শেখ মো. কামাল উদ্দিন, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ॥ বেসরকারি শিক্ষকদের বৃহত্তর সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাবেক সভাপতি, দেশ বিখ্যাত আলেমে দ্বীন, মুফতিয়ে আজম পীরে কামেল আল্লামা হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ফজলুল হক আল-কাদেরী (৭৫) এর নামাযে জানাযায় লাখো মানুষের ঢল নামে। শেষবারের মত এলাকাবাসীর প্রিয় ব্যক্তিকে এক নজর দেখার জন্য ভেঙ্গে পড়েন আবাল বৃদ্ধ নওজোয়ান। তাঁর ইন্তেকালের খবর শুনতে পেয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। জানাযায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আশপাশের জেলা থেকে লাখো মানুষ শরীক হয়েছেন। কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রাসেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, আওয়ামীলীগ নেতা এমজি হাক্কানী, যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের পীর অধ্যক্ষ মো. গোলাম সারোয়ার সাঈদী, পুরকুইল দরবার শরীফের পীর মাওলানা ছদরুদ্দীনসহ বিভিন্ন মাদরাসা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানাযায় শরীক হন। অন্যান্যের মধ্যে জেলা জমিয়ত সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল হান্নান, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. একরাম হোসেন, অধ্যক্ষ মাওলানা সালেহ আহমাদ, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল অফা মো. মাহবুবুল হক, অধ্যাপক শেখ মো. কামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল ইসলাম শাহীন, সুপার মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, মুহাদ্দিছ মাওলানা মো. মজিবুর রহমান, মুহাদ্দিছ মাওলানা আবদুল গাফফার, ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, মো. ফায়জুর রহমান, মাওলানা মুদ্দাচ্ছির, মুফতি মাওলানা সায়েদুর রহমান, মাওলানা হোসাইন আহমাদ, মাওলনা মুজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ মাওলানা নাছির আহমাদসহ জেলা উপজেলার জমিয়াত নেতৃবৃন্দ ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ বক্তব্য রাখেন।
গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় অসুস্থ জনিত কারণে নিজ বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা মৌলভী বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সরকারি মাদরাসা -ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কৃতিত্বের সহিত কামিল পাশ করে কর্মজীবনে সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন। পরে বৃদ্ধ পিতার সাহচর্য্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজ এলাকায় আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদীয়া কামিল মাদরাসায় প্রভাষক, ঢাকা মুহাম্মদপুর কাদেরীয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদরাসায় মুহাদ্দিছ, কুমিল্লার পরমতলা ফাযিল মাদরাসা ও সোনারগাঁও জিলানীয়া সিনিয়র মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে চাকুরী করেন। সুদীর্ঘ ৪০ বছর যাবত নিজ গ্রাম খাড়েরা ডি ঈদগাহের ইমাম হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার ইন্তেকালের সংবাদ মুহুর্তেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর নামাযে জানাযা গতকাল বেলা ১০ টায় খাড়েরা ডি ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। মুত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৮ কন্যা জামাতা ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁকে খাড়েরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মৌলভী বাড়ীর পাশের গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয়।