন দৃঢ়চেতা মনোভাব এমনকি আপোষহীন নীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে সকলের সহযোগীতা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। তাহলে তার নেয়া কঠিন পদক্ষেপগুলো আলোর মুখ দেখবে। নতুবা সমগ্র জাতি কল্যানের বিপরীতে অকল্যাণ সাধিত হবে। একটি সামাল দিতে না দিতেই আরেকটি এসে হাজির হয় জাতির ভাগ্যাকাশে। তবে শেখ হাসিনা আছে বলেই জাতি এগিয়ে যাচ্চে এবং যাবে। শেখ হাসিনার বিকল্প জাতির ভাগ্যাকাশে এখনও কেউ উদিত হয়নি এবং হবেও না। বঙ্গবন্ধুর পরে যদি বাংলার আকাশে উদিত সূয্য এবং জনগণের ভাগ্যউন্নয়নে কেউ কাজ করেন তাহলে তা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর জীবন বাজি রেখে মৃত্যুকে পরোয়া না করে বরং আলিঙ্গন করে জাতিকে কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। আর এতে সুফলও পাচ্ছেন জনগন এবং আগামীতে আরো পাবে। তাই আমাদের এখন দেখার বিষয় আর কি কি বিপর্যয় আমাদের সামনে এসে হাজির হয় আর সরকারই বা কি করে বিপর্যয়গুলো কাটিয়ে উঠে আগামীর সুনিশ্চিত উন্নয়ন ও বিনির্মান দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বাংলার জনগণ শত কষ্টের মাঝেও শেখ হাসিনাকে সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে এবং চক্রান্তকারীদের সকল গুজব প্রতিহত করে প্রমান করে যাচ্ছে যে, তারা কোন গুজবে এমনকি পাতানো ফাদে পা না দিয়ে বরং ঐ ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে সরকারকে মরীয়া হয়ে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তাই জনগণের কল্যাণের তরে সরকার আরো আন্তরিক হয়ে সকল নেতিবাচক প্রতিবন্ধকতা এবং সমস্যা চিহ্নিত করে আগামীর সকল ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাক। কারন জনগণ সরকারের সঙ্গে রয়েছে এবং ১০০ভাগ সমর্থন ও সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তাই জনগণের ভোগান্তি লাগবে আরো আন্তরিক হয়ে সকল কাজ সম্পাদন করুন। ক্ষমতা বা দাম্বিকতা এবং প্রতিহিংসা পরায়নতা পরিহার করে জনগণকে আরো সুযোগ দিয়ে পাশে থেকে সহযোগীতার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। কারন এটাই সুযোগ সামনে এগিয়ে যাওয়ার। তাই হিসেবে কোন ভুল বা গরমিল করার আর কোন অবকাশ নেই। যদি গড়মিল ধরা পড়ে তাহলে তাড়াতাড়ি সংশোধন করে ইতিবাচক ও ক্ষমাশিল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। কোনভাবেই স্রোতের বিপরীতে যাওয়া যাবে না।
একটি আইন বর্তমানে পরিচিতির মাধ্যমে বাস্তাবায়নের যাত্রা শুরু করেছে। সত্যিই চমৎকার এবং যুগোপযোগী কিন্তু আইনটি করার আগে আরেকটু ভাবার প্রয়োজন ছিল অথবা জনসচেতনতার প্রয়োজন অনুভব যুগের দাবিও ছিল। তাই আইনটি পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। কারো চাপে নয় বরং আরো গণমূখী এমনকি যুগোপযোগী করে তোলা এমনকি জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে এগিয়ে যাওয়া এখন সময়ের অন্যতম দাবী। তবে যারা আইনটির বিরোধীতা করে যাচ্ছেন তাদের উদ্দ্যেশ্যে বলছি আপনার এতদিন কোথায় ছিলেন এবং কেন ঐ আইনটির বিরোধীতা করেননি যখন আইনটি বাস্তবায়নাধীন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আপনাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল; কিন্তু এখন বাস্তবায়নাধীন আইন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন বা পরিবহন ধর্মঘট ডাকা কি প্রাসঙ্গিক ছিল? নাকি ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলানোই মোক্ষ উদ্ধেশ্য ছিল। একের পর এক ষড়যন্ত্রের একটি এই পরিবহন ধর্মঘটও কি? তারপরও বলব সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন এবং আইন বাস্তবায়নে যোগ্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের গাড়ি উপযুক্ত এবং দক্ষ্য ড্রাইভারের হাতে তুলে দিন। তাহলে অনাকাংঙ্খিল ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ধর্মঘট ডাক দেয়া শ্রমীক ও মালিক উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত নিন এবং নিজেদেরকে বদলীয় আগামীর প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টিনিবন্ধন করুন। নতুবা যুগের দাবি এবং সময়ের শ্রোতে বিলীন হয়ে যাবেন যা ইতিহাস আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবং কথা বলে। সময়ের কাজ সময়েই সমাপ্ত করুন। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গতিশীল এবং শিক্ষানির্ভর কাজ করুন। হুমকী – ধমকি এমনকি ভয়-ভীতি দেখানোর সময় এবং দিন এখন নয়। দু:খজনক ঘটনা হলো এইতো গত একদিন আগে মুন্সিগঞ্জের ১০টি প্রাণ ঝড়ে গেলো ড্রাইভারের খামখেয়ালীপনায়। তাই কি বলব এবং কাকে বলব তাতো দৃশ্যমান। এই ঘটনাগুলো দেখে নিজেকে ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে একটু ভাবুন এবং আগামীর করণীয় ঠিক করুন। আইনের প্রয়োগে সহযোগীতা অব্যাহত রাখুন।
রাজনীতির শুদ্ধি অভিযান, দলীয় এবং বিরোধী দলীয় উভয় আঙ্গিকেই হওয়া উচিত। দুর্নীতির শুদ্ধি অভিযানও দলীয়- বি দলীয় এবং সরকারী কর্মযর্ঘ্যে হওয়া উচিত। এখানে দল- বিদল/ আপন-পর, অফিল-আদালত বিবেচ্য বিষয় নয় বরং দুর্নীতি এবং এর নির্মূলে কাজ করাই মুখ্য বিষয়। ঘুষ এবং হয়রানী এই দুটিও শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করে এর নির্মূলে কাজ করা জরুরী। আগাম চিন্তার প্রকাশ এবং ঘটনার আলোকে ধারনার প্রকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রেও শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা জরুরী। নতুবা আমাদের সমাজের নেতিবাচকতা দুরীভুত হওয়া একটু সময় সাপেক্ষ হবে। যদি আমরা সবাই অপেক্ষার প্রহড়টাকে দীর্ঘায়িত এবং নির্ভেজাল করতে পারি এমনকি সন্ধেহের উর্দ্ধে রাখতে পারি তাহলে আমাদের আগামী অগ্রগামীতা তরান্বীত হবে সময়ের আগেই। আশার বিষয় হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে নিয়ে সকল সমস্যা এবং প্রতিকুল স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সমাধান কল্পে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সফলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন জাতিকে। তাই হতাশ হওয়ার কোন সুযোগ নেই এমনকি চক্রান্তকারীদের আনন্দিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা জাতীর শেষ ভরসা বিশ্ববিবেক জননেত্রী শেখ হাসিনা এখনও তাঁর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন এবং এবং কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানেই সমস্যা সেখানেই তিনি তাঁর আর্শ্চয্য জাদুর ছোয়ায় সমাধান করে স্বস্থীর নি:শ্বাস ও আশ্বাস দিয়ে বাস্তবিক প্রয়োগের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ্য করাচ্ছেন। তাই জাতি এই আশার তরীকে আরো দীর্ঘায়িত করে অপেক্ষার প্রহড়কে বাড়িয়ে তুলেছেন। শেখ হাসিনার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে নিশ্চিন্তে কাজ করতে সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন।
যুবলীগের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসবে এটাই নিয়তির বিধান কিন্তু যারাই নেতৃত্ব নিক তারা যেন পুর্বের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে বর্তমানের ছায়ায় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় বুঝে কাজ করেন। কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্ব পাওয়ারা যেন নব উদ্যোমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টিতে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করেন। এতে করে রাজনীতিতে নতুন সংস্করণ যুক্ত হয়ে রাজনীতির মাঠেও স্বস্তির নি:শ্বাস জোড়ে জোড়ে বইবে এই প্রত্যাশা এই দেশের আপামর জনসাধারণের। বাংলাদেশ এখন রাজনীতি এবং অর্থনীতির ক্রান্তিকাল অতিক্রমে প্রায় উৎরিয়ে যাচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা এবং দিক্ষা ও শিক্ষা থেকে আগামীর নতুন দিগন্ত রচিত হয়ে উন্মোচিত হবে এক নব্য ইতিহাস। এই ইতিহাসের সাক্ষী আমরা এবং অভিজ্ঞতা ক্রয়ে আগ্রহী হবে বিশ্ববাসী। এই প্রত্যাশার কাঙ্খিত পূরণে আমরা এখন কর্মরত।